✨ *আত্মার প্রতিচ্ছবি* ✨
——— *ব্রহ্মাকুমারি সিস্টার শিবানী*
🏛 *পর্ব - ১৪* 🏛
🙏 *ওম শান্তি* 🙏
*যখন ব্যক্তি আর পরিস্থিতি আমাদের পছন্দের মতো না হয়, তো তখন আমাদের মধ্যে রাগ উৎপন্ন হয়। আমাদের মন উদাস হয়ে যায়। আর যখন তারা আমাদের মনের মত হয়, তো তখন আমরা খুশি হয়ে যাই। আজ বাবা-মা তাদের সন্তানদের সব কিছু দিতে চান, দিয়েও দেন। সেই সন্তান যখন বড় হয়, তখন সে এটা চিন্তাও করতে পারে না যে, ব্যক্তি আর পরিস্থিতি একসময় তার সাথেও হতে পারে। কেননা তারা তো সব কিছুই পেয়ে এসেছে। পরবর্তীকালে এটা এক ধরনের মানসিক রোগের জন্ম দেয়। যখন এই বাচ্চারা সেই রকম বাতাবরণে যায়, যেখানে ব্যক্তি আর পরিস্থিতি তার পছন্দ অনুসারে থাকবে না। তখন সে বাইরে তো কিছুই করতে পারবেনা, অন্তরে নিজের মনকে শান্ত করতেও পারবে না। কেননা তার তো এই রকম পরিস্থিতিতে মোকাবিলা করার অভ্যাসই নেই.......।*
*আজ আমরা বাচ্চাদের সেটাই দিয়ে থাকি,, যেটা ওরা আব্দার করে। কিন্তু বাবা-মাকে এ বিষয়ে অবশ্যই মনোনিবেশ করতে হবে যে, ওরা জীবনে প্রতিটি জিনিসই প্রাপ্ত করতে পারবে না, যেটা ওরা চাইবে... । এটা আমরা আমাদের জীবনেও দেখতে পাই যে, প্রত্যেক দিন সেই পরিস্থিতি আসে না, যেটা আমরা চাই। ওই বাচ্চার মধ্যে কি সেই ধরনের শক্তি থাকে, ওই পরিস্থিতিতে মোকাবিলা করার জন্য। যেখানে তার সামনে থাকা ব্যক্তি সেই রকম হবে না, যেরকম সে আশা করেছিল........।*
*যদি এইরকম কোন অভ্যাস থাকে, যেটা বাচ্চাদের জন্য ঠিক নয়, (যেমন যদি বাচ্চা মোবাইল দেখতে দেখতে খাবার খায়, মোবাইল না পেলে খাবার খেতে চায় না। তখন বাবা-মা এটাই চিন্তা করে যে কিছুটা তো খেয়েছে। কিন্তু এটাই পরবর্তীকালে তার অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যায়। তাহলে এই অভ্যাস তার মধ্যে, কে তৈরি করে দিচ্ছে?তার বাবা মা, তাই না?*
*অল্প কিছু সহ্য করার পরিবর্তে সহজমার্গ খুঁজে নিচ্ছে, চলো কিছু তো খাচ্ছে, এই সংস্কারই পরবর্তীকালে তার কত বড় ক্ষতি করতে পারে) বাবা-মাকে প্রয়াস করতে হবে যে, তাদের সন্তান যেন সু সংস্কার শেখে.........।*
*একটা খুবই শক্তিশালী সকারাত্মক সংকল্প নিজের সন্তানের জন্য, "এই জিনিসটা ছাড়াই খাবার খাবে, খাবার খাচ্ছে, ভালোবাসার সহিত খাবার খাচ্ছে"৷ আমাদের এটাই আশীর্বাদ করতে হবে........।*
*আজ বাবা মা বলেন, এই হচ্ছে আমাদের সন্তান, এই জিনিসটা ছাড়া খাবার খেতেই চায় না। বাচ্চাটির প্রতি আপনার ভাবনা কী রকম ছিল?*
*তাই প্রথমে নিজের চিন্তারই পরিবর্তন চাই। আর রান্না করার সময় শুদ্ধ চিন্তা করতে হবে। এই চিন্তা করতে হবে যে, আমার সন্তান তো খুব ভালোবাসার সঙ্গে খাবার খাচ্ছে, এই জিনিসটা ছাড়াই খাবার খাচ্ছে, সব রকম সব্জি খাচ্ছে.......!*
*অভিভাবকরা তাদের মনে, আগে থেকেই সন্তান সম্বন্ধে এই স্থির বিশ্বাস তৈরি করে নিয়েছে যে, আমার বাচ্চা তো এটা ছাড়া কিছু খেতেই চায় না। প্রথমেই নাকারাত্মক চিন্তা তৈরি করে। এই স্থির বিশ্বাস কে পরিবর্তন করতে হবে। শুদ্ধ সকারাত্মক ভাবনা দিয়ে খাবার তৈরি করতে হবে, পরিবেশনও করতে হবে। তবেই ঐ কুসংস্কার সমাপ্ত হবে.....!*
🙏 *।। ওম শান্তি।।* 🙏
⛲⛲⛲⛲⛲⛲⛲⛲⛲
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন