নবরাত্রির তৃতীয় দিন- মনিপুর চক্র

আজ নবরাত্রির তৃতীয় দিন ।

আমি সেই শিবশক্তি, ৫০০০ কল্পের সেই পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ, যে যুগে আমি নিজেকে দৈবী গুণে ভরপুর করে *দেবী চন্দ্রঘন্টা*। চন্দ্রঘণ্টা (পূজিতা হন তৃতীয়া তিথিতে): অবশেষে মহাদেব তুষ্ট হন ব্রহ্মচারিণীর তপস্যায়! তাঁর বিবাহ স্থির হয় পার্বতীর সঙ্গে। কিন্তু বিবাহের দিন তাঁর বৈবাহিক শোভাযাত্রায় ভিড় জমায় ভূত-পিশাচ, অদ্ভুতদর্শন জন্তু-জানোয়ারের দল, মহাদেব নিজেও সেদিন ভস্ম মেখে উপস্থিত ! এহেন বর দেখে হিমালয়ের অন্দরমহলে হাহাকার পড়ে যায়! স্বামীকে যাতে তাঁর পাশে বেমানান না লাগে তাই পার্বতী ধারণ করেন চন্দ্রঘণ্টার রূপ ! তাঁর সারা দেহেও ভস্ম, আর শিরোদেশে একফালি চাঁদ, ঠিক তাঁর স্বামীর মতো ! 
যোগীগণ সেই শক্তির সন্ধান করে চলেন মনিপুর চক্রে। আমার হাতে সেই জ্ঞানের তরোয়াল, ত্রিশূল, গদা, পদ্ম - যার দ্বারা আমি আত্মা আমারই সংস্কারে জাগ্রত হয়ে থাকা অশুভ শক্তির বিনাশ করেছি রূপ নিয়েছি দেবীর।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন