সঙ্গম যুগ কি - সৃষ্টিচক্র আর সঙ্গম যুগ

*সৃষ্টিচক্র আর সঙ্গম যুগ*

****************************

*সৃষ্টিচক্র আর সঙ্গমযুগের যথার্থ জ্ঞান যদি মানুষের কাছে থাকতো, তাহলে আজকের দুনিয়া এইভাবে ভ্রষ্টাচার আর পাপে ডুবে থাকতো না l দুনিয়া যখন অজ্ঞানের অন্ধকারে ডুবে থাকে পাপ এবং অন্যায় - অত্যাচার যখন দুনিয়াকে আবৃত করে রাখে তখনই এই দুনিয়াকে শুধু কলিযুগ নয়, ঘোর কলিযুগ বলা হয় l*

🌍 *তাহলে আসুন, আমরা জেনে নিই, আমাদের সৃষ্টিচক্র কি করে ------*

🌟 *এই সৃষ্টি যেভাবে ঘুরতে থাকে, তাকেই বলা হয় সৃষ্টিচক্র l দুনিয়াতে প্রত্যেকটি ঘটনারই পুনরাবৃত্তি চলছে l এই সৃষ্টির সম্পূর্ণ সিস্টেম চক্র রূপে ঘুরে চলেছে l যেমন ----রাত - দিন, জন্ম - মরণ, ঋতুচক্র, সপ্তাহ, মাস, সাল ইত্যাদি l তেমনই যুগের প্রত্যেকটি সিস্টেমেরই একটা চক্র থাকে l কল্পেরও প্রত্যেকটি সিস্টেমের একটা চক্র থাকে, যা কেউ দেখতে পায় না কেননা কল্পের আয়ু এতোই বড় যে, কোনো মানুষের পক্ষে তা দেখা সম্ভব নয় l তাই এই কল্পের সম্পূর্ণ জ্ঞান একমাত্র পরমপিতা পরমাত্মার কাছেই আছে, যিনি জন্ম - মরণ থেকে সম্পূর্ণ পৃথক l এক কল্প অর্থাৎ চার যুগ l যথা -----সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর এবং কলি l এই চার যুগ মিলে হয় এক কল্প l এক একটি যুগের আয়ু হলো ১২৫০ বছর l তাহলে ১২৫০ x ৪ = ৫০০০ বছরের এক কল্প, অর্থাৎ সৃষ্টিচক্রের একবার চক্র সম্পূর্ণ করার পূর্ণ সময় l*

*এবার আমরা জানবো এই চার যুগ কেমন ----*

👸🤴 *সত্যযুগ :-- রাধা - কৃষ্ণ, যারা বড় হয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর লক্ষ্মী - নারায়ণ রূপে পরিচিত হন, এ হলো তাঁদের যুগ l এই কারণেই সত্যনারায়ণের কথা প্রচলিত, যেহেতু নারায়ণ সত্যযুগে জন্মগ্রহণ করেছিলেন lসেইসময় এই ধরিত্রী ছিলো স্বর্গরাজ্য l চারিদিকে ছিলো স্বর্ণময় প্রকাশ, একেই স্বর্ণযুগ বলা হয় l যেই যুগকে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বিভিন্ন নামে জানে l যেমন ---- প্যারাডাইস, জন্নত, বেহস্ত, আল্লাহ কা বাগিচা, বৈকুন্ঠ ইত্যাদি l*

🤴👸🏹 *ত্রেতা :--- ত্রেতায় ছিলেন রাম - সীতা l একে Silver world বা রৌপ্য যুগ বলা হয় l*

👨👱‍♀ *দ্বাপর যুগ :-- দ্বাপর থেকে বিভিন্ন ধর্মের ধর্মগুরুদের আগমন শুরু হয় যা কলিযুগ পর্যন্ত জারি থাকে l কর্ম অনুসারে সর্বপ্রথম এসেছিলেন ইব্রাহিম - ইসলাম, গৌতম বুদ্ধ - বৌদ্ধ, ক্রাইস্ট - ক্রিশ্চানিটি, মহাবীর - জৈন এবং গুরু নানক - শিখ l*

👺 *কলিযুগ :-- এই যুগ হলো কলহ - ক্লেশের যুগ তার সঙ্গে বিজ্ঞানেরও চরম সীমায় পৌঁছানোর যুগ l এই যুগে বিজ্ঞানের সঙ্গে সঙ্গে পাপেরও অতিমাত্রায় বৃদ্ধি হয় l বিজ্ঞানের সমৃদ্ধি এমন পর্যন্ত হয় যে, মানুষ এই সময় বিনাশের সামগ্রীও তৈরী করে ফেলে l চারিদিকে মিথ্যা, ধোকা, বেইমানি, কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, ভয়, অসুরক্ষা, অকালমৃত্যু, পাপাচার, ভ্রষ্টাচার, অত্যাচার সব অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পায় তখন এক নবযুগ নির্মাণ হয় l এই কথা কোনো ধর্মে বা শাস্ত্রে উল্লেখ করা নেই l এই যুগকেই বলা হয় -----💥সঙ্গম যুগ 💥l*
*যখন সত্যযুগ থাকে, তখন ত্রেতা থাকে না, যখন ত্রেতা থাকে তখন দ্বাপর থাকে না, যখন দ্বাপর যুগ থাকে তখন কলিযুগ থাকে না কিন্তু কলিযুগের অন্তে যখন ঘোর কলিযুগ আসে তখন দুই যুগ সাথে সাথে চলে ----কলিযুগ আর সঙ্গমযুগ কিন্তু এ কেবল ১০০ বছরের জন্য অর্থাৎ ১২৫০ বছরের কলিযুগের শেষ ১০০ বছরকে সঙ্গমযুগ বলা হয় l যারমধ্যে ৮৩ বছর পার হয়ে গেছে l*

*সঙ্গম যুগ কি ?*

*সঙ্গম যুগের গুরুত্ব চার যুগ অপেক্ষা অধিক l একে হীরেতুল্য যুগ বলা হয় l এই সময় খারাপ অতিমাত্রায় পৌঁছায় এবং তখনই গীতার নিরাকার ভগবান পরমপিতা শিব অবতরিত হন, তিনি ধর্মের অতি গ্লানিকে গীতাজ্ঞান দ্বারা বিনাশ করে সত্য ধর্মের পুনঃ স্থাপনা করেন l যার ফল স্বরূপ কলিযুগের অন্ত হয় এবং সত্যযুগের স্থাপন হয় l তাই কলিযুগ আর সত্যযুগের মধ্যবর্তী এই ১০০ বছরের সময়কে সঙ্গম যুগ বলা হয় l এই সঙ্গম যুগের অন্তের পরেনতুন সৃষ্টি এবং নব বিশ্বের নির্মাণ হয় ফলে এই জ্ঞান নতুন কল্পে প্রায় লোপ হয়ে যায় l আর দ্বাপর যুগের শুরুতে যে গীতা লেখা হয় তাতে ভগবান শিবের জায়গায় রাজকুমার শ্রীকৃষ্ণের নাম দিয়ে দেওয়া হয় l*

💎 *এখন সেই মূল্যবান থেকেও অতি মূল্যবান সময় চলছে l এই সময় হলো হীরেতুল্য, যখন ভগবান স্বয়ং এসে গীতাজ্ঞান দ্বারা রাজযোগের মাধ্যমে আমাদের পবিত্র বানাচ্ছেন, নতুন বিশ্ব, নতুন সতোপ্রধান সত্যযুগের দেবী - দেবতা তৈরী করছেন আমাদের l ভগবান আসেনই বিশ্ব পরিবর্তনের কারণে, পতিত মানুষদের পবিত্র বানাবার জন্য l এ হলো ক্রান্তিকারী পরিবর্তনের যুগ l*

🙏 *এর বিস্তারিত তথ্যের জন্য নতুন স্বর্ণযুগে নিজের ভাগ্য বানানোর জন্য, প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমারী ঈশ্বরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো শাখায় ৭ দিনের কোর্স করা অত্যন্ত জরুরী l*
 বিস্তারিত জানতে এখানে  ক্লিক করুন-  লিঙ্ক 

🤴 *এখন নয় তো কখনোই নয় l পরে বলো না, ভগবান পৃথিবীতে এলো আর আমরা জানতে পারলাম না l*🤴

🌹🌹ওম শান্তি 🌹🌹

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন