সদা দুশ্চিন্তামুক্তএবং প্রসন্নচিত্ত ব্যক্তি কে?

অাজকের মিষ্টি মোতি*💧

২০ শে ডিসেম্বর :-- *সাকারাত্মক চিন্তার ব্যক্তি সদা দুশ্চিন্তামুক্তএবং প্রসন্নচিত্ত থাকেন ।*

🙏🙏ওম শান্তি 🙏🙏

🌹🌹ব্রহ্মাকুমারীজ 🌹🌹

💧💧💧💧💧💧💧

আমরা যেন আপনজনের সঙ্গে লড়াই না করি

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯

✨🌹✨অাজকের প্রেরণা ✨🌹✨

*যুদ্ধকে সমাপ্ত করার সবথেকে শীঘ্র উপায় হলো সেই যুদ্ধে হেরে যাওয়া, বিশেষ করে সেই যুদ্ধ যখন আপনজনের সঙ্গে হয় ।*

⚜⚜ *আজ থেকে আমরা যেন আপনজনের সঙ্গে লড়াই না করি ----*

🌹🌹মধুবন 🌹🌹

☀❣☀❣☀❣☀❣☀❣☀

সঙ্গীতময় জীবনে উঠানামা থাকবেই

*আত্মকৃতি স্নেহ - মোতি*☀☀

২০ - ১২ - ২০১৯

*"জীবন হলো এক সঙ্গীত," প্রতিটি হৃদয়েই এই গান গাইতে হবে, জীবনে ওঠানামা তো আসেই, ঈশ্বর বলেন - তুমি যদি আমার প্রতি বিশ্বাস রেখে আমার সঙ্গে গান গাইতে থাকো তাহলে আমিই তোমার মার্গদর্শক হবো আর 'বিজয়' তোমার গলার হার হয়ে যাবে ।*

🌺🌺ব্রহ্মাকুমারীজ 🌺🌺

❤💙❤💙❤💙❤💙❤💙

দেবীর মন্দিরে নয়, স্ত্রীর স্থান আপনার মনের মন্দিরে

❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣

♦ নারী গৃহে লক্ষ্মী হয়ে জল ভরে, পরিবারের তৃষ্ণা মেটায় 
----

♦ অন্নপূর্ণা হয়ে অন্ন প্রস্তুত করে ----

♦ গৃহলক্ষ্মী হয়ে আত্মীয় - পরিজনের সেবা করে -----

♦ সরস্বতী হয়ে সন্তানের শিক্ষা দেয় ----

♦ দুর্গা হয়ে সংকটের সময় পরিবারকে রক্ষা করে ----

♦ কালী এবং চণ্ডী রূপে গৃহের সুরক্ষা করে ----

♦ তার পূজা না করুন কিন্তু স্ত্রীকে সম্মান করা অত্যন্ত জরুরী ---

♦ দেবীর মন্দিরে নয়, আপনার মনের মন্দিরে তার স্থান দিন ----

♦ মাতৃ মূর্তির সঙ্গে সঙ্গে জীবিত স্ত্রীর প্রতি সম্মান আর ভালোবাসাই হলো প্রকৃত নবরাত্রি উৎসবের সার l ♦

🙏🙏ওম শান্তি 🙏🙏

❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣

নিমিত্ত হওয়ার ভাগ্য অসাধারণ

ওম শান্তি*🙏

*অব্যক্ত বাণী*

*অব্যক্ত বাণীতে বাপদাদা বলেছেন ---*

💥💥 *নিমিত্ত হওয়ার ভাগ্য এবং এর গুরুত্ব এখন কখনো কখনো সাধারণ মনে হয়, কিন্তু সময় মতো এই ভাগ্য শ্রেষ্ঠ অনুভব করবে l কে নিমিত্ত বানালো, কে আমি আত্মাকে যোগ্য মনে করে পছন্দ করলো - এই স্মৃতিই স্বত: শ্রেষ্ঠ করে তোলে l "কে আমাদের বানাচ্ছেন" এই স্মৃতিতে যদি থাকো তাহলে নিরন্তর যোগী হয়ে যাবে l মনে সদা বাবার গুনগান করতে থাকো তাহলেও নিরন্তর যোগী হয়ে যাবে l*

💥💥 *এ কোনো কম কথা নয় l সমগ্র বিশ্বের কোটি কোটি আত্মার মধ্যে কতো অল্প তোমরা নিমিত্ত টিচার্স হয়েছো l ব্রাহ্মণ পরিবারেও কতো টিচার্স l তাহলে কয়েকজনের মধ্যেও মাত্র কয়েকজন হলে, তাই না l*

১৪ - ০১ - ৯০, পৃষ্ঠা - ৩১

*পদ্মগুণ ধন্যবাদ বাবা 🙏

অশরীরী ড্রিল সারাদিনে বারবার অভ্যাস করতে থাকো

ওম শান্তি 🙏

*অব্যক্ত বাণী*

*অব্যক্ত বাণীতে বাপদাদা বলছেন ------*

💥 *(ড্রিল ) আচ্ছা - এক সেকেণ্ডে বাবার সমান সম্পূর্ণ অশরীরী হতে পারো তো ? তো এক সেকেণ্ডে ফুল স্টপ লাগাও আর অশরীরী স্থিতিতে স্থিত হয়ে যাও । (বাপদাদা তিন মিনিট ড্রিল করিয়েছেন ) আচ্ছা - এই ড্রিল সারাদিনে বারবার অভ্যাস করতে থাকো ।*
*(২৩ - ০২ - ৯৭,পেজ - ৩৫,৩৬)*

*পদ্মগুণ ধন্যবাদ বাবা 💥🙏*

ডবল বিদেশী ভাই বোনদের প্রশ্ন - জানকী দাদীর উত্তর

প্রশ্ন -- আজকের দুনিয়ায় সবাই তো বাবার বাচ্চা , আমরা অনেক ভাগ্যশালী , বাবার যে জ্ঞান আমরা পেয়েছি , কোনো কথা যখন সামনে আসে , তখন যদি আমরা বাবার জ্ঞান না পেতাম , তাহলে আমাদের জীবন কি রকম হতো , আমরা বুঝতে পারছি না ? অনেকবার আমাদের সামনে এমন পরিস্থিতি আসে তখন আমাদের থেকে কিছু হয়ে যায় , পরে মনে হয় এমন করা উচিত ছিল , এমনি করলে ভালো হতো | তো আমরা কি করে বুঝতে পারবো যে সঠিক সময়ে কিভাবে সবকিছু সঠিক করবো ?

উত্তর -- পুরুষার্থ এমনি আছে , যা কিছু পরিস্থিতি আছে , কোনো কথা নয় , বাবা বসে আছেন , এটা ভিতরে বিশ্বাস থাকা দরকার , নিশ্চয় থাকা দরকার | ভাবলে কথাটা বড় হয়ে যায় | এইজন্য চিন্তা করার দরকার নেই | আমরা 50বছরের সার্ভিসে অনুভব করেছি , অনেক জায়গায় ভূমিকম্প হয়েছে , অনেক জায়গায় আপদ বিপদ হয়েছে , কিন্তু আমাদের কাছে বাবার বাচ্চারা সেফ থাকে | কিছুও হয়েছে , তারপরও অনেক বাচ্চাদের কিছুই হয়নি | কারণ এদের সামলানোর জন্য বাবা কোনো না কোনো বুদ্ধি বার করেন আর সেটা সারা জীবন কাজে আসে | এটা অনেককালের ভগবানের সাথের অনুভব | এইজন্য কখনোও কিছুও হোক্ কখনো এরকম বলো না - আমি কি করব ? বাবাকে স্মরণ করতে থাকো , তো কিছু না কিছু যুক্তি বাবা সময়ে বার করে দেন | তো বাবার স্মরণে ভালোভাবে জীবনকে সফল করো |

প্রশ্ন -- বাবা আমাদের বলেন আমাদের নিশ্চয় হওয়া দরকার , বাবার মধ্যে , ড্রামাতে , আর নিজের মধ্যে | এবার আমাদের ড্রামাতে আর বাবার মধ্যে তো পুরো বিশ্বাস , কিন্তু নিজের মধ্যে অল্প কম তো সেই বিশ্বাসকে কিভাবে বাড়াবো ? বেশী করে যখন আমাদের সামনে এতো কথা আসে ?

উত্তর -- বিশ্বাস বাড়ে তখনই যারা কোনো কথার বিস্তারে যায় না | কি করবো বা কেমন করে করবো -- ভাবা মানেই কথার বিস্তারে চলে গেলে | ড্রামা অনুযায়ী পরীক্ষা এসেছে , বাবা বসে আছেন , আশ্চর্য্যবত ঠিক হয়ে যায় | তারপর অটোমেটিক ভালো কথা যা আছে , সেইসব আমাদের সাথে হবে , এই বিশ্বাস আছে | বাবা করিয়েছেন , আমি করেছি | আমি কেমন করে করব , মানে বাবাতে নিশ্চয় নেই | ড্রামার জ্ঞান এতো গভীর , বাবা সারাদিন স্মরণ করাতে থাকেন | এ আমার বাচ্চা কল্প পূর্বের , আমার তো অনেক নেশা আছে | বাবা বলেন তুমি আমার , কল্প পূর্বের | বাবা বললেন আমার বাচ্চা তো আমার অনুভূতি হলো | বাবা বললেন স্বদর্শন চক্র ঘোরাও , স্বদর্শন চক্র না ঘোরালে নিজের মধ্যে বিশ্বাস হয় না | আর আমার নিজের ওপরে বিশ্বাস আছে , ড্রামার জ্ঞান ভালো চলছে , বাবা আমার টীচর , বাবা , সদগুরু | আমার বাবা ধর্মরাজও , এইসব স্মরণ থাকলে মন বাণী কর্মে এটেন্শন থাকে | তিনি শ্রেষ্ঠ তো সঙ্কল্প সময়ও সফল | এক মুহূৰ্তও নিস্ফল যাবে না |

প্রশ্ন -- অনেকে আছে যারা যোগে , কর্মে বা দিনচর্যায় যখন ডিসীপ্লীন (শৃঙ্খলা) হয় না , তখন মনে হয় নিজেকে ধোঁকা দিচ্ছি , তো শৃঙ্খলার সাথে আমরা কেমন করে বন্ধুত্ব করতে পারবো বা তাকে আমরা নিজের বন্ধু কেমন করে বানাবো ?

উত্তর -- সবচেয়ে আগে ডিসিপ্লীনের গুরুত্ব বুঝতে হবে , যেমন ক্লাসে সময়ে আসা , অমৃতবেলা করা , নুমাশাম যোগ করা ইত্যাদি | অলবেলা , আলস্য আর বাহানা এই তিনটে জিনিষের দরকার নেই | কেউ কিছুও বলুক , বাবার পালনা , পড়াশোনায় মান রাখতে হবে | যা বাবার থেকে পাওয়া হয়েছে তার মান হোক্ | অটোমেটিক যে এইসবের মান বা কদর করে , বাবা তাকে ডিসিপ্লীনে চালান | একটুও অলবেলা ভুল করায় , করাচীতে একবার মাম্মার এক মিনিট দেরী হয়েছিল , বাবা ক্লাস চালাচ্ছিলেন তো মাম্মা সেখানেই সীড়িতে বসে গেছিলেন তো আমরা বলেছিলাম মাম্মা ওপরে ক্লাসে চলো না , তো মাম্মা বলেছিলেন আমি উপযুক্ত নই | বাবা ক্লাসে পৌছে গেছেন , এখন আমি কেমন করে যাবো ? তো এটা হলো ডিসিপ্লীন ! আলস্য অলবেলা বাহানা এই তিনটে জিনিষ সবাইকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য হয় | আমি কখনো বাহানা দিতে পারি না | যার কাছে সময়ের দাম আছে , জানো কি না , এতেও নম্বর পাওয়া যায় | তো কোনোও কাজ সময়ে করা এটাই হলো ডিসিপ্লীন !

বাবার সমান সম্পূর্ণ বা বরদানী মূর্ত হওয়ার জন্য বরদান

🙏ওম শান্তি 🙏

*" বাবার সমান সম্পূর্ণ বা বরদানী মূর্ত হওয়ার জন্য বরদান"*

*সর্বদা এই নেশা যেন থাকে যে, বাবার বিশাল কার্যে সহযোগী আত্মা হয়েছি কি ? যখন কোনো ভি.আই.পির সঙ্গে সহযোগী থাকে, তখন তার কতো নেশা থাকে, তাহলে তোমরা কার সহযোগী ? বাবার । যখনই কোনো সেবা করো তো বাবার সঙ্গে করো, তাই না ? বাবার অফার হলো -- আমি তোমার সঙ্গে আছি । তাই যখন কোনো সাথী পাওয়া যায়, তখন তো খুশী হয়, তাই না । তাই যখনই সেবা শুরু করো তো, প্রথমে চেক করো যে, বাবার সাথে সেবা করছি নাকি করছি না ? তাই সর্বদা বাবার সহযোগী হয়ে এগিয়ে চলো ।*

🍇🍇🍇🍇🍇🍇🍇

সর্বদা সহজ যোগী, সহজ পুরুষার্থী কিভাবে হবে?

সর্বদা সহজ যোগী, সহজ পুরুষার্থী কিভাবে হবে ❓

☀☀ আমাদের যোগ যত সহজ হবে, পুরুষার্থ ততই সহজ হয়ে যাবে কেননা সহজ যোগীই সহজ পুরুষার্থী হতে পারে l সর্বপ্রথম আমাদের বুদ্ধি পরিচ্ছন্ন হওয়ার প্রয়োজন তাহলেই যোগ সহজ হতে পারে l সহজ যোগী কখনোই পুরুষার্থে দূর্বল হয় না, সহজ পুরুষার্থীর অর্থ, তারা বর্তমান আর ভবিষ্যতের প্রারব্ধের স্পষ্ট অনুভব করবে, তাদের প্রারব্ধ এমন স্পষ্ট নজরে আসবে যেমন স্থূল চোখে স্থূল বস্তু দৃশ্যমান হয় l এই প্রারব্ধ অবশ্য স্থূল নেত্রে নয়, বুদ্ধির নেত্রে দর্শন করা যাবে l সহজ পুরুষার্থী প্রতি পদে অতুল সৌভাগ্য জমা করতে পারে যা অবিনাশী সম্পদ l তারা জানে যে এই অবিনাশী সম্পদ কখনোই শেষ হওয়ার নয় আর তা অর্জনের জন্য সর্বপ্রথম নিজেকে সমস্ত শক্তি, শান্তি, সুখ, আনন্দ আর প্রেমে ভরপুর করতে হবে তখনই আমরা সহজ যোগী আর সহজ পুরুষার্থী হতে পারবো l যোগও তখনই সহজ হবে যখন আমাদের বুদ্ধির স্বচ্ছতা আসবে আর এই বুদ্ধিকে স্বচ্ছ রাখার জন্য বুদ্ধিরূপী জমিতে শুভ আর শ্রেষ্ঠ সংকল্পের বীজ বপন করতে হবে l যত আমাদের সংকল্প শ্রেষ্ঠ হতে থাকবে ততই যোগ সহজ হতে থাকবে, ব্যর্থ শেষ হতে থাকবে আর আমরাও শ্রেষ্ঠ পুরুষার্থী হতে পারবো l

🙏 ওম শান্তি 🙏

🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵

তোমাদের সাহস আর শিব বাবার সাহায্য

ওম শান্তি 🙏

*অব্যক্ত বাণী*

*অব্যক্ত বাণীতে বাপদাদা বলছেন ------*

💥 *তোমাদের সাহস আর বাবার সাহায্য । সাহস কম করো না, তখন দেখো বাবার সাহায্য পাও কি না ? সকলেরই অনুভব আছে যে, সাহস রাখলে সময় মতো বাবার সাহায্যও পাওয়া যায়, আর তা পেতেই হবে, এ একদম গ্যারেন্টি । তোমাদের সাহস আর বাবার সাহায্য । তাহলে সঙ্কল্প কি হলো ? চেহারা দেখা যাচ্ছে - সাহস আছে নাকি নেই । তোমরা তো সাহসী, তাই না, কেননা সাহস যদি না থাকতো তাহলে বাবার হতে পারতে না । বাবার হয়ে গেছো, তাই সিদ্ধ হয় যে সাহস আছে ।*

*(০৬ - ০৩ - ৯৭,পেজ - ৩৯)*

*পদ্ম গুণ ধন্যবাদ বাবা 💥🙏*

অশরীরী হতে না পারলে মায়ার চোট লাগতেই থাকবে

বাবা বলেন, যতক্ষণ অশরীরী হতে না পারছো, ততক্ষণ মায়ার কিছু না কিছু চোট লাগতেই থাকবে । বাবার কথা না শুনলে বাবাকে অসম্মান করা হয় । তবুও বাবা বলেন - বাচ্চারা, সর্বদা জাগ্রত থাকো, আর বাবাকে স্মরণ করে উঁচু পদ পাও । কেউ যদি উল্টোপাল্টা কথা বলে, তাহলে শুনেও না শোনার ভান করো । কোনো খারাপ কথা শুনো না, দুঃখ - সুখ - মান - অপমান সবই সহ্য করতে হবে এই লৌকিক জগতের রাজকীয় ইচ্ছা থেকে মুক্ত থেকে সেবাকারী নিঃস্বার্থ সেবাধারী ভব -------*🌹❣

🙏ওম শান্তি 🙏

💥💥💥💥💥💥💥💥💥💥💥

ভিন্ন ভিন্ন পজিশনে শিববাবাকে স্মরণ

অমৃত মন্থন* 
🔹🔸🔹🔹🔸🔹🔸🔹🔸
*ভিন্ন ভিন্ন পজিশনে স্মরণ*

বিকর্ম বিনাশ করতে পরমধামের 🔅 শিববাবার স্মরণে আমরা দুজনেই চৈতন্য 🔅 
বিন্দু রূপ আত্মাদের ভিন্ন ভিন্ন পজিশনে বুদ্ধি দ্বারা দেখে স্মরণ করতে পারো ।

১) যেমন শিববাবা ওপরে আছেন আর আমি আত্মা ওঁনার ঠিক
নীচে 
🔅
II
🔅
২) শিববাবা আমার সামনে আছেন । 
🔅....... 🔅
আর সামনে থেকে আমি আত্মার ওপর পবিত্রতার শক্তিশালী কিরণ প্রসারিত করছেন, এই পজিশনেও বাবাকে স্মরণ করতে পারো ।

৩) শিববাবা আমাকে নিজের কিরণ রূপী বাহুতে আঁকড়ে ধরেছেন, এইভাবেও শিববাবাকে স্মরণ করতে পারো ।

পরমধামে শিববাবার বিন্দু রূপ স্থিতির স্মরণে নিজেকে আর শিববাবার প্রভামণ্ডলকে দিব্য আর বিশাল অনুভব করতে হবে । এর ফলে পরমধামে বাবার স্মরণে সহজেই অনুভব হবে ।

কিন্তু শুধু মাত্র বিন্দু রূপে দুজনকে দেখলে চলবে না সাথে সাথে ওঁনার সাথ এই অনুভবও দরকার যে পরমধামে এই যে চমকিত বিন্দু আছে এটা স্বয়ং আমি আত্মা আর আমার সামনে বিন্দু রূপে আকাশের কোনও জড় তারকা নেই কিন্তু স্বয়ং চৈতন্য শিব পরমাত্মা পিতা আছেন ।

স্বয়ংকে ৫-৬ ফুটের শরীর ভুলে নিজেকে সূক্ষ্ম আত্মা বুঝতে হবে আর এতে কঠিন অভ্যাসের দরকার আছে । তখনই যোগে আমাদের বাবার থেকে শক্তিশালী কারেন্টের অনুভব হয় ।

যেখানে সংগঠনের শক্তি, সেখানেই বিজয়

ওম শান্তি 🙏

*অব্যক্ত বাণী*

*অব্যক্ত বাণীতে বাপদাদা বলছেন -----*

💥 *একটি বিষয় বুঝে নাও, যেখানে সংগঠনের শক্তি, সেখানেই বিজয় । বাকি বিঘ্ন তো আসেই । না হলে বিঘ্ন বিনাশক নাম কেন রাখা হয়েছে ? বিঘ্ন বিনাশকের অর্থ কি ? বিঘ্ন আসবে আর বিনাশ করো । এ তো হতেই হবে । বিঘ্নের কাজ হলো আসা, আর তোমাদের কাজ হলো বিনাশক হওয়া । এর পরোয়া করো না । এ হলো খেলা । খেলাকে খেলা হিসাবে নেওয়া আর খেলা দেখাতে তো মজা আছে, তাই না ।*

*(২৩ - ০২ - ৯৭,পেজ - ৩৪)*

*পদ্ম গুণ ধন্যবাদ বাবা 💥🙏*

আমরা আত্মিক দৃষ্টিতে সকল আত্মাকে স্পর্শ করবো

*আত্মকৃতি স্নেহ - মোতি*☀☀

১৩ - ১২ -১৯

*আমাদের চোখেই আমাদের চরিত্রের ঝলক দেখা যায়, মন যখন শান্ত থাকে তখন আমাদের চোখে ঈশ্বরীয় ঝলক অর্থাৎ আত্মিক অনুভূতির রূপে প্রেম এবং শান্তি দেখা দেয়, আমরা আত্মিক দৃষ্টিতে সকল আত্মাকে স্পর্শ করবো, এতেই আমাদের আত্মিক সম্বন্ধ দৃঢ় হবে ।*

🌹🌹ব্রহ্মাকুমারীজ 🌹🌹

❤💙❤💙❤💙❤💙❤💙

কপালে তিলক লাগানোর অর্থ- আমি আত্মা

অাজকের মিষ্টি মোতি*💧

১৪ ই ডিসেম্বর :--- *সমস্ত শুভ কার্য করার পুর্বে কপালে তিলক লাগানোর নিয়ম আছে, এই নিয়মের বাস্তবিক অর্থ - নিজেকে নিজের বাস্তবিক স্বরূপে স্থির করা যে ---"আমি আত্মা ।"*

🙏🙏ওম শান্তি 🙏🙏

🌹🌹ব্রহ্মাকুমারীজ 🌹🌹

💧💧💧💧💧💧💧💧💧

জীবনকে সরল বানিয়ে মুক্ত থাকার পুরুষার্থ করবো

☀☀ *আত্মকৃতি স্নেহ - মোতি*☀☀

১৪ - ১২ - ১৯

*আমাদের পরিস্থিতির সামনা করে বেঁচে থাকতে হবে, আমরা জীবন থেকে মুক্তির ধারণা রাখবো না, বরং উন্মুক্ত জীবনযাপনের জন্য -- জীবনকে সরল বানিয়ে মুক্ত থাকার পুরুষার্থ করবো, পরিস্থিতিকে ভার মনে করবো না, পরিস্থিতির সামনা করে তার থেকে মুক্ত হবো ।*

🌹🌹ব্রহ্মাকুমারীজ 🌹🌹

❤💙❤💙❤💙❤💙❤

প্রকৃতির নিয়ম সুখ -দুঃখ ভাগ করা

*প্রকৃতির প্রথম নিয়ম -----যদি মাটিতে বীজ বপন না করা হয় তাহলে প্রকৃতি সেই মাটি ঘাস দিয়ে ভরিয়ে দেয় ।*

☀ *ঠিক সেইভাবেই আমাদের মস্তিস্ককে যদি আমরা সাকারাত্মক চিন্তায় ভরপুর না করি, তাহলে নাকারাত্মক চিন্তা সেখানে নিজের জায়গা তৈরী করে নেয় ।*

২) *প্রকৃতির দ্বিতীয় নিয়ম ----যার কাছে যা থাকে, তাই সে ভাগ করে দেয় -----*

☀ *সুখী সুখ ভাগ করে দেয় ----*
☀ *দুঃখী তার দুঃখ ----*
☀ *জ্ঞানী জ্ঞানের ভাগ দেয় ----তো, ভ্রমিত তার ভ্রম -----*
☀ *আর ভয়ভীত দেয় ভয়ের ভাগ ---*

৩) *প্রকৃতির তৃতীয় নিয়ম -----*আপনার জীবনে যা কিছুই আপনি প্রাপ্ত করবেন, তা স্বীকার করতে শিখুন ----*

☀ *কেননা ভোজন যদি হজম না হয়, তা রোগ বৃদ্ধির কারণ হয় ----*

☀ *অর্থ বৃদ্ধি হলে ---দেখানো বাড়ে ---*
☀ *কথা যদি হজম না করা যায় ---তা অন্যের কাছে প্রকাশ করে ফেলে ----*
☀ *প্রশংসা হজম করতে না পারলে ----অহংকার বৃদ্ধি পায় ---*
☀ *নিন্দা হজম না হলে ----শত্রুতা বৃদ্ধি পায় ----*
☀ *রহস্য হজম না হলে ----বিপদ বৃদ্ধি পায় ---*
☀ *দুঃখ সহ্য করতে না পারলে ----হতাশা বৃদ্ধি পায় ---*
☀ *সুখ হজম করতে না পারলে ---পাপ বৃদ্ধি পায় ----*

নিমিত্ত হওয়ার ভাগ্য অসাধারণ মনে হয়

ওম শান্তি*🙏

*অব্যক্ত বাণী*

*অব্যক্ত বাণীতে বাপদাদা বলেছেন ---*

💥💥 *নিমিত্ত হওয়ার ভাগ্য এবং এর গুরুত্ব এখন কখনো কখনো সাধারণ মনে হয়, কিন্তু সময় মতো এই ভাগ্য শ্রেষ্ঠ অনুভব করবে l কে নিমিত্ত বানালো, কে আমি আত্মাকে যোগ্য মনে করে পছন্দ করলো - এই স্মৃতিই স্বত: শ্রেষ্ঠ করে তোলে l "কে আমাদের বানাচ্ছেন" এই স্মৃতিতে যদি থাকো তাহলে নিরন্তর যোগী হয়ে যাবে l মনে সদা বাবার গুনগান করতে থাকো তাহলেও নিরন্তর যোগী হয়ে যাবে l*

💥💥 *এ কোনো কম কথা নয় l সমগ্র বিশ্বের কোটি কোটি আত্মার মধ্যে কতো অল্প তোমরা নিমিত্ত টিচার্স হয়েছো l ব্রাহ্মণ পরিবারেও কতো টিচার্স l তাহলে কয়েকজনের মধ্যেও মাত্র কয়েকজন হলে, তাই না l*

১৪ - ০১ - ৯০, পৃষ্ঠা - ৩১

*পদ্মগুণ ধন্যবাদ বাবা 🙏🌹*

আমাদের সমস্ত পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েই জীবনে চলতে হবে, মুক্ত জীবন যাপনের জন্য জীবন থেকে পালিয়ে গেলে চলবে না, অর্থাৎ জীবন থেকে মুক্তি নয়, মুক্ত জীবন..... দুশ্চিন্তা, সমস্যা এবং বন্ধনকে নিজের দায়িত্ব মেনে নিয়ে জীবনকে সহজ সরল করে আমরা মুক্ত থাকার পুরুষার্থ করবো

আমাদের সমস্ত পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েই জীবনে চলতে হবে, মুক্ত জীবন যাপনের জন্য জীবন থেকে পালিয়ে গেলে চলবে না, অর্থাৎ জীবন থেকে মুক্তি নয়, মুক্ত জীবন..... দুশ্চিন্তা, সমস্যা এবং বন্ধনকে নিজের দায়িত্ব মেনে নিয়ে জীবনকে সহজ সরল করে আমরা মুক্ত থাকার পুরুষার্থ করবো।

বিশ্ব-কল্যাণকারী হলো মাস্টার রচিয়তা হয়ে বিশ্বের দেখা-শোনা করাকেই বুঝায়

ওম্ শান্তি ***

বিশ্ব্ব-কল্যাণকারী স্টেজ :-
---------------------------------

১. বিশ্বের সর্ব আত্মারা হল তোমার পরিবার। কেননা বেহদের বাবার বাচ্চা তুমি। তাহলে তুমিও বেহদের পরিবারের হলে | এই জন্য দয়ালু হয়ে সর্ব আত্মার কল্যাণকারী হওয়াটাই হলো বিশ্ব-কল্যাণকারী স্টেজ | স্মৃতিতে যেন থাকে - আমি হলাম বিশ্বের মালিকের সন্তান। মাস্টার রচিয়তা হয়ে বিশ্বের দেখা-শোনা করা বা বিশ্বের প্রতিক্রিয়া করা, এইটাই হলো বিশ্ব-কল্যাণকারী স্টেজ | যেমন আগেকার যোগ্য রাজারা সর্বদা নিজের রাজ্যের পরিক্রমায় নির্গত হতেন, | প্রজাদের সর্বদা সুখী আর সন্তুষ্ট রাখতেন | এমনি মাস্টার রচিয়তা হয়ে বিশ্বের দেখা-শোনা করতে হবে |

২. বিশ্ব-কল্যাণকারী বাচ্চারা স্বপ্নেও খালি (free) থাকতে পারেন না | তাদের স্বপ্নেও সেবাটাই দেখা যাবে | যারা দিন রাত সেবা তে ব্যস্ত থাকেন, তাদের স্বপ্নেও অনেক নতুন-নতুন কথা, সেবার প্লান বা উপায় দেখা যায় | বিশ্ব-কল্যাণকারীর মানেই হলো বিশ্বের আধারমূর্তি, তারা কখনো অলস (lazy) হতে পারে না |

৩. যেমন বাবার কাছে নিজেকে সমর্পণ কর, তেমনি নিজের সময় আর সর্ব প্রাপ্তি গুলো, জ্ঞান, গুন আর শক্তিগুলো বিশ্বের সেবার্থে সমর্পণ কর | যা সংকল্প ওঠে সেটাকে চেক কর যে, বিশ্ব সেবার প্রতি এইটা হচ্ছে তো ? যখন সেবার প্রতি নিজেকে সম্পূর্ণ সমর্পণ করবে তখন বিশ্ব-কল্যাণকারী স্টেজে টিকে থাকতে পারবে |

৪. বিশ্ব-কল্যাণকারী হলেন তারা, যাদের প্রতিটি কথা রুহানি সাজের মতন উত্সাহ আর উদ্দীপনায় নিয়ে আসে |
দুঃখী আত্মারা আনন্দে নাচতে থাকবে । যাদের প্রতিটি কর্ম চরিত্রের সমান গাইবার মতন হবে | প্রতিটি সেকেন্ডের সম্পর্ক আত্মাদের সর্ব কামনার প্রাপ্তির অনুভব করায় | কোনো আত্মাকে শক্তির, কাউকে শান্তির, কঠিনকে সহজ করার, অধীন থেকে অধিকারী হওয়ার, দুঃখী থেকে প্রফুল্ল হওয়ার, ছত্রছায়ার অনুভব করায় |

৫. এত বড় বিশ্বের কল্যাণ করবার জন্য একই সময় প্রতিটি সেকেন্ড মন, বাণী,আর কর্ম তিনিটি দ্বারাই সাথে-সাথে সার্ভিস করতে হবে | যখন তিনটি রূপেই সেবা হবে, তখন এই সেবার কার্য শেষ হতে পারবে | একই সময় তিনটি রূপেই সেবা যারা করেন, তারাই হলেন বিশ্ব-কল্যাণকারী |

৬. বিশ্ব-কল্যাণকারী স্টেজে টিকে থাকলে সর্বদা অথক আর নিরন্তর সেবাধারী হবে | সর্বদা ever ready, allrounder হবে | কোনো রমমেরই অবগুণ আত্মার প্রতি, কঠিন সংস্কারের আত্মার প্রতি, কম বুদ্ধির আত্মাদের প্রতি, গ্লানি করে এমনকি আত্মাদের প্রতিও কল্যাণকারী অর্থাত lawful আর lovefull হবে | তাদের সামনে কোনো রমমের অবগুনধারী আত্মাই হোক না কেন অথবা অজ্ঞানী আত্মা, তাদের মন্দ বা দুর্বলতা গুলোকে কল্যাণকারী হওয়ার কারণে ক্ষমা করবে, মনে স্থান দেবো না |

৭. যেমন বাবার সংকল্প বা বাণীতে, নয়নে সর্বদাই কল্যাণের ভাবনা বা শুভ-কামনা ভরা থাকে | তা সে যেমন প্রকারের কাজই করুক না কেন, হদের প্রবিত্তিকে বা কোনো সেবাকেন্দ্র চালাবার জন্য নিমিত্ত হলেও কিন্তু ভেতরে সর্বদা বিশ্ব-কল্যানের ভাবনা যেন ভরে থাকে | সর্বদা সামনে বিশ্বের সর্ব আত্মারা emerge যেন হয়। যত দুরেই থাকুক, আত্মাদের নিজের শ্রেষ্ঠ ভাবনা বা শ্রেষ্ঠ কামনার আধার দিয়ে সেকন্ডে শান্তি বা শক্তির কিরন দেবতা, মাস্টার জ্ঞান সূর্য হয়ে বিশ্বকে কল্যানের আলো দেবাটাই হলো বিশ্ব-কল্যাণকারী স্টেজ |

৮. বিশ্ব-কল্যাণকারী সেবাধারী বাচ্চাদের সংকল্প কখনো ব্যর্থ থাকতে পারে না, কেননা তারা বিশ্বের স্টেজে act করতে থাকে। তাদের সমগ্র বিশ্ব copy করে | যদি একটাও সংকল্প ব্যর্থ হয়, তবে নিজের প্রতি করলে না কিন্তু অনেকদের প্রতি নিমিত্ত হয়ে গেলে | যেমন তোমরা সেবার লিফ্ট এর গিফট পেয়ছ, অনেকের সেবার share পেয়ে যাও, ঠিক তেমনি যদি কোনো এমন কাজ কর তাহলে অনেকের ব্যর্থ শেখানোরও নিমিত্ত হয়ে গেলে। |এই জন্য এখন ব্যর্থর খাতা সমাপ্ত করো |

ওম শান্তি

সুখ হল কাক বিষ্ঠা সমান

♂❣🧚‍♂❣🧚‍♂❣🧚‍♂❣🧚‍♂❣

সন্নাসীরা বলেন, সুখ হল কাক বিষ্ঠা সমান। 
আদপে তারা কী জানেন সুখ কী ? না, তাদের জানার কথাও নয়। কারণ তারা তো সুখ কী তা দেখেনইনি। 
পাঁচ হাজার বছরের একটি কল্পের সূচনায় প্রথমে আসে সত্যযুগ। তারপর ত্রেতা, দ্বাপর এবং কলিযুগ। সত্যযুগকে বলা হয় স্বর্গ আর কলিযুগ হল নরক। সত্যযুগ স্বর্গ আর ত্রেতা হল সেমি-স্বর্গ। কলিযুগের অন্তিম এই সৃষ্টির রচয়িতা, সমস্ত মনুষ্য এবং প্রাণী কুলের পিতা শিব পরমাত্মা এই ভারতভূমিতে অবতীর্ণ হন এবং একজন বৃদ্ধ তনের আধার নিয়ে গীতা জ্ঞান প্রদান করে সেই সত্যযুগ বা স্বর্গ রাজ্যের উপযুক্ত করে গড়ে তোলার জন্য পুরুষার্থের দ্বারা সম্পূর্ণ পবিত্র হওয়ার শিক্ষা প্রদান করেন। 
এরপর পৃথিবীতে যখন সত্যযুগ (পরমাত্মার জ্ঞানকে ধারণ করে যারা কলি আর সত্যযুগের মধ্যবর্তী সময়, যাকে পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ বলা হয়, সেই সময় পুরুষার্থ করেছিলেন), আসে, তখন তারা অখন্ড সুখ ভোগ করে। যেখানে দুঃখ কী বস্তু তা তারা জানেনই না। 
সত্য, ত্রেতা অতিবাহিত হওয়ার পর দ্বাপর যুগে একে একে বিভিন্ন ধর্মের স্থাপন হয় এবং এই দ্বাপরেই আদি শংকরাচার্য সন্ন্যাস ধর্মের স্থাপনা করেন। সুতরাং সত্য - ত্রেতায় যে অখন্ড সুখ, তার বিষয়ে তো সন্ন্যাসীদের বিন্দু বিসর্গও ধারণা নেই। তাই তারা অনায়াসেই বলে দেয় - সুখ হল কাক বিষ্ঠা সমান।

আচ্ছা বলুন তো, অশ্বত্থ বা বটগাছের বীজ পাওয়া যায় কি ? এর জবাব হলো, না । বট বা অশ্বত্থ গাছের কলম যতই রোপণ করুন না কেন, তা লাগবে না, কেননা প্রকৃতি এই দুই উপযোগী বৃক্ষের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রেখেছে । এই দুই বৃক্ষের ফল কাক খায় আর তার পেটেই বীজের অঙ্কুরোদগম হয় । কাকের মলত্যাগের মাধ্যমে সেই বীজ ধরিত্রীর মাটিতে পড়ে, আর তার থেকেই এই দুই বৃক্ষের জন্ম হয় । অশ্বত্থ এমনই এক বৃক্ষ, যা round the clock অক্সিজেনের যোগান দেয়, আর বট হলো এক ঔষধি গুণ সম্পন্ন বৃক্ষ ।
বীজের মধ্যেই বৃক্ষ সমাহিত থাকে। আজ যেটা বীজ, আগামীতেই তা মহীরূহ।
আর কাক বিষ্ঠা ! সেও যে তুচ্ছ করার মতো জিনিস নয়, তা তো এই উদাহরণের দ্বারা সহজেই বোঝা যায়।

সৃষ্টি রূপী কল্প বৃক্ষের চারা এখন রোপন হচ্ছে। শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে যে শতাব্দী প্রাচীন বটগাছটি রয়েছে, যার প্রধান মূলটিই প্রায় লুপ্ত বা গুপ্ত। ঠিক তেমনই সৃষ্টিতে যে সত্যযুগ ছিল, দেবী-দেবতাদের রাজত্ব ছিল, যাকে বলা হয় আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্ম, তাও শিবপুরের বট গাছটির প্রধান মূলের মতো তাও এখন লুপ্ত। তারই চারা এখন রোপন হচ্ছে। ধীরে ধীরে তা একটি বিশাল বৃক্ষে পরিণত হবে। আজ যেটা বীজ, তা সার রূপে রয়েছে, ভবিষ্যতে তা বিশাল বৃক্ষে পরিণত হবে। সত্যযুগে তারা অখন্ড সুখ ভোগ করবে বা বলা চলে সত্য - ত্রেতা পর্যন্ত অর্ধ কল্প সুখই সুখ ভোগ করবে। তাহলে কী বলা চলে যে, সুখ হল কাক বিষ্ঠা সমান ????