গীতা জ্ঞানের আধ্যাত্মিক রহস্য - ১০৩ - ☀ নয় ,দশ,এগারো ও বারো অধ্যায় ☀

🌻গীতা জ্ঞানের আধ্যাত্মিক রহস্য 🌻

No - ১০৩

🌷🌷 সমর্পন-ভাব 🌷🌷

☀ নয় ,দশ,এগারো ও বারো অধ্যায় ☀

🔆🔆 ভগবানের লোকসংহারকারী রূপ ,আসলে ওনার কল্যাণকারী রূপই। তাই তিনি ব্রহ্মা,বিষ্ণু এবং মহেশ্বরের রচনা করেন।পরমাত্মা ব্রহ্মার দ্বারা নতুন সৃষ্টি স্থাপনার কর্তব্য পালন করেন, বিষ্ণু দ্বারা নতুন সত্যযুগের সৃষ্টি আর পালনের কর্তব্য এবং কলিযুগের বিকৃত সৃষ্টির মহাবিনাশের কার্য মহেশ্বেরের দ্বারা সম্পন্ন করান। পৃথিবীতে দেখা যাচ্ছে প্রচুর পরিমাণে মৃত্যুর মিছিল আরম্ভ হয়ে গেছে। সব আত্মাদেরই উপরে যেতে হবে আর সময়ও এখন পরিবর্তন হচ্ছে। এখন সত্যযুগ আসার সময় হয়ে গেছে। তাই বিশ্বের পরিবর্তনের গতিও তীব্র হয়ে গেছে l লোকসংহারকারীর অর্থ কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ভগবানের লোককল্যাণকারীর মনোভাব। তাই ভগবান এই কথাটি স্পষ্ট করে দেন যে, পুনর্নিমানের এই কার্য কেবল মাত্র কালের দ্বারাই সম্ভব অর্থাৎ কেবলমাত্র কালই এই পরিবর্তন করতে সামর্থ্যবান।

সেইজন্য সর্বকালের মানুষমাত্রেরই প্রতিনিধি অর্জুনকে এই উপদেশ দেওয়া হয় যে, তিনি যেন নির্ভয়ে নিজের জীবনের কর্তব্য পালন করেন । ভগবান, অর্জুনরূপী মনুষ্যকেও উপদেশ দেন , আমরা যেন নির্ভয়ে আমাদের জীবনের কর্তব্য পালন করি। পুনরায় উত্থানের জন্য সহযোগ করে বাস্তবে অর্জুন সফল কর্মে সহযোগিতা করছেন, তাই আমাদেরও সফল কার্যকেই সহযোগ দেওয়া উচিত। এইরকম অর্জুন হওয়ার প্রেরণাই ভগবান আমাদের দিয়েছেন।পুনরায় অর্জুন জিজ্ঞেস করেন যে, সকল সিদ্ধ সন্ত আপনাকে কেন প্রণাম করবেন না, কেননা আপনি তো সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মারও আদি কর্তা ? তাই বলা হয়েছে ,ব্রহ্মা,বিষ্ণু ও মহেশ্বরেরও আদি সৃষ্টি কর্তা পারামাত্মাই। অনন্ত-স্বরূপ পরমাত্মা দেবতাদেরও ঈশ্বর। পরমাত্মা এক ও অদ্বিতীয়। যিনি সব দেব -দেবীর ঈশ্বর। সম্পূর্ণ বিশ্বপ্রকৃতি ও দেবতারা পরমাত্মার দ্বারা সামর্থ্যবান হয়।

🔆🔆🔆🔆🔆🔆🔆🔆🔆🔆

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন