মাম্মার বিশেষত্ব - রাজযোগ মেডিটেশন

মাম্মার বিশেষত্ব* 🌹🌹

( *মাম্মার সঙ্গের স্মরণ -- দাদী কুঞ্জ জী*)

🌻🌻 *মাতেশ্বরী সারা জীবন অটল, অচল এবং একরস ছিলেন*-----

*ব্রহ্মা কুমারী দাদী কুঞ্জ জী নিজের অনুভব শুনিয়ে বলেছিলেন যে ---আমি তো ছোটো অবস্থায় বন্ধনে ছিলাম l আমরা এই যজ্ঞে আসার সঙ্গে সঙ্গে মাম্মার সম্পূর্ণ পালনা পেয়েছিলাম l আমি কখনো কখনো ঘর থেকে না খেয়ে এলে, মামা কিভাবে তা বুঝতে পারতেন, তিনি আমাকে সামনে বসিয়ে নিজের হাতে খাইয়ে বাড়ীতে পাঠাতেন এবং আমাদের মন উৎসাহ - উদ্দীপনায় ভরপুর করে দিতেন l যে কন্যারা তাদের মা - বাবার কাছ থেকে ছাড়া পেতো না তারা ওঁ মন্ডলীর ওঁ স্কুলে পড়তে আসতো l*

****************************

*তাদের মধ্যে আমিও একজন ছিলাম l সেখানে আমাদের পালনা স্বয়ং মাম্মা করতেন l মাম্মাকে দেখে মনে হতো, তিনি যেন আমাদের মা l মাম্মা আমাদের বলতেন, বন্ধনে থাকা মেয়েদের তোমাদের এমনভাবে মুক্ত করতে হবে যেমনভাবে সতী সীতাকে হনুমান রাবণের থেকে মুক্ত করেছিলেন l মাম্মা যুক্তি বলে দিয়ে, শক্তিতে ভরপুর করে আমাকে লিডার বানাতেন l সেই সময় আমি মাত্র নয় বছরের ছিলাম l শিববাবার সঙ্গে সঙ্গে মাম্মার এই ড্রামার উপর সম্পূর্ণ নিশ্চয়তা ছিলো l মাম্মা এই ড্রামার উপর আমাদের দু ঘণ্টার ক্লাস করাতেন l*

****************************

*মাম্মা প্রায়ই বলতেন ----- যেমন বাবার প্রতি বিশ্বাস, তেমনই এই ড্রামার প্রতিও বিশ্বাস রাখা উচিত, তখনই তুমি ঈশ্বরীয় জীবনে একরস অবস্থায় থাকতে পারবে l মাম্মার সারা জীবনে আমরা দেখেছি যে, ড্রামার প্রতি অটল - অচল হওয়ার কারণে তিনি সর্বদা একরস থাকতেন l এই রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞে বাবা সবসময় মাম্মাকে সামনে রেখেছিলেন l এই যজ্ঞ মাম্মার নামেই ছিলো l স্থাপনার প্রতি কাজে যত পরীক্ষা এসেছিলো, মাম্মা শিবশক্তি সেনার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন l যতই কঠিন পরিস্থিতি আসুক না কেন, যতই বিঘ্ন আসুক, মাম্মা হাসতে - হাসতে সামনা করেছিলেন এবং বিজয় প্রাপ্তি করেছিলেন l*

👸👸👸👸👸👸👸👸👸👸

একাগ্রতার শক্তি বাড়ানোর বিধি আর তার লাভ - রাজযোগ মেডিটেশন

একাগ্রতার শক্তি বাড়ানোর বিধি আর তার লাভ* 
*****************************************

*একাগ্রতার শক্তিকে বাড়াবার জন্য নিজের দুর্বল স্বভাব আর সংস্কার গুলোকে পরিবর্তিত কর। যখন এই সংকল্প আসবে যে, আমার স্বভাব এমন, তাহলে এই স্বভাব বাক্যের শ্রেষ্ঠ মানে-তে স্থিত হয়ে যাও ।স্বভাব মানে হলো স্ব-ভাব বা সকলের প্রতি আত্মিক ভাব আর যখন সংস্কার শব্দটি বলো, তখন অনাদি আদি সংস্কার গুলোকে স্মৃতিতে আনো !

*একাগ্রতার শক্তিকে বাড়াবার জন্য মন বুদ্ধিকে শ্রেষ্ঠ স্থিতির স্থান দিও। যেমন শরীরকে বসাবার জন্য স্থূল জায়গা দাও, ঠিক সেইভাবে ভালো স্থিতির অনুভবে স্থিত হয়ে যাও ।মন বুদ্ধিকে একাগ্র কর, ভিন্ন ভিন্ন স্থিতিতে বিস্মৃত হবে না।

*একাগ্রতার শক্তিকে বাড়াবার জন্য শুধুমাত্র এক বাবা আর কেউ যেন সংকল্পেও না আসে। এক বাবার মধ্যে সমস্ত বিশ্বের সর্ব প্রাপ্তি গুলোর অনুভূতি হবে। এক- এই একে তিনি যখন এমন শ্রেষ্ঠ স্থিতি হয়ে যায়, তখন সব সংকল্প গুলো বাবার সমান হওয়ার অনুভব করায় । এখান এই আধ্যাত্মিক শক্তির ব্যবহার করো। এর জন্য একান্তর সাধন ব্যবহার করো। একেই-র অন্ততে মিশে যাও ।

*একাগ্রতার শক্তিকে বাড়াবার জন্য বিশেষ করে সময় বের করো। এমন না যে সময় হলে তখন করবো। এমন যেন না হয়। যতখানি সময় পাচ্ছ, যদি এক সেকেন্ডও পাও, তাহলে সেটা অভ্যাস এর জন্য জমা করতে থাকো। এক সাথে ৫ মিনিটও যদি পাচ্ছ না, তাহলে সেকেন্ড সেকেন্ড করো, তাহলেও আধ ঘন্টা হয়ে যাবে। চলতে ফিরতে, কাজকর্ম করতে করতে অভ্যাসী হওয়ার চেষ্টা করো। যেমনি চাতক পাখি এক এক ফোঁটা জলের জন্য তৃষ্ণার্থ হয়। তেমনই স্ব-অভ্যাস চাতকের মতো এক এক সেকেন্ড করে অভ্যাস করলে অভ্যাস স্বরূপ হয়ে যাবে ।

*একাগ্রতার শক্তিকে বাড়াবার জন্য এখন আলস্য (lazyness) আসবে না । এই অভ্যাস দ্বারা এই প্রথম ডিভিশনে আসতে পারবে। সাইলেন্সের (silence) জায়গা আর পরিস্থিতিতে একাগ্র হওয়া এইটা খুবই সাধারণ কথা হল, কিন্তু চারিদিকে কোলাহল এর মাঝে সেই এক-এর অন্তে মিলিয়ে যাও অর্থাত একান্তবাসী হয়ে যাও। একান্তবাসী হয়ে একাগ্র স্থিতিতে স্থিত হয়ে যাওয়াটাই মহান পুরুষার্থ !

*বর্তমান সময় অনুসারে এখুন বাণপ্রস্থ অবস্থার কাছে আছো। বাণপ্রস্থী সুধু একান্ত আর স্মরণে থাকেন। তালে আপনারা সবাই বেহদের বান্প্রস্থী সর্বদা একেইর অন্তে অর্থাত নিরন্তর একান্ত তে সর্বদা একাগ্রচিত্ত হবার অভ্যাস করো। সর্বদা সেই একেরই স্মরণে থাকবে । সমান হওয়াটাই হলো মিশিয়ে যাবা।

*এই একাগ্রতার শক্তি সহজ ভাবে নির্বিঘ্ন করে দেবে। মেহনতের দরকার পড়বে না। সহজ একরস স্থিতি হয়ে যাবে ।এই একাগ্রতা সর্বদা সর্ব এর প্রতি কল্যানের বৃত্তি, ভাই-ভাই এর দৃষ্টি নিজে নিজে এই সহজ ভাবে নিয়ে আসবে। সমস্ত আত্মাদেরকে সম্বন্ধে স্নেহ, সম্মান, স্বমান এর কর্ম সহজ ভাবে অনুভব হবে।

*এই একাগ্রতার শক্তি দ্বারা যে কোনো আত্মার কাছে আপনার মেসজ যেতে পারে। এই শক্তি দ্বারা যে কোনো আত্মার আহবান করতে পারেন। যে কোনো আত্মার কথা আপনি বুঝে নিতে পারবেন। দুরে থাকা যে কোনো আত্মাকে সহযোগ করতে পারো। এই জন্য বিশেষ ভাবে এই শক্তি টা কে বাড়াও।

*একাগ্রচিত থাকলে মন বুদ্ধি সর্বদা আপনাদের অর্ডার হিসাবে চলবে। স্বপনে ও সেকেন্ড মাত্র নড়াচড়া হবে না, আত্মা সর্বদা সুখ, শান্তি আর আনন্দও এর অনুভূতি করতে থাকবে।

জীবন কমল পুষ্পসমান কীভাবে বানানো সম্ভব ?- রাজযোগ মেডিটেশন

জীবন কমল পুষ্পসমান কীভাবে বানানো সম্ভব ?* 🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷

স্নেহ প্রেম প্রীতি পূর্ণ ভালোবাসার বাসা অর্থাৎ বাড়িতে এর অভাবের কারণে আজ অধিকাংশ পরিবারেই ছোটো ছোটো খুবই সামাণ্য কারণেই বাড়ির পরিবেশ ভাড়ি হয়ে পড়ে অশান্তিময় হয়ে ওঠে। মানুষের মধ্যে সততা বিশ্বাসেরও অভাব দেখা যাচ্ছে। নৈতিক মূল্যের মানও নিম্নগামী। কর্মস্থল, ব্যবসায়ীকস্থল, গৃহ কিংবা রান্নাঘরই হোক,সব স্থানেই পারস্পরিক সম্পর্ককে সুন্দর করে তোলা, পরিস্থিতি অনুসার নিজেকে মানিয়ে নেওয়া এবং মিলেমিশে থাকা খুবই জরুরী। নিজের স্থিতিকে ঠিক ও যথাযথ রাখতে হলে বর্তমানে প্রত্যেকের মনোবলকে আরও বৃদ্ধি করা আবশ্যক। এর জন্য যোগ খুবই সহযোগী হয়ে উঠতে পারে। 
রাজযোগের অভ্যাসের মাধ্যমে শান্তির সাগর পরমাত্মার সাথে নিজের সম্মন্ধ স্থাপন সম্ভব। আর এই অভ্যাসের ফলস্বরূপ নিজের পরিবারের সকলকে সুখ শান্তি ভালোবাসার মালায় গাঁথতে পারবেন। সকলেই সেই পরিবেশে এলে আনন্দ ও শান্তির অনুভব করবেন আর সেই পরিবার এক সুশৃঙ্খলিত এবং সুখী পরিবার হয়ে উঠবে। দিব্য জ্ঞান লাভ করার ফলে মানুষ তার বিকারগুলিকে ত্যাগ করে বিশেষ গুণগুলিকে ধারণ করে। এর জন্য যে মনোবল আবশ্যক তা সে যোগের মাধ্যমেই লাভ করতে থাকে। এই ভাবে সে নিজের জীবনকে কমল পুষ্পের মতো বানানোর যোগ্য হয়ে ওঠে। 
কমল পুষ্পের বিশেষত্ব হল পদ্ম জলে বা পাঁকের মধ্যে থাকলেও পাঁক তার খায়ে লাগেনা। যদিও জলের নীচে তার সমগ্র পরিবার অর্থাৎ ডাটা শাখা-প্রশাখা সমস্তই রয়েছে, তাও পদ্ম সেই সকল কিছুর উপরেই থাকে। এই ভাবে আমাদেরও সংসারে আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবদের সাথে থাকলেও বন্ধনমুক্ত (detached) ,অর্থাৎ মোহজিত হয়ে থাকতে হবে। অনেকেই বলবেন সংসার জীবনে এমনটি হওয়া অসম্ভব। তাই যদি বলেন হাসপাতালে নার্স অনেক অনেক বাচ্চাকে দেখাশোনা করলেও সে মোহরিহত হয় কীভাবে? তেমনই আমাদেরও উচিত সকলকে পরমপিতা পরমাত্মার সন্তান ভেবে ন্যাসী(trustee ) হয়ে সকলের সাথে ব্যবহার করতে হবে। একজন বিচারপতিও যে রায় দেন নিজে তার দ্বারা প্রভাবিত হন না। তেমনই আমাদেরও সুখ দুঃখ যে কোনো পরিস্থিতিকেই সাক্ষীদ্রষ্টা হয়ে দেখতে হবে। এর জন্য রাজযোগের প্রশিক্ষণ নেওয়া প্রয়োজন।

ঈশ্বরকে পাওয়ার সহজ উপায় - রাজযোগ মেডিটেশন

ঈশ্বরকে পাওয়ার সহজ উপায় -🌷🌷*

*ভক্তিমার্গে মানুষ নানাভাবে ঈশ্বরকে পাওয়ার চেষ্টা করে এসেছে -----মন্দিরে, মসজিদে মাথা ঠুকেছে -----মানত করেছে ------কান্নাকাটি করেছে -----উপোস করেছে -----জপ - তপ, ব্রত, নিয়ম সবই পালন করেছে -----তীর্থে - তীর্থে ঘুরে ঈশ্বরের সন্ধান করেছে -----কিন্তু পায় নি ঈশ্বরকে -----কারণ তারা জানতে পারে নি প্রকৃত ভগবান কে -----কিভাবে তাঁকে পাওয়া যায় -----আর এই না জানার কারণে বারে বারে বিভ্রান্ত হয়েছে l*

*আজ স্বয়ং ভগবান এসে আমাদের সকলকে বলে দিচ্ছেন তাঁকে পাওয়ার সহজ -সরল উপায় l কি করলে তাঁকে সহজেই পাওয়া যায় কারণ তিনি না জানালে তাঁকে জানতে পারা বা তাঁকে অর্জন করা যায় না ----*

💥💥 *আসুন স্বয়ং ভগবানের কাছ থেকে জেনে নিই -----কিভাবে তাঁকে পাওয়া যায় -----*💥💥

*ভগবান বলছেন -----*🌷🌷

💥 *তিনি নিরাকার*

💥 *দেহধারী নন*

💥 *রূপ -- জ্যোতির্বিন্দু*

💥 *নাম -----শিব, শিবের অর্থ - পরম কল্যাণকারী -------*

💥 *নিবাস ---পরম ধাম, নির্বাণধাম, মুক্তিধাম, ব্রহ্মলোক, সুইট হোম, লাল প্রকাশময় জগত l এ সবই একই জায়গার নাম ----যেখানে স্বয়ং ভগবান থাকেন ----*

💥 *ভগবান এখন এসে বলছেন ------ তিনি কখনোই সর্বব্যাপী নন l কল্পের সঙ্গম যুগে তিনি একবারই এসে সমস্ত আত্মাকে তাঁর পরিচয় দান করেন l বলে দেন তাঁকে পাবার উপায় l*

💥 *সেই ভগবান শিব বাবাকে পেতে হলে সর্বপ্রথম নিজেকে আত্মা নিশ্চিত করতে হবে l*

💥 *সুখ, শান্তি, পবিত্রতা, প্রেম, শক্তি, জ্ঞান এবং আনন্দ ---- শিববাবার এই সাত গুণে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে হবে এবং এই গুণের দানই করতে হবে বিশ্বের আত্মাদের ------*

💥 *সকল আত্মাকে স্নেহের দৃষ্টিতে দেখতে হবে ------ভুল কর্মের জন্য যেমন নিজেকে ক্ষমা করতে হবে, তেমনি এই ক্ষমার দান করতে হবে অন্য আত্মাদেরও -----*

💥 *নিজে রুহানী গোলাপ হয়ে সেই সুগন্ধ ছড়িয়ে দিতে হবে চতুর্দিকে -----*

💥 *মন - বচন এবং কর্মে শুদ্ধ এবং শ্রেষ্ঠ সঙ্কল্প রাখতে হবে -----*

💥 *অপকারীর উপকার করতে হবে ----*

💥 *অন্যের দোষ না দেখে, নিজের দোষ সম্বন্ধে সচেতন হতে হবে ----*

💥 *এই বিশ্বের সকল আত্মাই এক পরমাত্মা শিবের সন্তান মনে করে ----- সকলের প্রতি প্রেম ভাব , শুদ্ধ ভাব , দয়া এবং ক্ষমার ভাবনা, প্রত্যেকের জন্য শুভ কামনা করতে হবে -----*

💥 *কখনোই কোনো পরিস্থিতিতে বিচলিত হওয়া চলবে না -----পরিস্থিতি যাই হোক, তাকে এই বিশ্ব নাটকের খেলা মনে করে নিশ্চিন্ত এবং সাক্ষীভাবে থাকতে হবে -----*

💥 *এই সমস্ত কিছু সম্ভব হবে যদি আমরা শিব বাবার সঙ্গে যোগযুক্ত হতে পারি ----তাই নিরন্তর তাঁকে স্মরণ করতে হবে ----তবেই তিনি আমাদের মধ্যে সঞ্চার করবেন এই দিব্য গুণ ------সেই গুণে গুণান্বিত হয়ে, তাঁর সম হয়ে তাঁকেই লাভ করতে পারবো আমরা -----*

💥 *স্বয়ং ভগবানের কথা শুনলে -----তিনিও অবশ্যই আমাদের কথা শুনবেন আর আমাদের করে দেবেন গুণবান দেবতা l*

🙏🙏ওম শান্তি 🙏🙏

❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤

মাতেশ্বরী জগদম্বা স্বরস্বতী মাম্মার বিশেষত্ব - রাজযোগ মেডিটেশন

*মিষ্টি মাম্মার বিশেষত্ব*.....
জ্ঞানের সার কথা......... মৌন থাকা.... মাম্মার জীবনে এটা আমারা বিশেষ বাস্তব রূপে দেখি। মাম্মার বিশেষ গুণ ছিলো..... ধৈর্য আর গাম্ভীর্য ।..... জ্ঞানী আত্মার প্রথম পরিচয় হলো সে জ্ঞানময়, গুণময় হবে । যেমন আমাদের মাম্মা । কেননা মাম্মার গুণ আর কর্ম এর সম্বন্ধ থেকে এই সব জানা যায় ।......... মাম্মা কেবল, "বাবা", "বাবা" জপ করতেন না । খুবই শ্রদ্ধাশীল ছিলেন বাবার প্রতি ।................. যারা পড়ান তাদের শ্রদ্ধা, সময়মতো ক্লাসে আসা, অমৃতবেলা পালন করা, এইসব খাঁটি পুরুষার্থ যারা করেন, তাদের প্রেরণা দেয় ।
তাদেরকে দেখে এমন মনে হয় কি আমিও এইরকম নিয়ম পালন করি ।তাই আমরাও আমাদের চাল চলন, ওঠা বসা, কথা বার্তা এই সবের ওপর নজর দেব, এবং নিজের জন্য খাঁটি পুরুষার্থ করার সদিচ্ছা রাখলে বাবা ও আমাদের শক্তি দিয়ে ভরপুর করে দেন ।...................... আমারও বাবা, মাম্মার মত হতে পারব । মিষ্টি মাম্মা " Goddess of wisdom" ছিলেন । মাম্মা মূহুর্তে বুঝতে পারতেন যে এর মনে ব্যর্থ চিন্তা ভাবনা চলছে, তাকে সামনে বসিয়ে ব্যর্থ চিন্তা, পরচিন্তন, এই সব কে এমন ভাবে শেষ করে দিতেন যে এই সব তার স্মৃতিতেই থাকত না । সব খারাপ চিন্তা বিস্মৃত হয়ে যেত । এমনই ছিলেন আমাদের মাম্মা ।......
💢💢💢💢💢💢💢💢💢
🌻🌻 *মাতেশ্বরী জীর জীবনের অমূল্য বিশেষত্ব*🌻🌻

২০ - ০৬ - ২০১৯

*মাম্মা যখন মুরলী চালাতেন, তখন সবাই এমনভাবে তন্ময় হয়ে শুনতো যে মূর্তিবৎ হয়ে যেতো । মুরলী দেড় ঘণ্টা চলতো, তখন সবাই একাগ্র হয়ে বসে শুনতো । মাম্মার মুরলী এমন মধুর হতো যে তা বলার নয় । সম্পূর্ণ যজ্ঞে দেখা গেলে, মাম্মা সবথেকে কম কথা বলতেন ।*

🌹🌹মধুবন 🌹🌹

🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸

মাম্মার দৃষ্টি বিচিত্র ছিল। যেমন বাবার দৃষ্টি পরামাত্র আমরা সব কিছু ভূলে এক অতীন্দ্রিয় অনুভূতিতে মগ্ন হয়ে যাই, ঠিক একই ভাবে মাম্মার দৃষ্টি, মুখমন্ডল এতো আত্মিক, আধ্যাত্মিক ছটায় পরিপূর্ণ ছিল যে সামনের ব্যক্তি নিজেকে এই দেহ আর দুনিয়ার থেকে পৃথক অনুভব করতো।

_-----------------------------
☀ *মাতেশ্বরী জীর জীবনের অমূল্য বিশেষত্ব*☀

২৭ - ০৬ - ২০১৯

*মাতেশ্বরী জীর নিজের পুরুষার্থের প্রতি খুবই নজর থাকতো । তাঁর মুখ থেকে সর্বদা এই কথাই বের হতো যে ---"যেমন কাজ আমি করবো, আমাকে দেখে অন্যেও তেমন করবে ।" মাম্মাকে কখনোই উঁচু স্বরে কথা বলতে দেখা যায় নি ।*

💚💚 মধুবন 💚💚

🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸


*রাজযোগ থেকে আমাদের প্রাপ্তি ------

যোগ যেমন শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য তেমনই মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ।*

*রাজযোগ থেকে আমাদের প্রাপ্তি ------

*শান্ত স্থিতি :--- রাজযোগের অভ্যাস দ্বারা অশান্ত এবং দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মন শান্ত হয় যাতে আমাদের মন হালকা হয়ে দৃঢ় তৈরী হয় ।*

*একাগ্রতা :-- রাজযোগের অভ্যাস আমাদের একাগ্রচিত্ত হতে সাহায্য করে, যাতে আমরা কম সময়ে সফলতা প্রাপ্ত করতে পারি ।*

*চিন্তন :-- রাজযোগ আমাদের শ্রেষ্ঠ চিন্তন করতে প্রেরণা দেয়, যাতে আমরা আন্তরিক এবং বাহ্যিক জগতকে বুঝে জীবনকে মূল্যবান করে তুলতে পারি ।*

*অনুভূতি :-- রাজযোগের অভ্যাস আমাদের আত্মার অনুভব করিয়ে তার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের গুণ আর শক্তিকেও অবগত করায় ।*

💥💥 *ঈশ্বরকে শেষ আশা নয়, প্রথম ভরসা বানান 🙏

মিষ্টি মাতেশ্বরী জগদম্বা স্বরস্বতী মিষ্টি মাম্মার মধুর শিক্ষা 

মিষ্টি মাম্মার মধুর শিক্ষা 

একবার মাম্মা ক্লাস শেষ হওয়ার পর, মেয়েদের সাথে বসে ছিলেন l মাম্মার প্রতিটি শব্দে প্রেমের সাথে সাথে রহস্য ভরা থাকতো l মাম্মা সবসময় বলতেন, প্রত্যেক মানুষকে সুখ দান করো l

পাঁচ তত্বকেও দুঃখ দেওয়া উচিত নয় l যদি কেউ জোর কদমে জুতোর আওয়াজ তুলে চলতো, তাহলেও মাম্মা বলতেন যে, ধীরে চলো ☺🚶, এই ধরিত্রীকেও 🌍 কষ্ট দেওয়া উচিত নয় l তোমরা এই পঞ্চ তত্বকেও সুখ দান করো যাতে এই তত্বও তোমাদের সুখী করতে পারে l যেমনভাবে একজন মা তার সন্তানকে সমস্ত বিষয়ে শিক্ষা দেন, বা বুঝিয়ে বলেন যে কেমন করে কথা বলতে হবে, কেমন ভাবে চলতে হবে বা ব্যবহার করতে হবে, মাম্মাও ঠিক একই ভাবে শিক্ষা দিয়ে বাচ্চাদের যোগ্য করে তুলতেন l এমনই ছিলেন আমাদের অতি প্রিয় মাম্মা, স্নেহের মূর্তি, শক্তি রূপ ত্যাগী তপস্বী, বাপদাদার সম্পূর্ণ আজ্ঞাকারী l

পবিত্রতার প্রতিমূর্তী মাম্মা
♣♣♣♣♣♣♣

মাম্মার চেহারাতেই পবিত্রতার উজ্জ্বল দিপ্তী ছিল। এই পবিত্রতার গুণের কারণেই জগদম্বা রূপে মাম্মা রূপে তিনি গায়ন ও পূজনযোগ্য হয়েছেন। মাম্মা হলেন ব্রহ্মার পুত্রী। সম্বোধনেই এত স্বচ্ছতা, পবিত্রতার শক্তি তাতেই তিনি হয়ে গেলেন জগদম্বা।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

🌹🌹ওম শান্তি 🌹🌹

জ্ঞান আর শক্তির চৈতন্য অবতার 'মাতেশ্বেরী জগদম্বা সরস্বতী

*জ্ঞান আর শক্তির চৈতন্য অবতার 'মাতেশ্বেরী জগদম্বা সরস্বতী'*👸

*জ্ঞানের প্রকাশ আমাদের জীবনকে আলোকিত করে, কিন্তু মানবতার ইতিহাসে এমনও মহান বিভূতি আছেন, যিনি স্বয়ং জ্ঞানের প্রকাশ হয়ে এই সংসারকে এতোটাই আলোকিত করেছেন যে, জ্ঞানের প্রতিমূর্তির রূপে যিনি যুগে যুগে অজ্ঞান তিমির নাশ করে জ্ঞানের প্রকাশে মানব হৃদয়কে আলোকিত করে আসছেন । তাঁর উপমার জন্য উপযুক্ত শব্দের সীমা আজ সমাপ্ত । এমনই একজন ভারতীয় শিরোমণির প্রতিনিধি, ঈশ্বরীয় জ্ঞানের কালজয়ী অবতার, রুদ্র যজ্ঞ রক্ষক মাতেশ্বেরী জগদম্বা এই ধরায় যুগান্তকারী পরিবর্তনের সংবাহক হয়ে হাজার ব্রহ্মাবৎসের মানস পটে পরমাত্মা শিবের জ্ঞানের যে পরশ লাগিয়েছেন, তা বর্তমান সময়ে লাখ - লাখ মনুষ্য আত্মার জীবনকে আলোকিত করেছে । জ্যোতির্বিন্দু স্বরূপ পরমাত্মা শিব স্বয়ং শরীর ধারণ করতে পারেন না, কিন্তু মাতেশ্বেরী জগদম্বার রূপে পরমাত্মা এই সংসারের ব্রহ্মাবৎস তথা লাখ - লাখ মনুষ্য আত্মাদের মাতৃত্বের সুখময় আঁচলের ছত্রছায়ায় পালনা দিয়ে নিজের মমতাময়ী স্বরূপকে প্রকট করেছিলেন ।*

🕉 *ধর্মের সত্যি মর্ম*

*আধ্যাত্মিক জ্ঞান এবং শক্তির চৈতন্য দিব্য মূর্তি মাতেশ্বেরী শ্রী জগদম্বা, কর্মযোগের জ্ঞান গঙ্গা প্রবাহিত করে আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে পুরুষের প্রাধান্যতাকে ভঙ্গ করে সমস্ত সংসারে এই সন্দেশ দেন যে, আধ্যাত্মিক পুরুষার্থ এবং সাধনার জন্য ত্যাগ, তপস্যা এবং আত্ম অনুভূতিই যথার্থ সত্য, লিঙ্গ ভেদ এবং বাহ্যিক পরিচিতির কোনো গুরুত্ব নেই । মাম্মা যেই সময়ে আধ্যাত্মিক সাধনার দ্বারা অজ্ঞানতায় দিশাহীন সমস্ত মানবের হৃদয়কে জ্ঞানের প্রকাশে আলোকিত করার পথ চয়ন করেছিলেন, ১৯৩৬ সালের সেই কালখণ্ড এক নারীর জন্য অনেক বড় সাহসী পদক্ষেপ ছিলো, কেননা সেই সময়ের পুরুষ প্রধান সমাজ ধর্মের সুরক্ষার নামে নারীদের গৃহের অভ্যন্তরে পর্দানসীন করে রাখতো । তারা তাকেই সত্য ধর্ম মনে করতো । শ্রী মাতেশ্বেরী জী রাজযোগ সাধনা আর সহনশীলতার গুণে সম্পূর্ণ সংসারের সামনে ধর্মের সত্যি মর্ম স্পষ্ট করেছিলেন যে, আত্ম অনুভূতি এবং পরমাত্ম অনুভূতির দ্বারাই সত্য ধর্মের স্থাপনা হয়, নারীদের গৃহবন্দী আর পর্দার অন্তরালে রেখে নয় ।*

*আধ্যাত্মিক সাধনা এবং ঈশ্বরীয় জ্ঞানের দ্বারা অজ্ঞানতায় পথ হারানো দুঃখী আর পীড়িত সমস্ত মানব জাতিকে জীবনমুক্তি প্রদান করার মাম্মার ক্রান্তিকারী সিদ্ধান্ত মানবতার ইতিহাসকে পরিবর্তনকারী এক বিশেষ ঘটনা ছিলো কেননা তিনি নারীদের জন্য পূর্ণত: নারীদের জন্য নিষিদ্ধ ধর্মের দ্বারকে উন্মুক্ত করেছিলেন । তিনি নিজের দিব্য ব্যক্তিত্বের চুম্বকীয় আকর্ষণে হাজার - হাজার নারীকে স্বয়ং পরমপিতা পরমাত্মার দ্বারা এই সৃষ্টির মহাপরিবর্তনের মহান কাজে নিমিত্ত করে যে নব সৃজনের পথ দেখিয়েছিলেন, তা বর্তমানে নারী সত্বা দ্বারা সঞ্চালিত "প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমারী ঈশ্বরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের" রূপে সমগ্র সংসারকে আলোকিত করছে ।*
🌟🌟 *বীণাবাদিণী সরস্বতীর চৈতন্য অবতার*🌟🌟

*অবিভাজিত ভারতে ১৯১৯ সালে অমৃতসরের এক সামান্য পরিবারে জন্মগ্রহণ করা, পিতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত কিন্তু আধ্যাত্ম শিখরকে স্পর্শকারী মাতেশ্বেরী জীর সমাধিস্থ হয়ে উচ্চারিত "ওম" ধ্বনির আধ্যাত্মিক তরঙ্গের এতোটাই শক্তিশালী প্রবাহ ছিলো যে, "ওম" ধ্বনি উচ্চারিত হতেই সম্পূর্ণ পরিবেশে গভীর শান্তি ছেয়ে যেতো । এই ধ্বনির সংস্পর্শে আসা মানুষ ধ্যানের অবস্থায় চলে যেতেন । তাই মাতেশ্বেরী জীর 'ওম শ্রী রাধে' থেকে 'যজ্ঞ মাতার' দিব্য ব্যক্তিত্বের রূপে মহাপরিবর্তন মাতেশ্বরী জীর 'বীণাবাদিনী সরস্বতীর' চৈতন্য রূপে এই ধরায় সাক্ষাৎ অবতরণের দিব্য কাহিনী ।এক নতুন ইতিহাস সৃজন - তাঁর লৌকিক মাতা থেকে শুরু করে বাচ্চা, যুবা, বৃদ্ধ সকলেই তাঁকে "মাম্মা" নামে সম্বোধন করতেন, আর তিনিও যজ্ঞ মাতার বেহদের দৃষ্টিতে, আধ্যাত্মিক জ্ঞানে সকলের পালনা করে নারী সত্ত্বার আধ্যাত্মিক উত্থানের এক নতুন গৌরব গাঁথা সৃজন করেছিলেন । মাতেশ্বরী জগদম্বার পবিত্র সান্নিধ্যে প্রেরিত হয়ে লাখ - লাখ মনুষ্য আত্মা জ্যোতির্বিন্দু স্বরূপ পরমাত্মা শিবের নতুন সত্যযুগী দুনিয়ার পুনঃস্থাপনার মহান পরমাত্ম কার্যে নিজেকে সমর্পণ করার ঘটনা ইতিহাসে অন্যত্র কোথাও পাওয়া যায় না ।*

🌹🌹ওম শান্তি 🌹🌹

🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸

মুরলী শোনার নিয়ম

🍃 *মুরলী শোনার নিয়ম* 🍃🌸🌻

বাবার মুরলী একই হয় , কিন্তু যারা শোনে , তারা নম্বর অনুসারে বাচ্চা হয় । 
🌻 কিছু বাচ্চারা তো শুধু বাবার মহাবাক্যের শব্দ শুনেই খুশী হয়ে যায় । যারা বলে আজকের মুরলী খুব ভালো ছিল, এরকম বাচ্চারা শুধুমাত্র শব্দ পর্যন্তই সীমিত থাকে । 
🌻 দ্বিতীয় রকম বাচ্চা হলো , *যারা মুরলীর ভাব পর্যন্তই যায়* । কিন্তু 
🌻 তৃতীয় রকম বাচ্চাদের *বুদ্ধিতে বাবার জ্ঞান ভাবনা পর্যন্ত তো যাবে কিন্তু জীবনে পরিবর্তন হওয়া পর্যন্ত হবে না* । আর 
🌻 চতুর্থ প্রকারের বাচ্চারা *বাবার মহাবাক্য প্র্যাক্টিকলে ধারন করে*, 
এরকম বাচ্চা অনেক কম হয় ।

ভাব আর ভাবনা পর্যন্তও মুরলী হয় তাহলেও কোনো লাভ হয় না, *যতক্ষণ সেটা প্র্যাক্টিকল না হয় ! অর্থাৎ প্রয়োগশালায় প্রয়োগ করে নিজের আর দুনিয়ার বেনিফিট ( লাভে) আনতে হবে আর প্র্যাক্টিকল প্লাটফর্মে OK হতে হবে* ।

*মুরলীকে এইভাবে বুঝতে হবে যেমন দুধ যতই ভালো হোক, যদি দুধ গরম না করা হয় , তাহলে তাড়াতাড়ি খারাপ হয় । যদি গরম করেছো আর একদিনের মধ্যেই না পান করেছো তাহলে সেটা খারাপ হয়ে যাবে ।*

*দুধ আর জ্ঞান হলো মেটিরিয়ল, উতলানো মানে যোগবলের দ্বারা প্রয়োগে নিয়ে আসা অর্থাৎ দুধ পান করা* ।

এবার আমি কোন স্টেজ পর্যন্ত দুধ গরম করা পর্যন্ত বা পান করা পর্যন্ত অর্থাৎ লাভ নিয়ে দুনিয়াকে দেওয়া ।

*জ্ঞান যদি ফিল্ডে প্রয়োগ না হয় তাহলে আরোই দুঃখ দেওয়ার কারণ তৈরী হয় ।* 
*মুরলী শুনে প্র্যাক্টিকলে আনা অনেক প্রয়োজন আর এর জন্য অমৃতবেলায় দরকার বীজ রূপ স্থিতির পাওয়ারফুল অভ্যাস।*