♂❣🧚♂❣🧚♂❣🧚♂❣🧚♂❣
সন্নাসীরা বলেন, সুখ হল কাক বিষ্ঠা সমান।
আদপে তারা কী জানেন সুখ কী ? না, তাদের জানার কথাও নয়। কারণ তারা তো সুখ কী তা দেখেনইনি।
পাঁচ হাজার বছরের একটি কল্পের সূচনায় প্রথমে আসে সত্যযুগ। তারপর ত্রেতা, দ্বাপর এবং কলিযুগ। সত্যযুগকে বলা হয় স্বর্গ আর কলিযুগ হল নরক। সত্যযুগ স্বর্গ আর ত্রেতা হল সেমি-স্বর্গ। কলিযুগের অন্তিম এই সৃষ্টির রচয়িতা, সমস্ত মনুষ্য এবং প্রাণী কুলের পিতা শিব পরমাত্মা এই ভারতভূমিতে অবতীর্ণ হন এবং একজন বৃদ্ধ তনের আধার নিয়ে গীতা জ্ঞান প্রদান করে সেই সত্যযুগ বা স্বর্গ রাজ্যের উপযুক্ত করে গড়ে তোলার জন্য পুরুষার্থের দ্বারা সম্পূর্ণ পবিত্র হওয়ার শিক্ষা প্রদান করেন।
এরপর পৃথিবীতে যখন সত্যযুগ (পরমাত্মার জ্ঞানকে ধারণ করে যারা কলি আর সত্যযুগের মধ্যবর্তী সময়, যাকে পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ বলা হয়, সেই সময় পুরুষার্থ করেছিলেন), আসে, তখন তারা অখন্ড সুখ ভোগ করে। যেখানে দুঃখ কী বস্তু তা তারা জানেনই না।
সত্য, ত্রেতা অতিবাহিত হওয়ার পর দ্বাপর যুগে একে একে বিভিন্ন ধর্মের স্থাপন হয় এবং এই দ্বাপরেই আদি শংকরাচার্য সন্ন্যাস ধর্মের স্থাপনা করেন। সুতরাং সত্য - ত্রেতায় যে অখন্ড সুখ, তার বিষয়ে তো সন্ন্যাসীদের বিন্দু বিসর্গও ধারণা নেই। তাই তারা অনায়াসেই বলে দেয় - সুখ হল কাক বিষ্ঠা সমান।
আচ্ছা বলুন তো, অশ্বত্থ বা বটগাছের বীজ পাওয়া যায় কি ? এর জবাব হলো, না । বট বা অশ্বত্থ গাছের কলম যতই রোপণ করুন না কেন, তা লাগবে না, কেননা প্রকৃতি এই দুই উপযোগী বৃক্ষের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রেখেছে । এই দুই বৃক্ষের ফল কাক খায় আর তার পেটেই বীজের অঙ্কুরোদগম হয় । কাকের মলত্যাগের মাধ্যমে সেই বীজ ধরিত্রীর মাটিতে পড়ে, আর তার থেকেই এই দুই বৃক্ষের জন্ম হয় । অশ্বত্থ এমনই এক বৃক্ষ, যা round the clock অক্সিজেনের যোগান দেয়, আর বট হলো এক ঔষধি গুণ সম্পন্ন বৃক্ষ ।
বীজের মধ্যেই বৃক্ষ সমাহিত থাকে। আজ যেটা বীজ, আগামীতেই তা মহীরূহ।
আর কাক বিষ্ঠা ! সেও যে তুচ্ছ করার মতো জিনিস নয়, তা তো এই উদাহরণের দ্বারা সহজেই বোঝা যায়।
সৃষ্টি রূপী কল্প বৃক্ষের চারা এখন রোপন হচ্ছে। শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে যে শতাব্দী প্রাচীন বটগাছটি রয়েছে, যার প্রধান মূলটিই প্রায় লুপ্ত বা গুপ্ত। ঠিক তেমনই সৃষ্টিতে যে সত্যযুগ ছিল, দেবী-দেবতাদের রাজত্ব ছিল, যাকে বলা হয় আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্ম, তাও শিবপুরের বট গাছটির প্রধান মূলের মতো তাও এখন লুপ্ত। তারই চারা এখন রোপন হচ্ছে। ধীরে ধীরে তা একটি বিশাল বৃক্ষে পরিণত হবে। আজ যেটা বীজ, তা সার রূপে রয়েছে, ভবিষ্যতে তা বিশাল বৃক্ষে পরিণত হবে। সত্যযুগে তারা অখন্ড সুখ ভোগ করবে বা বলা চলে সত্য - ত্রেতা পর্যন্ত অর্ধ কল্প সুখই সুখ ভোগ করবে। তাহলে কী বলা চলে যে, সুখ হল কাক বিষ্ঠা সমান ????
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন