কর্ম বন্ধন ছিন্ন করলেই মনের শান্তি অর্থাৎ জীবনমুক্ত অবস্থা প্রাপ্ত করা সম্ভব।”*
বাস্তবে প্রত্যেক মানুষেরই এই চাহিদা থাকে যে আমার মানসিক শান্তি প্রাপ্ত হয়ে যাক। এরজন্য অনেক চেষ্টা করে এসেছে কিন্তু এখনো পর্যন্ত মানসিক শান্তি প্রাপ্ত হয়নি। এর যথার্থ কারণ কি? তার আগে তো এটা চিন্তা করা আবশ্যক যে, মানসিক অশান্তির মূল কারণ কি? মানসিক অশান্তির মূল কারণ হল কর্ম বন্ধনে ফেঁসে যাওয়া। যতক্ষণ মানুষ এই পাঁচ বিকারের কর্ম বন্ধন থেকে মুক্ত না হবে ততক্ষণ অশান্তির থেকেও মুক্তি পাবে না। কর্ম বন্ধন কেটে গেলেই মানসিক শান্তি বা জীবনমুক্ত অবস্থা প্রাপ্ত করতে পারবে। তাই চিন্তন করতে হবে যে এই কর্ম বন্ধন কিভাবে ছিন্ন হবে? এবং কার পক্ষে এটা থেকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব। এটা তো আমরা জানি যে কোনো মনুষ্য আত্মা অপর কোনো মনুষ্য আত্মাকে মুক্তি দিতে পারে না। কেবল পরমাত্মা-ই এই কর্ম বন্ধনের হিসাব মেটাতে পারেন। তিনি এসেই এই জ্ঞান এবং যোগবলের দ্বারা কর্ম বন্ধন থেকে মুক্ত করেন। তাই জন্যই পরমাত্মাকে সুখদাতা বলা হয়। যখন বুদ্ধিতে এই জ্ঞান এসে যাবে যে আমি হলাম আত্মা, আমি আসলে কার সন্তান এবং আমার প্রকৃত গুণ কি কি, কেবল তখনই কর্ম বন্ধন ছিন্ন হবে। এই জ্ঞান আমরা পরমাত্মার কাছ থেকেই প্রাপ্ত করি। তাই পরমাত্মার দ্বারাই কর্ম বন্ধন ছিন্ন হয়। ওম্ শান্তি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন