📚গীতা জ্ঞানের আধ্যাত্মিক রহস্য📚
✨ The Great Geeta✨
📝No.097📝
🌷 *সমর্পণ..... ভাব* 🌷
নবম, দশম, এগারো এবং বারো অধ্যায়
যতটা সম্ভব নিজেরা একে অপরের উন্নতির কথা চিন্তা করবো। এইজন্যই ভগবান বলেছেন, "যে আত্মা নিজেদের মধ্যে জ্ঞানের চর্চা করে ওই আত্মা প্রসন্নতার পাশাপাশি দিব্য আনন্দের অনুভব করে এবং সাথে সাথে কিভাবে পরমাত্মার সন্ধান পাবে সেই দিব্য জ্ঞান স্বয়ং তিনিই ( পরমাত্মা ) তাকে প্রদান করেন"। কেননা যতক্ষণ পর্যন্ত স্বয়ং পরমাত্মা নিজেই নিজের পরিচয় না দেন ততক্ষণ পর্যন্ত পরমাত্মাকে চেনার বা বোঝার ক্ষমতা কোনো মনুষ্য আত্মার নেই, কারণ এই শ্রেষ্ঠ দিব্য জ্ঞান পরমাত্মা ব্যতিত অন্য কোনো মনুষ্য আত্মার অজানা।

ঠিক এইভাবে আজ অবধি ঈশ্বরের বিষয়ে আমরা নিজেরাই নিজেদের বুদ্ধি দিয়ে কেবল আন্দাজ করেছি মাত্র যে, ঈশ্বর হয়তো এমনটা হতে পারে কিংবা এইরকম হতে পারে, তাই আজ ঈশ্বরের বিষয় নিয়ে এত মত-মতান্তর আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছে এবং ঈশ্বরের বিষয়ে সঠিক না জানার কারণে মনুষ্য দ্বারা ঈশ্বর তথা ধর্মের গ্লানি ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।যখন ধর্মের অতি গ্লানি হয় তখন স্বয়ং ভগবান আবির্ভুত হয়ে দিব্য জ্ঞান প্রদান করেন, যে জ্ঞানের দ্বারা ঈশ্বরের বাস্তবিক পরিচয়, যথার্থ দিব্য স্বরূপের সন্ধান পাই।যার দ্বারা ঈশ্বরের সঠিক রূপকে স্মরণ করতে পারি। ভগবান বলেছেন, "যে আমার দিব্য স্বরূপকে স্মরণ করে তাঁর প্রতি আমার বিশেষ কৃপাদৃষ্টি বর্ষিত হয় এবং ঐ আত্মার ভিতরে জমে থাকা বিন্দুমাত্র অজ্ঞান অন্ধকারকে দূর করে দিই"।
এই অজ্ঞান অন্ধকারের কারণ কি? পাঁচ বিকার কাম ,ক্রোধ,রাগ, দ্বেষ, মোহ যার দ্বারা দুঃখ এবং দুঃখের হাত ধরে অন্ধকারে চলে যায়। এইজন্য ভগবান বলেছেন,"আমি জ্ঞানের দ্বারা দুঃখের সাথে সাথে অজ্ঞান অন্ধকারকে দূর করে আত্মার প্রকাশমান দীপক জ্বালিয়ে দিয়ে আত্মঅভিমানী স্তিতিতে স্তিত করাই"। অর্থাৎ আত্মার স্বরূপে স্তিত হওয়ার শ্রেষ্ট দিব্য জ্ঞান কেবল পরোমাত্মাই আমাদের দেন। এইবারে অর্জুনের কাছে পরমাত্মার দিব্য স্বরূপের রহস্য স্পষ্ট হয়ে গেল, *অর্জুন তখন ভগবানকে বললেন," প্রভু আপনি পরমধাম নিবাসী, পরম পবিত্র, পরম সত্য, অজন্মা, সর্বোচ্চ দিব্য জ্ঞান-শক্তিতে ভরপুর, আপনি সম্পূর্ণ, আপনার দিব্য জ্ঞান সম্পূর্ণ সত্য, আপনার এই শ্রেষ্ট জ্ঞান না দেবগন, না অসুরগণ বুঝতে পারবে, আপনি দেবতাদের অধিপতি, দেবতাদের দেবতা মহাদেব, ত্রিলোকিনাথ"।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন