রাম নবমীর আধ্যাত্মিক রহস্য ?

🏹🏹🌹🌹🏹🏹🌹🌹

🌻🍂 রাম নবমীর আধ্যাত্মিক রহস্য 🏹

☀ রাম নবমী পর্ব হিন্দু ধর্মে এক অতি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব, যা কিনা চৈত্র মাসের নবমী তিথিতে পালন করা হয় l কথিত আছে যে ত্রেতা যুগে এই দিন অযোধ্যার রাজা দশরথের ঘরে, তার প্রথম সন্তান এবং সেই রাজ্যের ভাবী রাজা শ্রী রামচন্দ্রের জন্ম হয়েছিলো l

☀ পরমাত্মা শিব স্বয়ং পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগে এই রহস্যের উদঘাটন করে বলেছেন যে,এই সৃষ্টিচক্র ৫০০০ বছরের, যাতে চারটি যুগ আছে -- সত্যযুগ, ত্রেতাযুগ, দ্বাপরযুগ এবং কলিযুগ l এই চার যুগের প্রতিটি যুগের সময় ১২৫০ বছর করে l সত্যযুগ এবং ত্রেতাযুগে এই ভারতে স্বর্গরাজ্য ছিলো, যার স্থাপন স্বয়ং নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মা শিববাবা প্রজাপিতা ব্রহ্মার মাধ্যমে এই কলিযুগের ছোটো যুগ সঙ্গমযুগে ব্রাহ্মণ ধর্ম স্থাপনের মাধ্যমে করেছিলেন l ব্রহ্মার মাধ্যমে তিনিই গীতা জ্ঞান দিয়েছিলেন, যার দ্বারা ব্রাহ্মণদের উন্নতি হয়েছিলো l এর মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল নরককে স্বর্গে পরিণত করা অথবা মানুষকে নর থেকে নারায়ণ বা নারী থেকে লক্ষ্মীতে পরিণত করা l এই রাজযোগের জ্ঞানের দ্বারাই বিশ্বে সত্য ধর্মের স্থাপনা হয়েছিলো, যা আবার এখন হতে চলেছে l সত্যযুগ আর ত্রেতাযুগে ভারত স্বর্গ ছিলো, সেইসময় সূর্যবংশী এবং চন্দ্রবংশী রাজত্ব ছিলো আর লক্ষ্মী - নারায়ণ এবং রাম - সীতার সাম্রাজ্য ছিলো l সত্যযুগে আট জন্ম আর ত্রেতাযুগে বারো জন্ম ছিলো l এইপ্রকারে লক্ষ্মী - নারায়ণের আটটি প্রজন্ম চলেছিল, তারপর রামের জন্ম হয়েছিলো l যেহেতু রামের জন্ম নারায়নের আট জন্মের পরে হয়েছিলো সেই কারণে রামের জন্মদিনকে রাম নবমী বলা হয় l

🏹 এছাড়া শ্রীরামের হাতে ধনুক আর তীর দেখানোর অর্থ হলো যেহেতু চন্দ্রবংশী রাজ্যে ১৪ কলা ছিলো তাই এই রাজত্ব সূর্যবংশী শ্রীলক্ষ্মী - নারায়ণের সমান গুণ বা কলায় সম্পন্ন ছিলো না l এই কারণেই স্বয়ংবরের পূর্বে শ্রীলক্ষ্মী - শ্রীনারায়ণ যাঁরা রাধা - কৃষ্ণ ছিলেন, তাঁদের যে মহিমা ছিলো সেই একই মহিমা রাম - সীতার ছিলো না l তাই শ্রীকৃষ্ণকে দোলায় দোলানো হয় কিন্তু রামকে তা করা হয় না l বর্তমান সময়ে পরমপিতা পরমাত্মা শিববাবা মানুষ থেকে দেবতায় রূপান্তরিত করানোর জন্য সহজ রাজযোগের শিক্ষা দিচ্ছেন, এই গায়নও আছে যে মানুষ থেকে দেবতা বানানো কোনো মুশকিল কাজ নয় l তাই এই ঈশ্বরীয় পড়ার একমাত্র লক্ষ্য হলো ঈশ্বরের স্মরণ বা জ্ঞানের দ্বারা শ্রীলক্ষ্মী বা শ্রীনারায়ণের মতো নিজেকে তৈরী করা, যার মহিমায় গাওয়া হয় -- সর্বগুণ সম্পন্ন, ১৬ কলা সম্পূর্ণ, সম্পূর্ণ নির্বিকারী, মর্যাদা পুরুষোত্তম l যা একমাত্র পরমপিতা পরমাত্মা শিবের শ্রীমতের সম্পূর্ণ পালনের দ্বারাই সম্ভব l কিন্তু তার আগে রামের মতো হতে হবে, অর্থাত্ স্বর্ণ যুগের আগে নিজেকে রৌপ্যযুগের মতো বানাতে হবে, যার চিহ্ন হিসেবে পরমপিতা পরমাত্মা শিববাবা বলেছেন যে সমস্ত কর্মেন্দ্রিয়ের চঞ্চলতা সমাপ্ত হয়ে যাবে l এই পুরুষার্থ সূর্যবংশী সাম্রাজ্যে উচ্চ পদ পাবার জন্য যা কিনা ঈশ্বরীয় জ্ঞান, যোগ ( স্মরণের যাত্রা ), দৈবী গুণের ধারণা আর ঈশ্বরীয় সেবার দ্বারাই সম্ভব, এই ত্রেতা
যুগের রাম রাজ্যের কল্পনা গান্ধীজীও করেছিলেন, তাই আসুন, আমরা সকলে সেই রাম রাজ্য আর তার থেকেও শ্রেষ্ঠ লক্ষ্মী - নারায়ণের রাজ্যে যাবার পুরুষার্থ করি l আত্মার যে রাম তাঁকে আমরা স্মরণ করি, বাবার জ্ঞানকে ধারণ করে, শ্রীলক্ষ্মী - শ্রীনারায়ণ আর শ্রীরাম - শ্রীসীতার সেই স্বর্গরাজ্যের স্থাপনার কাজে পরমপিতা পরমাত্মা শিববাবার সহযোগী হই l আপনাদের সকলকে শ্রীরাম নবমীর আন্তরিক শুভ কামনা জানাই l

🙏 ওম্ শান্তি 🙏🌹🌹

#রাম নবমীর ব্যাখ্যা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন