. :: ব্রাহ্মণ জীবনের ২১ সূক্ষ্ম মর্যাদা ::
*১)* *সময়ের মর্যাদা* ...
অমৃতবেলা থেকে শুরু করে রাত্রি পর্যন্ত সময়কে ঈশ্বরীয় জ্ঞান এবং সেবার জন্য ব্যবহার করা।
*২)* *ভাষার মর্যাদা*...
সেন্টারে বা মধুবনে হিন্দিতেই কথা বলবে। পুরানো লৌকিক ভাষাতে নয়। (ব্রহ্মা বাবা বা দাদীরা জ্ঞানে আসার পর থেকে সিন্ধ্রী নিজেদের মাতৃভাষা হওয়া সত্ত্বেও কখনো নিজেদের মধ্যে সিন্ধ্রীতেও কথা বলতেন না)
*৩)* *সংকল্পের মর্যাদা* ...
যে কোনো বিষয়েই আমরা সংকল্প করতে বা ভাবনা বা চিন্তা করতে পারি না।
*৪)* কাউকে না বলে তার জিনিস use করা ঈশ্বরীয় মর্যাদা বিরুদ্ধ।
*৫)* সম্পর্ক বজায় রাখার মর্যাদা*...
আমরা সবাই হলাম ভাই - বোন। এটাই হল আমাদের আসল সম্বন্ধ। লৌকিক সম্বন্ধ ত্যাগ করে অলৌকিক সম্বন্ধ জুড়লাম - সেটাও ঠিক নয়। Detached থাকো, মোহ মুক্ত থাকো।
বি. দ্র. : যশোদা মাতা বাবার জ্ঞানে আসার পর কোনো দিন বাবাকে স্বামীর দৃষ্টিতে দেখেননি।
*৬)* *ভোজন* ....
শুদ্ধ ভোজন এবং মৌন থেকে খাওয়া ছাড়াও খাওয়ার সময় সংকল্পের প্রতি খেয়াল রাখাও অত্যন্ত জরুরী। যে খাবারই খাও, তার প্রতি যেন Respect থাকে। আসক্তি যেন না থাকে। এই ভোজন শরীর ও মনকে শক্তি প্রদান করে। খাবার বানানোর সময় যেন ঈশ্বরের স্মরণ থাকে।
*৭)* *ব্রাহ্মণ জীবনে সন্তুষ্টতা বা অসন্তুষ্টতা*...
জ্ঞানে চলতে চলতে উদাস হয়ে পড়া, আমার progress হচ্ছে না ... আমি যেখানে ছিলাম সেখানেই রয়ে গেছি... *ব্রাহ্মণ মর্যাদায় যে চলে না সে অসন্তুষ্ট থাকে* .... নিজ Negative সংকল্পের দ্বারা নিজেকে উদাস বানাবে না। সর্বদা উৎসাহ উদ্দীপনা বজায় রাখো। *পুরুষার্থে নবীনতা আনলে কখনো অসন্তুষ্ট হবে না*।
*৮)* *নিয়মানুবর্তীতা* (Punctuality)....
সময়ের আগেই পৌঁছে যাওয়া। কোর্সও ৪৫ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে। যোগের সময় যোগ, মুরলীর সময় মুরলী।
*৯)* *ইচ্ছা*....
*ইচ্ছা মাত্রম অবিদ্যা* .... *ইচ্ছা আচ্ছা (ভালো) হতে দেয় না* । ইচ্ছা মনকে অশান্ত করে। অন্যদের দেখে, অন্যদের জিনিস দেখে সেটার প্রতি ইচ্ছা রাখা উচিত নয়।.... সূক্ষ্ম রূপেও নাম, মান, প্রতিপত্তির ইচ্ছা progress - এ বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
*১০)* *ভিতরে ও বাইরে এক* ....
নিজেকে দেখাতে চাইছে যোগী, কিন্তু মনে অপবিত্র সংকল্প চলছে..... এটা ঈশ্বরীয় মর্যাদা বিরুদ্ধ। তুমি কারো সামনে বসে বা দাঁড়িয়ে রয়েছ, তোমার মনে অপবিত্র সংকল্প চলছে, সেই ব্যক্তির স্থিতি যদি দুর্বল হয়, তবে সে আরও পতিত হয়ে যাবে, সেই বোঝাও তোমারই চাপবে।
*১১)* *দৃষ্টি* ....
"সংকল্পতেও পবিত্র ভাব এবং পবিত্র দৃষ্টি ..... আমরা অন্য কোনো কিছুই দেখতে পারি না..... বুদ্ধির নেত্র দ্বারাও অন্য কোনও কিছু দেখতে পারি না..... ব্যর্থ বা নেগেটিভ দেখেও দেখবে না।
*১২)* *সূক্ষ্ম চুরি* .....
অন্যের মোবাইলে কি আছে... চেক করা... Take করা.... অর্থাৎ ব্যর্থের দিকে যাওয়া..... *যদি তুমি কোনো প্রকারের ব্যর্থের মধ্যে থাকো তবে তুমি যজ্ঞের ক্ষতি করছ* .....কারো কোনো দুর্বলতা বা খারাপ কিছু অন্য কাউকে বলবে না।
*১৩)* *বাণী*
কাউকে দুঃখ দেওয়া, পরচিন্তনের বোল মুখ থেকে বের হওয়া উচিত নয়। বোর হচ্ছি, উদাস লাগছে, কী জানি কী হবে - এই ধরনের বাক্য কদাপি উচ্চারণ করবে না ..... কেননা ভগবান আমাদের শ্রেষ্ঠ ভবিষ্যৎ বানিয়ে রেখেছেন.....তাই ব্রাহ্মণ জীবনে এসব allowed নয় ।
*১৪)* *পবিত্রতা*.....
রুহ-কে না দেখে দেহ-কে যদি দেখো তাহলে জেনো তুমি শব-কে দেখছো। সত্যযুগে তবে তোমার কর্ম জীবন হবে শ্মশান ঘাটে। সূক্ষ্ম leble এ চেকিং... *Familiarity তেও যাবে না...What'saap ইত্যাদি Online এও না.... মনসা-তেও যেন কোনো অপবিত্রতা না আসে।
*১৫)* *কর্ম* ...
আমাদের কর্মও যেন সাধারণ না হয়... *আমাদের কর্ম স্বয়ংকে বা অন্যকেও যেন Disturb না করে* ।আমাদের কোনো কর্ম যেন কার্য ব্যবস্থার কোনো ক্ষতি করতে পারে। বাবার নাম যেন বদনাম না হয়... সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে।
*১৬)* *সাক্ষীদ্রষ্টা এবং নষ্টমোহ* ...
এই দুনিয়া হল অন্যের দেশ.... লৌকিক পরিবারেও যেন মোহ না থাকে।
*১৭)* *ব্যবহার*..
Sweet হওয়া উচিত..... তুমি ভাবছো মজা করেছ, কিন্তু কেউ তাতে দুঃখ পেল, সেটাও যেন না হয়। আমাদের ব্যবহার হবে মধুর।
*১৮)* *সেন্টারে লৌকিক বা বিজনেসের আলোচনা করবে না*.... কোনো প্রকারের লেনদেন যেন না হয়।
*১৯)* *রাগ বা অভিমান করবে না* .... কারো বিষয়ে অনুমান করা.... এসব ব্রাহ্মণ জীবনের মর্যাদা নয়।
*২০)* *সেবা* ...
সেবা নির্মাণতা থাকবে, ত্যাগ থাকবে.... বিন্দুমাত্র অহংকার যেন না আসে.... কোনো প্রকারের Groupism যেন না হয়।
*২১)* *হাসি-মস্করা* ...
জোরে জোরে আওয়াজ করে হাসা.... ঈশ্বরীয় মর্যাদা নয়। দেবতাদের মুখে স্মিত হাসি থাকে.... চেহারায়, চালচলনে অলৌকিকতা এবং Royalty থাকবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন