অব্যক্ত পালনার রিটার্ন* ♦
*_সন্তুষ্টতা_*
❒ ১০ ❒ ১১ ❒ ১৯ ❒
তৃপ্ত আত্মার মধ্যে কোন লৌকিক জগতের ইচ্ছা থাকা উচিত নয়। যেমন দেখো, তৃপ্ত আত্মা খুব কম সংখ্যক হয়। কোনো না কোনো কথাতে, হয়তো সম্মানের বা হয়তো কোনো সাধনের ইচ্ছা থাকে। ক্ষুধার্ত ব্যক্তি কখনো তৃপ্ত হতে পারে না। যাদের পেট সর্বদা ভরা থাকে, সেই তৃপ্ত হতে পারে। যেমন শরীরের জন্য খাবারের ক্ষুধা হয় , সেরকমই মনের ক্ষুধাও হয়। মান-সম্মান, সাধন প্রভৃতি - এগুলি সব হল মনের ক্ষুধা।
যেরকম শরীরের থেকে তৃপ্ত আত্মা সর্বদা সন্তুষ্ট থাকে, সেরকমই *মন থেকে তৃপ্ত আত্মা সদা সন্তুষ্ট থাকবে*। সন্তুষ্টতা হল তৃপ্তির লক্ষণ। আর যদি তৃপ্ত আত্মা না হয়, যদি শরীরের ক্ষুধা বা যদি মনের ক্ষুধা থাকে, তাহলে যতই প্রাপ্তি হোক না কেন, প্রাপ্তি বেশি হলেও তৃপ্ত আত্মা না হওয়ার কারণে সদা অতৃপ্ত থাকে। অসন্তুষ্টতা তাদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়।
যে রাজকীয় স্বভাবের হয়, তারা অল্পতেই তৃপ্ত হয়ে যায়। রাজকীয় আত্মার লক্ষণ হলো, তারা সর্বদা ভরপুর থাকে। একটা রুটিতেও যেমন তৃপ্ত, তেমনি ৩৬ প্রকার ভোজনেও তৃপ্ত হয়। আর যে অতৃপ্ত হবে সে ৩৬ প্রকার ভোজনেও অতৃপ্ত থাকবে। কেননা সেটা তার মনের ক্ষুধা। তাই এই তিন লক্ষণকে সর্বদা নিরীক্ষণ করো - সদা এই চিন্তা করো যে, "আমরা কার সজনী আছি?" যে সর্বদা সম্পন্ন থাকে সেই এই প্রেমিকের সজনী হয়। তাই সন্তুষ্টতাকে কখনো ত্যাগ করো না। সেবা ছেড়ে দিলেও সন্তুষ্ট কখনো ছেড়ে দিও না। যে সেবা অসন্তুষ্ট করে তোলে, সে সেবা, সেবা নয়। সেবার অর্থই হলো - মেওয়া প্রদানকারী। তাই সত্তিকারের প্রেমী সকল লৌকিক চাওয়া-পাওয়ার থেকে ঊর্ধ্বে থাকে। সর্বদাই সম্পন্ন আর বাবার সমান থাকে।
❤ *অব্যক্ত বাপ দাদা*
(১৮-০৩-১৯৮৭)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন