*জ্ঞান আর শক্তির চৈতন্য অবতার 'মাতেশ্বেরী জগদম্বা সরস্বতী'*👸
*জ্ঞানের প্রকাশ আমাদের জীবনকে আলোকিত করে, কিন্তু মানবতার ইতিহাসে এমনও মহান বিভূতি আছেন, যিনি স্বয়ং জ্ঞানের প্রকাশ হয়ে এই সংসারকে এতোটাই আলোকিত করেছেন যে, জ্ঞানের প্রতিমূর্তির রূপে যিনি যুগে যুগে অজ্ঞান তিমির নাশ করে জ্ঞানের প্রকাশে মানব হৃদয়কে আলোকিত করে আসছেন । তাঁর উপমার জন্য উপযুক্ত শব্দের সীমা আজ সমাপ্ত । এমনই একজন ভারতীয় শিরোমণির প্রতিনিধি, ঈশ্বরীয় জ্ঞানের কালজয়ী অবতার, রুদ্র যজ্ঞ রক্ষক মাতেশ্বেরী জগদম্বা এই ধরায় যুগান্তকারী পরিবর্তনের সংবাহক হয়ে হাজার ব্রহ্মাবৎসের মানস পটে পরমাত্মা শিবের জ্ঞানের যে পরশ লাগিয়েছেন, তা বর্তমান সময়ে লাখ - লাখ মনুষ্য আত্মার জীবনকে আলোকিত করেছে । জ্যোতির্বিন্দু স্বরূপ পরমাত্মা শিব স্বয়ং শরীর ধারণ করতে পারেন না, কিন্তু মাতেশ্বেরী জগদম্বার রূপে পরমাত্মা এই সংসারের ব্রহ্মাবৎস তথা লাখ - লাখ মনুষ্য আত্মাদের মাতৃত্বের সুখময় আঁচলের ছত্রছায়ায় পালনা দিয়ে নিজের মমতাময়ী স্বরূপকে প্রকট করেছিলেন ।*
🕉 *ধর্মের সত্যি মর্ম*
*আধ্যাত্মিক জ্ঞান এবং শক্তির চৈতন্য দিব্য মূর্তি মাতেশ্বেরী শ্রী জগদম্বা, কর্মযোগের জ্ঞান গঙ্গা প্রবাহিত করে আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে পুরুষের প্রাধান্যতাকে ভঙ্গ করে সমস্ত সংসারে এই সন্দেশ দেন যে, আধ্যাত্মিক পুরুষার্থ এবং সাধনার জন্য ত্যাগ, তপস্যা এবং আত্ম অনুভূতিই যথার্থ সত্য, লিঙ্গ ভেদ এবং বাহ্যিক পরিচিতির কোনো গুরুত্ব নেই । মাম্মা যেই সময়ে আধ্যাত্মিক সাধনার দ্বারা অজ্ঞানতায় দিশাহীন সমস্ত মানবের হৃদয়কে জ্ঞানের প্রকাশে আলোকিত করার পথ চয়ন করেছিলেন, ১৯৩৬ সালের সেই কালখণ্ড এক নারীর জন্য অনেক বড় সাহসী পদক্ষেপ ছিলো, কেননা সেই সময়ের পুরুষ প্রধান সমাজ ধর্মের সুরক্ষার নামে নারীদের গৃহের অভ্যন্তরে পর্দানসীন করে রাখতো । তারা তাকেই সত্য ধর্ম মনে করতো । শ্রী মাতেশ্বেরী জী রাজযোগ সাধনা আর সহনশীলতার গুণে সম্পূর্ণ সংসারের সামনে ধর্মের সত্যি মর্ম স্পষ্ট করেছিলেন যে, আত্ম অনুভূতি এবং পরমাত্ম অনুভূতির দ্বারাই সত্য ধর্মের স্থাপনা হয়, নারীদের গৃহবন্দী আর পর্দার অন্তরালে রেখে নয় ।*
*আধ্যাত্মিক সাধনা এবং ঈশ্বরীয় জ্ঞানের দ্বারা অজ্ঞানতায় পথ হারানো দুঃখী আর পীড়িত সমস্ত মানব জাতিকে জীবনমুক্তি প্রদান করার মাম্মার ক্রান্তিকারী সিদ্ধান্ত মানবতার ইতিহাসকে পরিবর্তনকারী এক বিশেষ ঘটনা ছিলো কেননা তিনি নারীদের জন্য পূর্ণত: নারীদের জন্য নিষিদ্ধ ধর্মের দ্বারকে উন্মুক্ত করেছিলেন । তিনি নিজের দিব্য ব্যক্তিত্বের চুম্বকীয় আকর্ষণে হাজার - হাজার নারীকে স্বয়ং পরমপিতা পরমাত্মার দ্বারা এই সৃষ্টির মহাপরিবর্তনের মহান কাজে নিমিত্ত করে যে নব সৃজনের পথ দেখিয়েছিলেন, তা বর্তমানে নারী সত্বা দ্বারা সঞ্চালিত "প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমারী ঈশ্বরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের" রূপে সমগ্র সংসারকে আলোকিত করছে ।*
🌟🌟 *বীণাবাদিণী সরস্বতীর চৈতন্য অবতার*🌟🌟
*অবিভাজিত ভারতে ১৯১৯ সালে অমৃতসরের এক সামান্য পরিবারে জন্মগ্রহণ করা, পিতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত কিন্তু আধ্যাত্ম শিখরকে স্পর্শকারী মাতেশ্বেরী জীর সমাধিস্থ হয়ে উচ্চারিত "ওম" ধ্বনির আধ্যাত্মিক তরঙ্গের এতোটাই শক্তিশালী প্রবাহ ছিলো যে, "ওম" ধ্বনি উচ্চারিত হতেই সম্পূর্ণ পরিবেশে গভীর শান্তি ছেয়ে যেতো । এই ধ্বনির সংস্পর্শে আসা মানুষ ধ্যানের অবস্থায় চলে যেতেন । তাই মাতেশ্বেরী জীর 'ওম শ্রী রাধে' থেকে 'যজ্ঞ মাতার' দিব্য ব্যক্তিত্বের রূপে মহাপরিবর্তন মাতেশ্বরী জীর 'বীণাবাদিনী সরস্বতীর' চৈতন্য রূপে এই ধরায় সাক্ষাৎ অবতরণের দিব্য কাহিনী ।এক নতুন ইতিহাস সৃজন - তাঁর লৌকিক মাতা থেকে শুরু করে বাচ্চা, যুবা, বৃদ্ধ সকলেই তাঁকে "মাম্মা" নামে সম্বোধন করতেন, আর তিনিও যজ্ঞ মাতার বেহদের দৃষ্টিতে, আধ্যাত্মিক জ্ঞানে সকলের পালনা করে নারী সত্ত্বার আধ্যাত্মিক উত্থানের এক নতুন গৌরব গাঁথা সৃজন করেছিলেন । মাতেশ্বরী জগদম্বার পবিত্র সান্নিধ্যে প্রেরিত হয়ে লাখ - লাখ মনুষ্য আত্মা জ্যোতির্বিন্দু স্বরূপ পরমাত্মা শিবের নতুন সত্যযুগী দুনিয়ার পুনঃস্থাপনার মহান পরমাত্ম কার্যে নিজেকে সমর্পণ করার ঘটনা ইতিহাসে অন্যত্র কোথাও পাওয়া যায় না ।*
🌹🌹ওম শান্তি 🌹🌹
🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন