বাচ্চাদের বকাঝকা করা লালন পালনের অংশ নয়.

*বাচ্চাদের বকাঝকা করে সমস্ত বিষয়ে বোঝানো, এটা সঠিক লালন পালনের অংশ নয়....*

———— *ব্রহ্মাকুমারী সিস্টার শিবানী*

*যখন আমরা কোন শুকিয়ে যাওয়া গাছকে জল দেওয়া শুরু করি, তখন সেই শুকনো গাছে নতুন পাতার জন্ম হয়। সেই রকমই বাচ্চাদেরও লালন পালন করার সময় তাকে অত্যন্ত ভালোবাসার সাথে বোঝানো দরকার। কেননা যদি নিজের বাচ্চাকে বকাঝকা করে বোঝানো হয়, তাহলে সেই বাচ্চাটি সঠিক পালনা পায় না। ঠিক সেইরকম, যদি আপনি গাছটিকে যত্ন করে জল না দেন, তাহলে সেই গাছটিও ধীরে ধীরে ঝিমিয়ে পড়তে শুরু করে। আজ আমরা আমাদের বাচ্চাদের সঙ্গে কি করছি ? তাকে খাবারও খাওয়াচ্ছি, পড়াশোনাও করাচ্ছি, আবার সাথে সাথে বকাঝকাও করছি, অর্থাৎ আমরা গাছটিকে জল দিচ্ছি আবার সাথে সাথে দুর্ব্যবহার করছি। আপনি যদি চান তবে এটাকে নিয়ে একটা ছোট্ট পরীক্ষাও করতে পারেন..... একটি গাছকে খুব যত্ন করে জল দিন, আর অন্যদিকে অন্য একটি গাছকে অনিচ্ছাসত্ত্বেও যত্ন সহকারে জল দিন। দুটি গাছের মধ্যে অনেক পার্থক্য নজরে আসবে।*

*এটা আমাদের চিন্তা-ভাবনার প্রভাবে হয়, যেটা আমাদের থেকে গাছ প্রাপ্ত করছে। যখন আমাদের চিন্তা ভাবনার প্রভাব গাছ, পশুপাখি, আর প্রকৃতির উপর পড়তে পারে, তাহলে এর প্রভাব কি আমাদের বাচ্চা, পরিবার আর নিজের উপর পড়বে না ? আপনি সারাদিন দুশ্চিন্তা করলে, সেটা নিজের উপর কতখানি প্রভাব বিস্তার করে, এ বিষয়ে হয়তো আপনি কোনদিন ভাবেন-ই নি....। যএই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকার জন্য, নিজের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। অমনোযোগী হয়ে নিজের শরীরকে কতদিন সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবেন ? এইজন্য নিজের প্রতি মনোযোগী হওয়ার দরকার আছে, যাতে নাকারাত্মক চিন্তা আর কথা থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়। যদি আমার চিন্তা-ভাবনা ভালো না হয়, কারোর প্রতি রাগ, ঘৃণা, ঈর্ষা বা আমি সব সময় নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা করি, তাহলে তার কারণ হলো আত্মা ভালো গুণ বা সংস্কার দ্বারা পালিত হয়নি। যখন আমরা কোনো একটি গোলাপ ফুলকে দেখি, তবে আমরা তার রং, কেমন দেখতে, তার সুগন্ধ কেমন, এইসব জিনিস দেখি। এর অর্থ এটাই হল যে, আমি আত্মা, আমার কাছে অনেক ধনসম্পত্তি আছে, আমি অনেক কিছু প্রাপ্ত করে নিয়েছি, কিন্তু আত্মা আধ্যাত্মিক জ্ঞান থেকে শুদ্ধ চিন্তা করার পদ্ধতি এবং তার ফল না গ্রহণ করলে আমার থেকে কোনদিনই ভালো চিন্তা-ভাবনার উৎপত্তি হবে না।*

*যখন আমরা হাসি, তখন বোঝা যায় যে, এই হাসিটা আসল না কৃত্রিম। হাসি যদি কৃত্রিম হয়, তবে তা থেকে ভালো প্রকম্পন (Vibrations) বায়ুমন্ডলে ছড়ায় না। যখন আত্মা সঠিক পুষ্টি না পায়, তখন সে দুর্বল হয়ে পড়ে। আত্মার পুষ্টি আসে সকারাত্মক চিন্তা থেকে, আর সকলের প্রতি শুভ ভাবনা থেকে। যখন এই পুষ্টির অভাব হয়, তখন সে জাগতিক-বিনাশী পদার্থের থেকে ক্ষণিকের জন্য সুখ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে চায়। যখন আপনি আন্তরিক শান্তি অনুভব করতে অসমর্থ হবেন, তখনই আপনার ওই সকল ভৌতিক-বিনাশী জিনিসের প্রতি অত্যধিক আকর্ষণ হবে। যে রকম কোনো দামি জিনিস কিনলে, তার থেকে বেশি সুখ পাওয়া যায়। মনে করুন, আজ আপনার বাড়িতে পার্টি আছে। কোনো গাছ পুষ্টির অভাবে ঝিমিয়ে রয়েছে, আপনি তাকে ভালো যাতে দেখায় তারজন্য বাইরে থেকে কৃত্রিম ফুল, পাতা দিয়ে সাজিয়ে দিলেন, যাতে এর শোভা বৃদ্ধি হয়। আর অন্যদিকে একটা গোলাপ ফুল, যার উপর কোন কৃত্রিমতা নেই, কিন্তু সে তার নিজস্ব সৌন্দর্য আর সুগন্ধের দ্বারা আপনাকে শুধু নয় সকলকেই অত্যধিক আকৃষ্ট করবে। এই পার্থক্য দেখা যায় আমাদের বাস্তবিক আর কৃত্রিমভাবে সাজানো জীবনের মধ্যে। এখন এটা আপনাকেই ঠিক করতে হবে যে আপনি নিজের জন্য কিরকম জীবন পছন্দ করবেন ? কৃত্রিম সাজ-সজ্জায় সজ্জিত জীবন, নাকি অন্তরের খুশি আর সন্তুষ্টতায় ভরা জীবন....।*

শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীর আধ্যাত্মিক রহস্য

জন্মাষ্টমীর আধ্যাত্মিক রহস্য* 👸

🤴🏻 *শ্রীকৃষ্ণের প্রতি ভক্তিতে, গৌরব ও জ্ঞানের সাথে বাবা রহস্যের উদ্বোধন করেন।*

🍯১) - *হাঁড়ি ভাঙা*

আপনার বুদ্ধি রূপি হাঁড়িকে ভাঙুন, যাতে জ্ঞান রূপি মাখন বেড়িয়ে আসতে পারে।

🍚 ২) - *মাখন চোর*

🍚🤴 আমাদেরকে শ্রীকৃষ্ণের মতো মাখন চোর অর্থাৎ গুনগ্রাহী হতে হবে।
তিনি স্থূল রূপে মাখন চুরি করেননি। তিনি প্রতিটি আত্মার বিশেষত্ত্ব নিয়েছিলেন, যাতে তাঁর স্মৃতি এখনও মাখনচোর হিসাবে গৌরবান্বিত হয়।
চোর এইজন্য বলা হয়,কেননা বিশেষত্ব গ্রহন করতে তাঁর কাউকে বলার দরকার নেই।
না বলেই বাছাই করে নেন।

👘🧥--৩) *পোশাক চুরি*

তিনি কোনো স্থূল পোশাক চুরি করেন নি, অন্যথায় নিন্দাই হতো, গৌরব নয়।
ব্রহ্মা বাবা সমস্ত আত্মার দেহরূপী বস্ত্র ভুলে থাকার উপলব্ধিতে আধ্যাত্মিক সম্প্রীতির সাথে জীবনযাপন করার অনুশীলন দেখিয়েছিলেন।

👩‍👩‍👦‍👦৪) *১৬১০৮ পাটরানী*

এই সঙ্গমে সবাই শিব বাবার পাটরাণী , যাঁরা মুরলিধরের কাছে জ্ঞানমুরলি শোনার জন্য ছুটে আসেন।

👼 ৫) - *ময়ূর মুকুট*

কোনো দেবী দেবতার কাছে এইরকম ময়ূরের মুকুট থাকেনা, যেরকম শ্রীকৃষ্ণকে দেখানো হয়েছে।
এটি পবিত্রতার লক্ষণ।
যিনি সঙ্গমে ১৬কলা সম্পূর্ণ, সম্পূর্ণ নির্বিকারী হয়েছেন।

👑 ৬) *মুরলি অবশ্যই হাতে থাকবে*

ব্রহ্মাবাবা মুরলী ও মুরলিধরকে খুব ভালোবাসতেন। 
এইজন্য মুরলি দেখানো হয়।
এবং এটি সুবর্ণ যুগের সুখের একটি নিদর্শনও।

💃৭) *সর্বদা নৃত্যরত*

শ্রী কৃষ্ণকে সর্বদা কেবল নৃত্যের ভঙ্গিতে দেখানো হয়।
এটি স্থূল নৃত্যের বিষয় নয়, অন্তরে জ্ঞানচিন্তন এবং সংস্কার মিলনের খুশীতে নৃত্যের নিদর্শন ।

সঙ্গমে, আমাদের এটাও দেখতে হবে যে, এই ব্রাহ্মণ পরিবারে আমাদের সংস্কারের মিলন হয়েছে?
তবেই আমরা স্বর্ণযুগে একসাথে যেতে সক্ষম হব।

এক মত,এক ধর্ম এবং এক রাজ্যের স্থাপনার জন্য সংস্কারের মিলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

*জন্মাষ্টমীর সকলকে শুভেচ্ছা*।

🙏 *ॐ শান্তি* 🙏

💓👶🏻💓🤴💓🤴🏿💓

নিজেকে দুর্বল মনে হলে কি করবেন?

কখনো কখনো বিনা কারণেই নিজেকে দুর্বল মনে হয়। এর কারণ হলো আপনার আশেপাশের বায়ুমণ্ডল। আপনি যে ঘরে, যার সাথে, যে স্থানে থাকেন, যদি ওই স্থানের ক্রমবর্ধিষ্ণু বায়ুমণ্ডল দুর্বল হয়, তাহলে আপনার নিজেকে দুর্বল অনুভব হবে।*

*দুর্বল বাতাবরণ থেকে বাঁচার জন্য, নিজের সংকল্পকে কখনো দুর্বল হতে দেবেন না! ঈশ্বরের জ্ঞান শুনুন এবং শোনান! সকলের সাথে মিশুন, সবার প্রতি মন থেকে প্রেম বর্ষণ করুন, শুভকামনা - শুভ ভাবনা বজায় রাখুন! শুদ্ধ সাত্ত্বিক ভোজন এবং শুদ্ধ পবিত্র দৃষ্টি দিয়ে জল পান করুন! স্মৃতিতে যেন থাকে যে, আমি আত্মা, আর আমার উপরে আশেপাশের আত্মার চিন্তাভাবনার প্রভাব পড়তে পারে। নাকারাত্মক এবং ব্যর্থ কথা বলা ব্যক্তির থেকে দূরে থাকুন! নিজের মন বুদ্ধিকে বারবার কোন দিব্য স্থানের প্রতি একাগ্র করুন আর সেখানকার শান্ত বায়ুমণ্ডলটিকে মন বুদ্ধির দ্বারা অনুভব করুন! পৃথিবীতে প্রতি জিনিসেরই নিজস্ব বাতাবরণ থাকে। এই জন্য আমরা যাকে বা যেটাকে মন বুদ্ধির দ্বারা স্মরণ করি, তাকে কেন্দ্রিত করে ওই স্থানের বাতাবরণটাও আমার মনের অনুভূতিতে স্থান লাভ পায়। যদি আপনি নিজেকে দুর্বল মনে করেন, তাহলে কোন নাকারাত্মক দুঃখজনক ঘটনা, নাকারাত্মক ব্যক্তিত্ব, নাকারাত্মক স্থানকে কখনোই মন বুদ্ধির দ্বারা স্মরণ করবেন না!*
*ওম শান্তি* 🙏

🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲

ভয়কে জয় করো

অাজকের মিষ্টি মোতি*💧

১৩ ই আগস্ট :-- *ভয়কে যদি জয় করতে চাও তাহলে সেই পরিস্থিতির সামনা করতে শেখো, যেই পরিস্থিতিকে ভয় পাও ।*

🙏🙏ওম শান্তি 🙏🙏

🌹🌹ব্রহ্মাকুমারীজ 🌹🌹

💧💧💧💧💧💧💧💧

দাদী প্রকাশমণি জীর অমৃত বচন 2

দাদী প্রকাশমণি জীর অমৃত বচন*☀

*এই আধ্যাত্মিক পাঠ হলো আমার পেপার । সমস্ত ব্রাহ্মণ কুল আমার শিক্ষক । যে কেউই আমার সামনে আসুক না কেন, বুদ্ধিতে এই কথা যেন সর্বদা থাকে যে, এ আমার থেকে কতটা ঈশ্বরীয় শক্তিতে ভরপুর হয়ে যেতে পারবে । সে আমার থেকে যতটা আত্মিক শক্তি পাবে, ততই আমি সফলতা প্রাপ্ত করবো ।*

🌹🌹 *মধুবন*🌹🌹

❤❤❤❤❤❤❤❤

মুরলী কি?

মুরলী হলো লাঠি, এই লাঠির আধারে যে কেউই হোক না কেন, সে ভরপুর হয়ে যাবে ----এই আধারই নিজের ঘর পর্যন্ত, নিজের রাজ্য পর্যন্ত পৌঁছে দেবে কিন্তু তা লক্ষ্যের দ্বারা, নিয়মপূর্বক নয়, কিন্তু একাগ্রতার সঙ্গে, তাই একাগ্রতার সঙ্গে মুরলী পড়ো অথবা শোনো, অর্থাৎ মুরলীধরের একাগ্রতায় থাকো ---মুরলীধরের প্রতি স্নেহের নিদর্শন হলো 'মুরলী', মুরলীর প্রতি যতটা স্নেহ থাকবে, মনে করো ততটাই মুরলীধরের প্রতি স্নেহ থাকবে, প্রকৃত ব্রাহ্মণের পরিচিতি মুরলীর দ্বারাই হবে, মুরলীর প্রতি একাগ্রতা অর্থাৎ প্রকৃত ব্রাহ্মণ, মুরলীর প্রতি একাগ্রতা কম অর্থাৎ অর্ধেক ব্রাহ্মণ ।*

🌹🌹 *অব্যক্ত মুরলী ২৩ - ১০ - ১৯৭৫*

যোগী জীবন কাকে বলা হয় ?

যোগী জীবন কাকে বলা হয় ?*

উত্তর :-- যোগী জীবনের অর্থ নিরন্তর যোগী l যিনি নিরন্তর যোগী হবেন - তার খাওয়া - দাওয়া, চালচলনে বাবা আর শ্রেষ্ঠ আত্মা - এই স্মৃতিই থাকবে l বাবা যেমন, বাচ্চাও তেমন, যা বাবার গুণ তাই বাচ্চার গুণ, যা বাবার কাজ, বাচ্চারও তাই কাজ l একেই বলা হয় যোগী জীবন l এমন যোগী যে সদা এক লগনে মগ্ন থাকে, সেই সর্বদা খুশীতে থাকতে পারে l আর যে সর্বদা খুশীতে থাকে, সে দুঃখের দুনিয়ার প্রতি আকৃষ্ট হয় না l

🙏ওম শান্তি 🙏

🔆🔆🔆🔆🔆🔆🔆🔆🔆

স্বদর্শন বা স্বদর্শন চক্রধারীর অর্থ কি

প্রশ্ন :-- স্বদর্শন চক্র সর্বদা এক আঙ্গুলে দেখানো হয় l পাঁচ আঙ্গুল বা দুই আঙ্গুলে নয় l স্বদর্শন চক্রধারীর অর্থ কি ?*

উত্তর :-- এক আঙ্গুল অর্থাৎ একটাই সঙ্কল্প - "আমি বাবার আর বাবা আমার l" এক এই সঙ্কল্প রূপী এক আঙ্গুলেই স্ব দর্শন চক্র চলতে থাকে l

স্ব - দর্শন চক্রধারী অর্থাৎ স্ব - এর দর্শন করা আর সর্বদার জন্য প্রসন্ন চিত্ত থাকা l

প্রতিটি আত্মা স্বয়ং সর্বজ্ঞ এবং আনন্দম

ওম শান্তি 🙏

*প্রতিটি আত্মা স্বয়ং সর্বজ্ঞ এবং আনন্দময় -----আনন্দ কখনো বাইরে থেকে আসে না, কোনো ব্যক্তি অথবা বস্তুর থেকেও প্রাপ্ত করা যায় না ----বাইরের দুনিয়ায় আনন্দের খোঁজ করাই হলো সবথেকে বড় দুঃখের কারণ ।*

🌻🌻 *বি.কে.সিস্টার শিবানী*🌻🌻

🧚‍♀🧚‍♀🧚‍♀🧚‍♀🧚‍♀🧚‍♀🧚‍♀🧚‍♀🧚‍♀🧚‍♀🧚‍♀

সম্পর্ক মন থেকে হওয়া উচিত

১৩ ই আগস্ট, ২০১৯

✨🌹✨অাজকের প্রেরণা ✨🌹✨

*সম্পর্ক মন থেকে হওয়া উচিত, কেবল কথায় নয়, তেমনই ক্রোধও মুখ পর্যন্তই থাকা উচিত, হৃদয়ে নয় ।*

🌹🌹 *আজ থেকে আমরা যেন মন থেকে সবাইকে ভালোবাসতে পারি -----*

☘☘মধুবন ☘☘

☀❣☀❣☀❣☀❣☀❣☀

শ্রেষ্ঠ কর্ম কি? পাপকর্ম কি?

অাজকের মিষ্টি মোতি*💧

১৪ ই আগস্ট :-- *শ্রেষ্ঠ কর্ম হলো তাই, যা সুখের অনুভব করায়, আর যা দুঃখের অনুভব করায় তা পাপকর্ম ।*

🙏🙏ওম শান্তি 🙏🙏

🌹🌹ব্রহ্মাকুমারীজ 🌹🌹

💧💧💧💧💧💧💧

স্বচিন্তনের দ্বারাই শুভ চিন্তন করা সম্ভব হয়।

ওম শান্তি 🙏

*স্বচিন্তনের দ্বারাই শুভ চিন্তন করা সম্ভব হয়।*

💫 মিষ্টি বাবা সবসময় বলতেন, *"CHARITY BEGINS AT HOME"* অর্থাৎ *"প্রথমে স্ব-সেবা করো"*।

⭐ নিজেকে জিজ্ঞাসা করো যে, "আমি কখনো অপরের প্রতি ভালো/ শুভ চিন্তা করি?
যখন আমি শুভ ভাবনা দিয়ে ভরপুর থাকি..... সন্তুষ্ট থাকি......।

*স্ব চিন্তন অর্থাৎ আত্মপর্যবেক্ষণ*, নিজের মধ্যে যা কিছু ঘাটতি - দুর্বলতা আছে, সেগুলিকে বাবার শ্রীমত অনুসারেই পরিবর্তন করা.......।

নিজের দৃষ্টিকোণকে পরিবর্তন করো। এটা সত্য যে, দেহধারী লৌকিক আত্মীয় - সম্বন্ধী, মিত্র - পরিবার, এরা প্রত্যেককেই মিষ্টি বাবার মিষ্টি সন্তান। আর প্রত্যেকেরই নিজস্ব পাঠ আছে, সেটা ভালই হোক বা মন্দ চরিত্রের, আমরা যেন কোনভাবে বিচলিত না হই।

এই জন্যই আমরা যখন স্বচিন্তন করব, তখনই শুভ চিন্তনও করতে পারবো। কেননা শুভ চিন্তন থেকেই অপরের প্রতি শুভ ভাবনা আসে। অপরের প্রতি শুভ ভাবনার বদলে, আশীর্বাদ অবশ্যই পাওয়া যাবে।

ওম শান্তি 🙏

⛲⛲⛲⛲⛲⛲⛲⛲

পরিবারে মধুর সম্বন্ধ কিভাবে গড়ে তুলবেন?

ওম শান্তি 🙏

❤ *মধুর সম্বন্ধ*❤

⭕ *সম্বন্ধে মাধুর্যের আধার হলো দিব্য গুণ l স্ব - পরিবর্তনেই হয় এই বিশ্বের পরিবর্তন l তাই সর্বপ্রথম নিজেকে পরিবর্তনের লক্ষ্য রাখতে হবে l সহযোগের ভাবনা, শুভ চিন্তন, অন্যের প্রতি প্রেম - সম্মান l যেখানেই সম্বন্ধে নিঃস্বার্থ ভাব থাকবে সেখানেই সম্বন্ধ মধুর হবে l*

⭕ *সংসারে যত কলহ - ক্লেশ আছে, তার মূল কারণ হলো কোনো না কোনো দিব্য গুণের অভাব l যদি আমরা আমাদের জীবনে দিব্য গুণের ফুল ধারণ করতে পারি তাহলে আমাদের সম্বন্ধ সুন্দর হয়ে উঠবে l*

⭕ *আমাদের ব্যবহারের উপর আমাদের নজর দেওয়া উচিত l সম্বন্ধ - সম্পর্কে আসা যে কোনো আত্মার সঙ্গে আমাদের ব্যবহার যেন সুন্দর হয়, পক্ষপাত শূন্য হয় l*

⭕ *বুদ্ধিমত্তা জীবনের এক তলোয়ার তেমনই রক্ষাকবচ l কারোর ব্যবহারকে দেখেও না দেখা করা, না দোষ দেওয়া আর না অভিযোগ করা l এতে আন্তরিক আঘাত থেকে আমরা যেমন স্বয়ং মুক্ত হবো তেমনই আমাদের সম্বন্ধও থাকবে মধুর l*

⭕ *নম্র আর নিরহংকারী মানুষ কখনো ভেঙ্গে পড়ে না কারণ তার মধ্যে নত হওয়ার ক্ষমতা থাকে l তাই তার সাথে সকলেরই স্নেহের সম্বন্ধ থাকে l নিরহংকারিতা তো সকল দিব্য গুণের রস বা সার l*

⭕ *সরলতা হলো মনকে স্বচ্ছ করার উপায় l সরল চিত্ত ব্যক্তির মনে কোনো ছল - কপট বা চাতুরী থাকে না l তার শুদ্ধ ভাইব্রেশন শীঘ্রই অন্যকে আকর্ষণ করে l*

⭕ *অন্যের ভাবনা বা চিন্তাকে বুঝতে পারা, অন্যের দুঃখের অনুভবও আমাদের মহান করে তোলে l*

⭕ *ঈর্ষা, দ্বেষ, ক্রোধ বা কড়া কথা শুনেও, জয় - পরাজয়, লাভ - ক্ষতি আদি পরিস্থিতিতেও আমরা যদি সহনশীলতা রূপী অমূল্য গুণকে ব্যবহারে আনতে পারি, তাহলে অন্যের সঙ্গে আমাদের ঝগড়া সমাপ্ত হয়ে যাবে আর কঠিন পরিস্থিতিতেও আমরা আমাদের স্থির রাখতে পারবো l*

⭕ *ক্ষমাশীলতা :-- ক্ষমা মানুষের ভূষণ আর ধর্মও l যদি আমরা এই গুণকে আপন করে নিতে পারি, তাহলে আমরাও স্নেহ আর সহযোগ পাবো l অপকারী ব্যক্তিরও উপকার করার চিন্তা হলো মহৎ চিন্তাধারা l আমাদের মধ্যে এমন ব্যক্তির প্রতিও যেন দয়ার ভাবনা জাগরিত হয়, ক্রোধের নয় l এতেই সম্পর্ক মধুর হয় l*

🔆🔆 *কর্ম সিদ্ধান্ত অনুসারে কোনো পরিস্থিতি এলে, আমাদের অনুধাবন করা উচিত যে, আমারই কোনো না কোনো কর্মের ফল আজ আমার সামনে l তাই তাকে হাসিমুখে স্বীকার করে, ধৈর্য সহকারে তার সামনা করা উচিত l অন্যকে দোষ দেওয়া উচিত নয় l এতেও আমাদের সম্বন্ধ হয় মধুর l*

*আমরা বাণীকে বীণা বানিয়ে রাখবো -----তাহলেই জীবন হবে সঙ্গীত ------*

❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤

স্নেহের ভাষা

অাজকের মিষ্টি মোতি*💧

১৫ ই আগস্ট :- *যে স্নেহের ভাষা জানে, সে সর্বক্ষেত্রে সফল হয ।*

🙏🙏ওম শান্তি 🙏🙏

🌹🌹ব্রহ্মাকুমারীজ 🌹🌹

💧💧💧💧💧💧💧💧

রক্ষা বন্ধন কি? বাঁধুন স্ব-রক্ষার সুরক্ষা বন্ধন

বাঁধুন স্ব-রক্ষার সুরক্ষা বন্ধন :-* ❣

*"রক্ষা বন্ধন"* - এই উৎসবটি শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে মানানো হয়। ভারতবাসীদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎসব। বোনেরা হৃদয় থেকে এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করে থাকে এবং এই দিনটিতে ভাইদের হাতে রক্ষাকবচ বেঁধে দেয়, যাকে *রাখী* বলা হয়ে থাকে। বাজারে রাখীর দোকানগুলি এমন ভাবে সেজে ওঠে, যেন মনে হয় কোন মেলা বসেছে। রক্ষা বন্ধন হিন্দুদের অন্যতম প্রধান উৎসব। পরবর্তীকালে এই রক্ষা বন্ধন পর্বটি *রাখী* নামে পরিচিত হয় । এই *রাখী উৎসব* কবে থেকে মানানো হচ্ছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। কিন্তু *ভবিষ্য পুরাণ* এর একটি কথাতে এর উদাহরণ অবশ্য পাওয়া যায়। একবার বিষ্ণু, বামন অবতার ধারণ করে, বলি রাজার অভিমান কে চূর্ণ-বিচূর্ণ করেছিলেন। এইজন্য এই উৎসব *"বলেয়"* নামেও প্রসিদ্ধ। মহারাষ্ট্রে "নারিকেল পূর্ণিমা" বা "শ্রাবণী" নামেও এই উৎসব বিখ্যাত । এই দিন ওখানকার মানুষ-জন, নদী বা সমুদ্রের তটে গিয়ে নিজেদের পৈতা পরিবর্তন করে আর তার সাথে সাথে সমুদ্রের পূজাও করে।

*রক্ষা বন্ধন* সম্বন্ধে এক অন্য পৌরাণিক কথাও প্রসিদ্ধ আছে । দেব আর দানবের ভয়ংকর যুদ্ধে, দেবতারা পরাজিত হয়ে যখন দেবরাজ ইন্দ্রের শরণাপন্ন হয়েছিলেন, তখন ইন্দ্রানী দেবী দেবতাদের ভয়ে ভীত দেখে, তাদের হাতে রক্ষা সূত্র বেঁধে দিয়েছিলেন। এর দ্বারা দেবতাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় এবং দেবতারা দানবদের উপর বিজয় প্রাপ্ত করতে সমর্থ হয়। তখন থেকেই রাখি বন্ধন প্রথা শুরু হয়।

দ্বিতীয় মান্যতা অনুসারে, ঋষি মুনি দের উপদেশের পূর্ণাহুতি এই দিন হয়ে থাকে। তারা রাজাদের হাতে এই দিন রক্ষা সূত্র বেঁধে দিতেন। এই জন্য আজও ব্রাহ্মনেরা তাদের যজমানের হাতে রাখী বেঁধে দেন।

*রক্ষা বন্ধন* এই উৎসবটি ভাই বোনের পবিত্র প্রেমের প্রতীক। এইদিন বোনেরা অনেক ভালোবাসার সাথে তাদের ভাইদের হাতে রাখী বেঁধে দেয় এবং তাদের জন্য অনেক শুভকামনাও করে। ভাইরা নিজেদের বোনেদেরকে যথাসাধ্য উপহার দেয়। অতীত হয়ে যাওয়া শৈশবের আনন্দ পুনরুজ্জীবিত হয় ওই দিন।

রাখীর এই সুতোর মধ্যে অনেক কিছুই বলিদান থাকে। চিতোরের রাজমাতা কর্মবতী মুঘল সম্রাট হুমায়ূনকে রাখী পরিয়ে ভাই বানিয়ে ছিলেন এবং হুমায়ুনও নিজের বোন কর্মবতীকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য চিতোর পৌঁছেছিলেন। আজকাল তো বোন ভাইকে রাখি পরিয়ে দেয় আর ভাই বোনকে কিছু উপহার দিয়ে কর্তব্য পূরণ করে। কিন্তু আজ মানুষ এই কথাটি ভুলে গেছে যে, রাখীর সুতোর সম্বন্ধ, মনের পবিত্র ভাবনা থেকে হয়ে থাকে।

এসব তো হল পরম্পরা ধরে চলে আসা ধারণা বা মান্যতার কথা। এই আধারেই আমরা একে অপরকে রক্ষা সূত্র বেঁধে থাকি। কিন্তু এই রকম করেও আজ আমরা অপরকে রক্ষা করতে পারছি কি? আজ পরিবেশের অবস্থা খবর কাগজ বা কোন মাধ্যম দ্বারা জানা যায় । চারিদিকে কি রকম ঘৃণ্য ঘটনা ঘটে চলেছে। ব্যস্ এই গ্রন্থি গুলিকে মুক্ত করার লক্ষ্যে আমরা আপনার মনোযোগকে একাগ্র করতে চাই.....

বাস্তবে মনুষ্য নিজের মধ্যে নিহিত মনোবিকারের বশ হয়ে এইরকম ঘৃণ্য ঘটনা করার জন্য প্রেরিত হচ্ছে। কেবলমাত্র সূত্র বন্ধনেই তাদের মনোবৃত্তি পরিবর্তন করা সম্ভবপর নয়, এই জন্য মনকে শুদ্ধ করার প্রক্রিয়া একমাত্র আধ্যাত্মিক জ্ঞানের মাধ্যমেই করতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আধ্যাত্মিকতার সম্বন্ধে সঠিক তথ্য না তো কারোর জানা আছে, আর না তার পদ্ধতি জানা আছে, কিভাবে করতে হয়। তো এই রকম পরিস্থিতিতে মনোবৃত্তিকে শুদ্ধ করার জন্য পরমাত্ম জ্ঞানই এমন এক মাধ্যম, যার দ্বারাই এই সকল বিকৃতি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আমরা আপনাকে একটা খুশির খবর জানাচ্ছি যে, কালচক্রে এখন পরমাত্মা দ্বারা মানব মনের দূষিত বৃত্তি গুলিকে পরিবর্তনের সময় পূর্বের আট দশক ধরে চলে আসছে। তো আপনিও কি চান যে, আপনার মন শুদ্ধ এবং শ্রেষ্ঠ ভাবনা দিয়ে পরিপূর্ণ থাকুক। যাহার দ্বারা আমরা নিজেরাই নিজেদের সুরক্ষা করতে পারব সাথে সাথে অপরকেও........

*তাহলে আসুন, আপনিও আপনার মনকে শুদ্ধ করুন, নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন এবং পরিবার তথা সমাজের সুরক্ষা কবচ হয়ে তাদেরকেও সুরক্ষিত রাখুন।*

💝 *মধুবন* 💝

👬👭👭👬👫👭👬👫👭

নিজেকে চেক করো

অাজকের মিষ্টি মোতি*💧

১৬ ই আগস্ট :- *তোমাদের মুখ থেকে সারাদিনে নির্গত সকল শব্দের মধ্যে কতগুলি শব্দ পরমাত্মার প্রতি ? নিজেকে চেক করো ।*

🙏🙏ওম শান্তি 🙏🙏

🌹🌹ব্রহ্মাকুমারীজ 🌹🌹

💧💧💧💧💧💧💧💧

আমরা জুড়ে থাকার চিন্তা করি অথবা ভেঙ্গে দেবার

অমূল্য মোতি*🍁🍁

১৬ - ০৮ - ১৯

*আমাদের মস্তিস্কে সেই শক্তি থাকে যে -----আমরা জুড়ে থাকার চিন্তা করি অথবা ভেঙ্গে দেবার ----আমাদের শক্তি সেই দিকেই কাজ করতে শুরু করে ।*

🙏🙏ওম শান্তি 🙏🙏

🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁

মানুষ আপনার কথা দ্বিতীয় বার শোনার অপেক্ষায় থাকে

🙏ওম শান্তি 🙏

*এতো বেশী বলবেন না, যে মানুষ আপনার চুপ করার জন্য অপেক্ষা করে -----বরঞ্চ এতটা বলেই চুপ করে যান যে, মানুষ আপনার কথা দ্বিতীয় বার শোনার অপেক্ষায় থাকে ।*

🌻🌻 *বি.কে.সিস্টার শিবানী*🌻🌻

দাদী প্রকাশমণি জীর অমূল্য বচন

দাদী প্রকাশমণি জীর অমূল্য বচন*

*নিজের সঙ্কল্পকে নিয়ন্ত্রণ করার অভ্যাস করো । এখনই সাকারী আবার এখনই নিরাকারী স্থিতিতে স্থিত থাকার অভ্যাস করো । এরজন্য নিয়ম তৈরী করো । ড্রিল করো, মনোযোগ সহকারে অভ্যাস করো, তাহলে বুদ্ধি শীতল এবং শক্তিশালী হয়ে যাবে । তোমরা খুশীতে থাকতে পারবে ।*

🌹🌹মধুবন 🌹🌹

❤❤❤❤❤❤❤❤

নিজের গুরুত্বকে চেনো

অাজকের মিষ্টি মোতি*💧

১৭ ই আগস্ট :-- *দুনিয়াতে সকলের চিন্তাধারা কখনোই সমান হতে পারে না, তাই অন্যের সঙ্গে তুলনা করা ত্যাগ করে নিজের গুরুত্বকে চেনো ।*

🙏🙏ওম শান্তি 🙏🙏

🌹🌹ব্রহ্মাকুমারীজ 🌹🌹

💧💧💧💧💧💧💧

*পরমাত্মার সঙ্গ জীবন জ্যোতি জাগ্রত করে

অাজকের মিষ্টি মোতি*

১৮ ই আগস্ট :-- *পরমাত্মার সঙ্গ জীবন জ্যোতি জাগ্রত করে, যাতে দুঃখের অন্ধকার সমাপ্ত হয়ে যায় ।*

🙏🙏ওম শান্তি 🙏🙏

🌹🌹ব্রহ্মাকুমারীজ 🌹🌹

💧💧💧💧💧💧💧

*মুশকিল সময়ের বড় অবলম্বন হলো 'আশা

১৮ ই আগস্ট, ২০১৯

✨🌹✨আজকের প্রেরণা ✨🌹✨

*মুশকিল সময়ের সবথেকে বড় অবলম্বন হলো 'আশা,' যা এই ভরসা দেয় যে, সব ভালোই হবে ।*

✨✨ *আজ থেকে আমরা যেন সর্বদা এই 'আশা' কে ধরে রাখতে পারি -----*

🌹🌹মধুবন 🌹🌹

☀❣☀❣☀❣☀❣☀❣☀

খারাপের বনাম ভালো

😊 *আজকের মিষ্টি মোতি :-*

*১৮/০৮/১৯*

*এক ব্যক্তি অনেক খারাপের মধ্যেও ভালোর খোঁজ করে, আবার অন্য একজন, অনেক ভালোর মধ্যেও খারাপই দেখে। অর্থাৎ এটা ব্যক্তির চিন্তা-ভাবনা এবং প্রবৃত্তির ওপর নির্ভর করে যে, সে গোলাপের কাঁটা দেখবে, নাকি কাঁটার মধ্যে সুন্দর গোলাপ🌹।*

🙏🌹 *ওম শান্তি* 🌹🙏

🏵💎🏵💎🏵💎🏵💎🏵

গরীবের ভগবান -মনের স্বচ্ছতা আর হৃদয়বান ব্যক্তি

*ওম শান্তি* 🙏

*গরীবের ভগবান অর্থাৎ মনের স্বচ্ছতা আর হৃদয়বান ব্যক্তি :-*

সবকিছুই ভগবানের দান...... যা কিছু আমি প্রাপ্ত করেছি তা আমার জন্য যথার্থ.........পর্যাপ্ত........। এটাকে প্রভুর আদেশ আর ইচ্ছা মনে করে পুরুষার্থ করা......., একটি নতুন দিনের শুরুতেই ভগবানকে হৃদয় থেকে ধন্যবাদ জানানো বাচ্চাই বাবার প্রিয় হয়, আর বাবারও তার প্রতি এটাই চিন্তা থাকে যে...... নিজের ক্রোড়ে বসিয়ে প্রতিটি সমস্যা, বিপদ যা কিছু আসে....... যদি ভয়ঙ্কর রূপেও আসে.... কিন্তু তাকে সুরক্ষিত রেখে, শূল থেকে কাঁটা আর কাঁটা থেকে তুলার ন্যায় হালকা করে দেওয়া....... ।

এইজন্য বাবা আমাদের, ব্রাহ্মণদের সর্বদা বলে থাকেন যে, *গ্রামে গ্রামে গিয়ে সেবা করো*...... এই সময় ধনী ব্যক্তিদের কাছে, আমাকে দেওয়ার মত সময় নেই, তাদের কাছে এটাই স্বর্গ.......।

আমাদের ব্রাহ্মণদের মধ্যে থেকেও যে, ব্রাহ্মন জন্ম নিয়ে, সময় অনুসারে জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে, জ্ঞানী হওয়া সত্ত্বেও শ্রীমতের অবজ্ঞা করে, ধন উপার্জনের পিছনে দৌড়ায়, আর ভাবে যে, *সেন্টারে অনেক ধন দান করলে তার সম্মান ও গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে.........*

তাহলে মনে রাখবে, আমি লৌকিক ব্রাহ্মণদের থেকে আলাদা না হতে পেরেছি......... আর না বাবা আমার সাথী হবেন.......... ।

*যদি সেন্টারের ধন দান করলে সম্মান পাওয়া যায়........ সেবার সুযোগ পাওয়া যায়........, তাহলে সাবধান হয়ে যাও.........., এই রকম সেবা, এই রকম সম্মান - কিছু কাজে আসবে না.........।*

পরশু মুরলিতে বাবা বলেছেন যে, আমি-ই সেই ব্রাহ্মন পূজারী, যে সবার প্রথমে শিবলিঙ্গের পূজা করে সবাইকে ভগবানের সত্য স্বরূপ (অর্থাৎ জ্যোতির্বিন্দু স্বরূপ ) ভুলিয়ে দিয়েছি......., আমি-ই সবার প্রথমে সর্বব্যাপী বলে ভগবানের গ্লানি করেছি.......।

তাই এখন আমরা অর্থাৎ ঈশ্বরীয় ব্রাহ্মনরাই দিব্য চালচলন দ্বারা, তীব্রপুরুষার্থ করে, ঈশ্বরের কাছে স্বচ্ছ থেকে, ঈশ্বরের মহিমা তথা যথার্থ রূপকে প্রত্যক্ষ করবো..........। *না আমার সম্মান...., না আমার গুরুত্ব....., না আমার প্রয়োজনীয়তা....... - সবকিছুই ঈশ্বরের প্রতি সমর্পিত করে দেবো.........।*

যদি আমার এক আনাও প্রাপ্ত হয়, তবে তা বাবার ইচ্ছা অনুসারে এবং তাই আমার জন্য পর্যাপ্ত...... কেননা তার ক্রোড়ে বসে আছি, তাই সব দায়িত্ব তাঁরই..........।

*এইরকম নিশ্চয়বুদ্ধি বাচ্চাই গরীবের উদ্ধারকর্তা........।*

🙏 *ওম শান্তি* 🙏