🌻ON GODLY SERVICE🌻
📚গীতা জ্ঞানের আধ্যাত্মিক রহস্য📚
✨The Great Geeta✨
📝No.094📝
💐 *সমর্পণ.....ভাব* 💐
🎗নবম,দশম,এগারো এবং বারো অধ্যায়🎗
💐ঈশ্বরকে সখা বানিয়ে দেখো কতখানি সুন্দর অনুভব হয়। ভক্তিমার্গে যিনি ঈশ্বরের সাথে যেমন সম্বন্ধ স্থাপন করেছেন, তিনি ঈশ্বরকে নিয়ে ঠিক তেমনই সুখ অনুভব করছেন(সুধামা, অর্জুনের মতো)। অর্জুন সারথি রূপে সম্বন্ধ স্থাপন করেছিলেন তাই ঈশ্বর ও অর্জুনের সারথি হয়ে সখার মতো সবসময় সঠিক নির্দেশ দিয়েছিলেন অর্থাৎ 'মিত্রসম্বন্ধী ভাব'। যদিও অর্জুন শিব পরমাত্মার সাধারণ রূপের সাথেই সম্বন্ধ স্থাপন করেছিলেন অর্থাৎ শ্রী কৃষ্ণ রূপের সাথে, কিন্তু এটাতো অবশ্যই মানতো যে ভগবান কৃষ্ণই তার সখা।
ভগবান বলেছেন, "অত্যন্ত দুরাচারী হয়েও যে অনন্য ভাবে নিশ্চয় বুদ্ধি ধারণ করে আমার (ঈশ্বরের) স্মরণে আসে, সেবা করে তার সাধু হওয়ার যোগ্যতা আছে, তার মনের ভিতর যতই দুরাচারী স্বভাব থাকুক না কেন। কিন্তু দুরাচারীর মনে কখনো ঈশ্বরের প্রতি শ্রদ্ধা ভাব থাকে না, এইজন্য দয়ালু ভগবান বলেছেন, "যদিও সে দুরাচারী তবুও যদি নিশ্চয় বুদ্ধি নিয়ে অনন্য ভাবে আমার স্মরণে আসে, সেবা করে তো ওই দুরাচারীও সাধু হয়ে যায়। কারণ দুরাচারীর সামনে যখন ঈশ্বরের নাম নেওয়া হয় তখন তারা বলে,"আরে ভগবান বলে কেউ নেই"...ওরা তো শুধু এটাই জানে হয় মারো নয় মরো। ঈশ্বরকে কখনও ওরা শ্রদ্ধা সম্মান করে না কিন্তু তবুও ঈশ্বর তাদের প্রতি খুবই দয়ালু। শাস্ত্রে এইরকম অনেক কাহিনী রয়েছে,.....
💫এক ব্যাক্তি ঈশ্বরকে একদম মানতো না, তাই বুদ্ধি করে ওই ব্যক্তির স্ত্রী তাদের পুত্রের নাম নারায়ণ রাখে এই ভেবে যে অন্তত পুত্রকে ডাকার সময় তো নারায়ণের(ভগবানের) নাম নেবে।কিন্তু তবুও ওই ব্যক্তি খুব সামলে নিজের পুত্রের নাম তথা নারায়ণের নাম নিত। অন্তিম সময়ে প্রাণত্যাগ করার পূর্বমুহূর্তে ওই ব্যক্তি দেখতে পায় যে যমদূত তাকে নিতে এসেছে,ভয়ে ওই ব্যক্তি তখন নিজের পুত্রের নাম ধরে ডাকতে থাকে,"নারায়ণ আমাকে বাঁচাও যমদূত নিতে এসেছে"। দয়ালু ভগবান তখন স্বয়ং দৌড়ে আসে ওই ব্যক্তির কাছে কেননা সে ভগবান এর নাম নিয়েছে।
শাস্ত্রে এইরকম অনেক কাহিনী আছে যেগুলো আমাদের স্মৃতিমন্থন করায় যে ব্যাক্তি যতই দুরাচারী হোক না কেন ,তবুও ভগবান তাদের প্রতি কতো দয়া ভাব দেখিয়েছেন। যে ব্যাক্তি ঈশ্বরের স্মরণে কখনো আসে না কিন্তু কখনও কখনও সময় চক্র ওই ব্যাক্তিকে ঈশ্বরের প্রতি শ্রদ্ধা ভাবকে মজবুত করে দেয়, সাধু হওয়ার যোগ্যতা লাভ করে, পরম শান্তি অনুভব করে...যেটা সে কখনোই ছিল না বা তার দ্বারা সম্ভব ছিল না। তাহলে ভেবে দেখুন ঈশ্বর যদি দুরাচারীকেও সদগতি দিতে পারে তবে ধর্মাত্মা, ব্রাহ্মণ, যোগী, রাজঋষিদের কি গতি দেবেন। সেটা কখনো কল্পনা করা যাবে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন