ডবল বিদেশী ভাই বোনদের প্রশ্ন - জানকী দাদীর উত্তর

প্রশ্ন -- আজকের দুনিয়ায় সবাই তো বাবার বাচ্চা , আমরা অনেক ভাগ্যশালী , বাবার যে জ্ঞান আমরা পেয়েছি , কোনো কথা যখন সামনে আসে , তখন যদি আমরা বাবার জ্ঞান না পেতাম , তাহলে আমাদের জীবন কি রকম হতো , আমরা বুঝতে পারছি না ? অনেকবার আমাদের সামনে এমন পরিস্থিতি আসে তখন আমাদের থেকে কিছু হয়ে যায় , পরে মনে হয় এমন করা উচিত ছিল , এমনি করলে ভালো হতো | তো আমরা কি করে বুঝতে পারবো যে সঠিক সময়ে কিভাবে সবকিছু সঠিক করবো ?

উত্তর -- পুরুষার্থ এমনি আছে , যা কিছু পরিস্থিতি আছে , কোনো কথা নয় , বাবা বসে আছেন , এটা ভিতরে বিশ্বাস থাকা দরকার , নিশ্চয় থাকা দরকার | ভাবলে কথাটা বড় হয়ে যায় | এইজন্য চিন্তা করার দরকার নেই | আমরা 50বছরের সার্ভিসে অনুভব করেছি , অনেক জায়গায় ভূমিকম্প হয়েছে , অনেক জায়গায় আপদ বিপদ হয়েছে , কিন্তু আমাদের কাছে বাবার বাচ্চারা সেফ থাকে | কিছুও হয়েছে , তারপরও অনেক বাচ্চাদের কিছুই হয়নি | কারণ এদের সামলানোর জন্য বাবা কোনো না কোনো বুদ্ধি বার করেন আর সেটা সারা জীবন কাজে আসে | এটা অনেককালের ভগবানের সাথের অনুভব | এইজন্য কখনোও কিছুও হোক্ কখনো এরকম বলো না - আমি কি করব ? বাবাকে স্মরণ করতে থাকো , তো কিছু না কিছু যুক্তি বাবা সময়ে বার করে দেন | তো বাবার স্মরণে ভালোভাবে জীবনকে সফল করো |

প্রশ্ন -- বাবা আমাদের বলেন আমাদের নিশ্চয় হওয়া দরকার , বাবার মধ্যে , ড্রামাতে , আর নিজের মধ্যে | এবার আমাদের ড্রামাতে আর বাবার মধ্যে তো পুরো বিশ্বাস , কিন্তু নিজের মধ্যে অল্প কম তো সেই বিশ্বাসকে কিভাবে বাড়াবো ? বেশী করে যখন আমাদের সামনে এতো কথা আসে ?

উত্তর -- বিশ্বাস বাড়ে তখনই যারা কোনো কথার বিস্তারে যায় না | কি করবো বা কেমন করে করবো -- ভাবা মানেই কথার বিস্তারে চলে গেলে | ড্রামা অনুযায়ী পরীক্ষা এসেছে , বাবা বসে আছেন , আশ্চর্য্যবত ঠিক হয়ে যায় | তারপর অটোমেটিক ভালো কথা যা আছে , সেইসব আমাদের সাথে হবে , এই বিশ্বাস আছে | বাবা করিয়েছেন , আমি করেছি | আমি কেমন করে করব , মানে বাবাতে নিশ্চয় নেই | ড্রামার জ্ঞান এতো গভীর , বাবা সারাদিন স্মরণ করাতে থাকেন | এ আমার বাচ্চা কল্প পূর্বের , আমার তো অনেক নেশা আছে | বাবা বলেন তুমি আমার , কল্প পূর্বের | বাবা বললেন আমার বাচ্চা তো আমার অনুভূতি হলো | বাবা বললেন স্বদর্শন চক্র ঘোরাও , স্বদর্শন চক্র না ঘোরালে নিজের মধ্যে বিশ্বাস হয় না | আর আমার নিজের ওপরে বিশ্বাস আছে , ড্রামার জ্ঞান ভালো চলছে , বাবা আমার টীচর , বাবা , সদগুরু | আমার বাবা ধর্মরাজও , এইসব স্মরণ থাকলে মন বাণী কর্মে এটেন্শন থাকে | তিনি শ্রেষ্ঠ তো সঙ্কল্প সময়ও সফল | এক মুহূৰ্তও নিস্ফল যাবে না |

প্রশ্ন -- অনেকে আছে যারা যোগে , কর্মে বা দিনচর্যায় যখন ডিসীপ্লীন (শৃঙ্খলা) হয় না , তখন মনে হয় নিজেকে ধোঁকা দিচ্ছি , তো শৃঙ্খলার সাথে আমরা কেমন করে বন্ধুত্ব করতে পারবো বা তাকে আমরা নিজের বন্ধু কেমন করে বানাবো ?

উত্তর -- সবচেয়ে আগে ডিসিপ্লীনের গুরুত্ব বুঝতে হবে , যেমন ক্লাসে সময়ে আসা , অমৃতবেলা করা , নুমাশাম যোগ করা ইত্যাদি | অলবেলা , আলস্য আর বাহানা এই তিনটে জিনিষের দরকার নেই | কেউ কিছুও বলুক , বাবার পালনা , পড়াশোনায় মান রাখতে হবে | যা বাবার থেকে পাওয়া হয়েছে তার মান হোক্ | অটোমেটিক যে এইসবের মান বা কদর করে , বাবা তাকে ডিসিপ্লীনে চালান | একটুও অলবেলা ভুল করায় , করাচীতে একবার মাম্মার এক মিনিট দেরী হয়েছিল , বাবা ক্লাস চালাচ্ছিলেন তো মাম্মা সেখানেই সীড়িতে বসে গেছিলেন তো আমরা বলেছিলাম মাম্মা ওপরে ক্লাসে চলো না , তো মাম্মা বলেছিলেন আমি উপযুক্ত নই | বাবা ক্লাসে পৌছে গেছেন , এখন আমি কেমন করে যাবো ? তো এটা হলো ডিসিপ্লীন ! আলস্য অলবেলা বাহানা এই তিনটে জিনিষ সবাইকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য হয় | আমি কখনো বাহানা দিতে পারি না | যার কাছে সময়ের দাম আছে , জানো কি না , এতেও নম্বর পাওয়া যায় | তো কোনোও কাজ সময়ে করা এটাই হলো ডিসিপ্লীন !

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন