গীতা জ্ঞানের আধ্যাত্মিক রহস্য
The Great Geeta
No --- 104
জীবনকে উপভোগ করার সম্পূৰ্ণ বিধি
ভগবান এখানে বলেছেন , জীবন উপভোগ করার সম্পূৰ্ণ নিয়ম কি ? এই জীবন উপভোগ করার জন্য কোন কোন জিনিষ মনুষ্য জীবনে কোন প্রকারে হওয়া দরকার ? ভগবান এটাই স্পষ্ট করছেন , সতো, রজো , তমো প্রকৃতির তিন গুণ আর তার থেকে মনুষ্য আত্মারা কি ভাবে প্রভাবিত হয় ! যে প্রকৃতির প্রভাব বিশেষ হয় , তেমন তার আন্তরিক প্রকৃতি হয় আর সেই কর্মে ভগবান তিন প্রকারের যজ্ঞ বলেছেন আর তার বিশ্লেষণ করেছেন ! তিন প্রকারের তপস্যা আর তিন প্রকারের ভোজন বলেছেন !
এই অধ্যায়ে আর পরবর্তী জীবনে যে বিশিষ্ট কথা আছে , তিন প্রকারের বুদ্ধি , তিন প্রকারের ত্যাগ , তিন প্রকারের সুখ , তিন প্রকারের ধারণা শক্তি , তিন প্রকারের কর্ম অর্থাত কিভাবে আমাদের জীবন অতিবাহিত করতে হবে , এইসব আমাদের নিজেদের নিশ্চয় করতে হবে ! যদি আমাদের সাত্বিক জীবন কাটাতে হয় , তো আমাদের বুদ্ধি কেমন হওয়া দরকার? আমাদের ধারণা শক্তি কেমন হওয়া দরকার ? আমাদের কর্ম কিরকম হওয়া দরকার ? আর তার থেকে related সুখ কিরকম হওয়া উচিত ? এইভাবে তিন তিন কথাকে ভালোভাবে স্পষ্ট করেছেন!
সারাংশে জীবন অতিবাহিত করার বিধি বলেছেন ! সন্ন্যাসের পরম সিদ্ধি কি ? সেটাও স্পষ্ট করেছেন ? সন্ন্যাসের মানে এই নয় যে সব কিছু ছেড়ে দিতে হবে , নিজের কর্তব্যকে ছাড়া , নিজের উত্তরদায়িত্বকে ছাড়া , এইসবকে সন্ন্যাস বলা হয় না |
সার -- মানুষদের ভিতরে থাকা আসুরী বৃত্তির সন্ন্যাস , এইসবের বিশেষ প্রেরণা দিয়েছেন ! এখানে ত্যাগের অর্থ আর মানবীয় চেতনা তথা কর্মে প্রকৃতির গুণের প্রভাব বোঝান ! এই অধ্যায়ে বর্ণিত সংকেত আমাদের আন্তরিক ব্যক্তিত্বের বোধ করায় , যে কিভাবে ব্যক্তিত্বকে আমাদের নিজের ভেতর থেকে নির্মান করতে হবে , আর সময় প্রতি সময় , আমরা এই সূচকের আধারে নিজের ব্যক্তিত্বের অবলোকন করি , যে এটা সাত্বিক , রাজসিক না তামসিক ! সেইসবের আধারে নিজেকে পরিবর্তন করুন !
ওম শান্তি !
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন