ওম্ শান্তি ***
বিশ্ব্ব-কল্যাণকারী স্টেজ :-
---------------------------------
১. বিশ্বের সর্ব আত্মারা হল তোমার পরিবার। কেননা বেহদের বাবার বাচ্চা তুমি। তাহলে তুমিও বেহদের পরিবারের হলে | এই জন্য দয়ালু হয়ে সর্ব আত্মার কল্যাণকারী হওয়াটাই হলো বিশ্ব-কল্যাণকারী স্টেজ | স্মৃতিতে যেন থাকে - আমি হলাম বিশ্বের মালিকের সন্তান। মাস্টার রচিয়তা হয়ে বিশ্বের দেখা-শোনা করা বা বিশ্বের প্রতিক্রিয়া করা, এইটাই হলো বিশ্ব-কল্যাণকারী স্টেজ | যেমন আগেকার যোগ্য রাজারা সর্বদা নিজের রাজ্যের পরিক্রমায় নির্গত হতেন, | প্রজাদের সর্বদা সুখী আর সন্তুষ্ট রাখতেন | এমনি মাস্টার রচিয়তা হয়ে বিশ্বের দেখা-শোনা করতে হবে |
২. বিশ্ব-কল্যাণকারী বাচ্চারা স্বপ্নেও খালি (free) থাকতে পারেন না | তাদের স্বপ্নেও সেবাটাই দেখা যাবে | যারা দিন রাত সেবা তে ব্যস্ত থাকেন, তাদের স্বপ্নেও অনেক নতুন-নতুন কথা, সেবার প্লান বা উপায় দেখা যায় | বিশ্ব-কল্যাণকারীর মানেই হলো বিশ্বের আধারমূর্তি, তারা কখনো অলস (lazy) হতে পারে না |
৩. যেমন বাবার কাছে নিজেকে সমর্পণ কর, তেমনি নিজের সময় আর সর্ব প্রাপ্তি গুলো, জ্ঞান, গুন আর শক্তিগুলো বিশ্বের সেবার্থে সমর্পণ কর | যা সংকল্প ওঠে সেটাকে চেক কর যে, বিশ্ব সেবার প্রতি এইটা হচ্ছে তো ? যখন সেবার প্রতি নিজেকে সম্পূর্ণ সমর্পণ করবে তখন বিশ্ব-কল্যাণকারী স্টেজে টিকে থাকতে পারবে |
৪. বিশ্ব-কল্যাণকারী হলেন তারা, যাদের প্রতিটি কথা রুহানি সাজের মতন উত্সাহ আর উদ্দীপনায় নিয়ে আসে |
দুঃখী আত্মারা আনন্দে নাচতে থাকবে । যাদের প্রতিটি কর্ম চরিত্রের সমান গাইবার মতন হবে | প্রতিটি সেকেন্ডের সম্পর্ক আত্মাদের সর্ব কামনার প্রাপ্তির অনুভব করায় | কোনো আত্মাকে শক্তির, কাউকে শান্তির, কঠিনকে সহজ করার, অধীন থেকে অধিকারী হওয়ার, দুঃখী থেকে প্রফুল্ল হওয়ার, ছত্রছায়ার অনুভব করায় |
৫. এত বড় বিশ্বের কল্যাণ করবার জন্য একই সময় প্রতিটি সেকেন্ড মন, বাণী,আর কর্ম তিনিটি দ্বারাই সাথে-সাথে সার্ভিস করতে হবে | যখন তিনটি রূপেই সেবা হবে, তখন এই সেবার কার্য শেষ হতে পারবে | একই সময় তিনটি রূপেই সেবা যারা করেন, তারাই হলেন বিশ্ব-কল্যাণকারী |
৬. বিশ্ব-কল্যাণকারী স্টেজে টিকে থাকলে সর্বদা অথক আর নিরন্তর সেবাধারী হবে | সর্বদা ever ready, allrounder হবে | কোনো রমমেরই অবগুণ আত্মার প্রতি, কঠিন সংস্কারের আত্মার প্রতি, কম বুদ্ধির আত্মাদের প্রতি, গ্লানি করে এমনকি আত্মাদের প্রতিও কল্যাণকারী অর্থাত lawful আর lovefull হবে | তাদের সামনে কোনো রমমের অবগুনধারী আত্মাই হোক না কেন অথবা অজ্ঞানী আত্মা, তাদের মন্দ বা দুর্বলতা গুলোকে কল্যাণকারী হওয়ার কারণে ক্ষমা করবে, মনে স্থান দেবো না |
৭. যেমন বাবার সংকল্প বা বাণীতে, নয়নে সর্বদাই কল্যাণের ভাবনা বা শুভ-কামনা ভরা থাকে | তা সে যেমন প্রকারের কাজই করুক না কেন, হদের প্রবিত্তিকে বা কোনো সেবাকেন্দ্র চালাবার জন্য নিমিত্ত হলেও কিন্তু ভেতরে সর্বদা বিশ্ব-কল্যানের ভাবনা যেন ভরে থাকে | সর্বদা সামনে বিশ্বের সর্ব আত্মারা emerge যেন হয়। যত দুরেই থাকুক, আত্মাদের নিজের শ্রেষ্ঠ ভাবনা বা শ্রেষ্ঠ কামনার আধার দিয়ে সেকন্ডে শান্তি বা শক্তির কিরন দেবতা, মাস্টার জ্ঞান সূর্য হয়ে বিশ্বকে কল্যানের আলো দেবাটাই হলো বিশ্ব-কল্যাণকারী স্টেজ |
৮. বিশ্ব-কল্যাণকারী সেবাধারী বাচ্চাদের সংকল্প কখনো ব্যর্থ থাকতে পারে না, কেননা তারা বিশ্বের স্টেজে act করতে থাকে। তাদের সমগ্র বিশ্ব copy করে | যদি একটাও সংকল্প ব্যর্থ হয়, তবে নিজের প্রতি করলে না কিন্তু অনেকদের প্রতি নিমিত্ত হয়ে গেলে | যেমন তোমরা সেবার লিফ্ট এর গিফট পেয়ছ, অনেকের সেবার share পেয়ে যাও, ঠিক তেমনি যদি কোনো এমন কাজ কর তাহলে অনেকের ব্যর্থ শেখানোরও নিমিত্ত হয়ে গেলে। |এই জন্য এখন ব্যর্থর খাতা সমাপ্ত করো |
ওম শান্তি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন