আভ্যন্তরীণ আত্মিক সৌন্দর্য আর বাহ্য সৌন্দর্যের মধ্যে তফাৎ কি ?

আভ্যন্তরীণ অর্থাৎ আত্মিক সৌন্দর্য আর বাহ্য সৌন্দর্যের মধ্যে তফাৎ কি ❓

🌷🌷 সৌন্দর্য দুই প্রকারের হয়ে থাকে l এক হলো দেহের সৌন্দর্য আর এক হলো আত্মার নিজস্ব সৌন্দর্য l দেহের সৌন্দর্য হলো বিনাশী, সেখানে আত্মিক সৌন্দর্য হলো অবিনাশী l শৃঙ্গার আমরা যেমন করবো তেমনই তা দৃশ্যমান হবে, তা সে শরীরের সৌন্দর্যই হোক বা আত্মিক সৌন্দর্য l পরমপিতা পরমাত্মা শিববাবা এই সঙ্গম যুগে এসে আমাদের সেই আত্মিক সৌন্দর্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন l এই সৌন্দর্য কোনো শরীরের সৌন্দর্য নয় কেননা বাবা এখন আমাদের বেহদের জ্ঞান দিচ্ছেন, এই বেহদের জ্ঞান ধারণ করে আমাদের সকল আত্মাকে তা বুঝিয়ে বলতে হবে যে শরীর যতই সুন্দর হোক না কেন, একদিন এই শরীরের বিনাশ হয়ে যাবে l তাই আত্মা সুন্দর হওয়ার প্রয়োজন, শৃঙ্গারিত হওয়ার প্রয়োজন কারণ আত্মার সৌন্দর্য এখন আর কিছুই অবশিষ্ট নেই l তাই বাবা এসেছেন এখন সেই হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্যে আত্মাদের শৃঙ্গারিত করতে কেননা সেই সৌন্দর্যই আত্মার প্রকৃত সৌন্দর্য, তাতেই আত্মা সুন্দর হয়ে ওঠে l শৃঙ্গারবিহীন আত্মা কখনোই সুন্দর নয় l আত্মার শৃঙ্গার হলো দিব্য গুণ -- সুখ, শান্তি, প্রেম, আনন্দ, পবিত্রতা, জ্ঞান আর শক্তি l এই গুণ ধারণ করেই আত্মা পুনরায় সুন্দর হয়ে ওঠে l যত আমরা আত্মার এই গুণকে শৃঙ্গার রূপে ধারণ করবো, ততই আত্মার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে আর অন্য আত্মাদেরও নিজের প্রতি আকর্ষিত করতে পারবো আর তাদেরও এই শৃঙ্গারে সাজিয়ে তুলতে পারবো l শৃঙ্গার ছাড়া কখনোই সৌন্দর্যের বিকাশ হয় না তাই আমাদের এই দিব্য গুণ আর শক্তির শৃঙ্গারে নিজেদের সাজিয়ে তুলতে হবে তবেই বাবার সজনী হয়ে তাঁর সাথে নিজের ঘরে যেতে পারবো আর স্বর্গের দুনিয়ার অধিকারী হতে পারবো l এই দিব্য গুণের শৃঙ্গারে আমাদের আত্মিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জন্ম - জন্মান্তরের সুসংস্কারের অধিকারী করে তুলবে l

🙏🙏ওম শান্তি 🙏🙏

🔆🔆🔆🔆🔆🔆🔆🔆🔆🔆🔆

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন