অব্যক্ত পালনার রিটার্ন* ♦
*_ অচল অচল একরস স্থিতি_*
❒ ৩০ ❒ ০৯ ❒ ১৯ ❒
এখন সময়ের গতিকে জেনে পরিবর্তন শক্তিকে নিজের প্রতি প্রয়োগ করো। *সময়ের পরিবর্তনকে না দেখে নিজের পরিবর্তনকে দেখো।* সময়ের পরিবর্তনের অপেক্ষা অনেক করেছো। নিজেকে পরিবর্তন করার চিন্তা কম করেছো আর সময় পরিবর্তনের জন্য এই চিন্তা করেছো যে, এই রকম হলে ভালো হতো। তুমি রচয়িতা আর সময় হল তোমার রচনা। রচয়িতা অর্থাৎ নিজেকে পরিবর্তনের দ্বারা - রচনা অর্থাৎ সময়ের পরিবর্তন হবে। পরিবর্তনের আধারমূর্ত্ত তুমি নিজেই।
সময়ের সমাপ্তি অর্থাৎ এই পুরানো দুনিয়ার পরিবর্তনের সময় নির্ধারক তুমি-ই। *সমগ্র বিশ্বের আত্মাদের নজর তোমাদের উপরেই আছে, কারণ কখন তোমরা সময়ের সমাপ্তি ঘোষণা করবে, তার জন্য।* তোমার জানা আছে কি তোমাদের ঘড়িতে এখন কটা বেজেছে? তুমি উত্তর দিতে পারবে, না কি জিজ্ঞাসা করবে? অপেক্ষায় আছো কি? সময়কে সাক্ষাৎ করানো আত্মা কখনো সময়ের অপেক্ষায় থেকে দোলাচলে আসে নাতো? দোলাচলে আছো, নাকি অচল আছো? "কি হবে, কবে হবে, হবে কি না হবে? *ড্রামা অনুসারে সময় প্রতি সময় তোমাকে দোলাচলে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরীক্ষা আসতে থাকবে আর আসবেই।*
যেরকম গাছকে নাড়ানো হয় সেইরকম নিশ্চয়ের ভীত অর্থাৎ ফাউন্ডেশনকে নাড়ানোর জন্য তোমাদের কাছে পরীক্ষা আসতেই থাকবে। পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তৈরি আছো, নাকি দুর্বল আছো?পান্ডব সেনারা তৈরি আছে, নাকি শক্তি সেনা তৈরি আছে অথবা দুজনেই তৈরি আছো? সতর্ক থাকা ছাত্ররা পরীক্ষাকে আহ্বান করে আর দুর্বল ছাত্ররা ভয় পায়। তাহলে তুমি কোন পর্যায়ে আছো? *নিশ্চয় বুদ্ধির লক্ষণ এটাই হল যে, সে প্রত্যেক কথায় এবং দৃশ্যকে নিশ্চিত জেনে সর্বদা নিশ্চিন্ত হয়ে থাকবে। কেন, কি, কিভাবে - এই সমস্ত চিন্তা করবেনা।* ফরিস্তা-ভাবের অন্তিম স্থিতির লক্ষণ হলো - সদা শুভচিন্তক আর সদা নিশ্চিন্ত। এইরকম তৈরি হয়েছো? *অনুভবী কোর্সে নিজেকে অনুভব করো। আর এখন অন্তিম কালের অল্প পুরুষার্থের সময়ে নিজের মধ্যে সর্বশক্তিগুলিকেপ্রত্যক্ষ করো।*
❤ অব্যক্ত বাপ-দাদা
(০৭-০২-১৯৭৬)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন