গীতা জ্ঞানের আধ্যাত্মিক রহস্য 🌻
🙏🙏 সমর্পন ভাব 🙏🙏
নয়,দশ,এগারো এবং বারো অধ্যায় ☀☀☀☀
🌷🌷পুনরায় অর্জুন বললেন, এই উগ্র রূপ ধারণকারী ,আপনি কে ?আমি জানতে চাই আপনি আদি পুরুষ কে ? যে বিরাট রূপ আপনি দেখালেন তা অত্যন্ত দিব্য ও উগ্র, এক মুখ দিয়ে সমস্ত আত্মারা প্রবেশ করছে তো দ্বিতীয় মুখ দিয়ে কিছু আত্মা দৈবী স্বরূপে নিচে অবতরণ করছে। এই উগ্র রূপধারী আপনি কে ? আমি জানতে চাই ,এই আদি পুরুষ ,আপনি কে ? আমি আপনাকে এবং আপনার প্রবৃত্তিকে জানতে চাই।
ভগবান উবাচ : আমি ত্রিলোক নাশকারী মহাকাল, অতএব তুমি উঠে দাঁড়াও এবং যশ প্রাপ্তি করো। এরা সকলে আগেই আমার দ্বারা নিহত হয়েছে। তুমি তো নিমিত্ত মাত্র। পরমাত্মা ক্ষণমাত্রে এই বিশ্বসংসার পরিবর্তন করতে পারেন। তবুও তিনি কোনো যাদুমন্ত্রের প্রয়োগে কাজ করতে চান না তাই তিনি মানুষকে নিমিত্ত করেন। এই নিমিত্ত ভাব জাগৃত করে আমাদের কর্তব্য করে যেতে হবে। তাই তাকে আদেশ দেন, ওঠো ,নিজের কর্তব্য করো এবং যশ প্রাপ্ত কারো। তিনি এই উগ্র রূপ ধারণ করার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে বললেন ,পরমাত্মা কালেরও কাল অর্থাৎ মহাকাল এবং এবং ওনার কাজ সমস্ত নেতিবাচক শক্তিদের নাশ করা।এই সময় পৃথিবীতে নেতিবাচক শক্তির ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক -এক জন ব্যক্তির মধ্যে যে নেতিবাচক ভাবনা আছে,বিকৃতি আছে সেগুলি আসুরিক। ভগবান পৃথিবীতে অবতরিত হন এই সকল আসুরিক শক্তির বিনাশের জন্য। অধার্মিকদের শক্তি এবং সামর্থ যতই থাকুক না কেন লোক হীতকারী মহাকালের শক্তির দ্বারা আগেই তাদের বিনাশ সম্পন্ন করা হয়েছে।
🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন