তরঙ্গের প্রভাব

দৈনিক প্রেরণা 🌅

তরঙ্গের প্রভাব 

💥💥 আজ আমরা এই প্রয়োগ করার প্রচেষ্টা করি l কার্যালয়ে এক অতি সাধারণ ভাবে প্রবেশ করি l যখনই আমরা অন্যের সঙ্গে মিলিত হবো, যে মানুষটি সাধারণ, তাকে দেখে হাসার প্রয়াস করি l তারপর সেই ব্যক্তিকে মুখেও সেই হাসি ছড়িয়ে যাবে l তাকে আমরা দেখতে থাকি ----- কেবল সেই জায়গায় নয়, অনেক সময় পর্যন্ত শীঘ্রই এর প্রতিফল হবে l

এ হলো "তরঙ্গের প্রতিবিম্বিত প্রভাবের" সম্পূর্ণ এবং তাৎক্ষণিক প্রমাণ l *যা কিছুই আমরা নিজেদের থেকে বের করি, তাই আমরা প্রাপ্ত করি l* আমরা এই সমস্ত কিছুই জানি, তবুও আমরা ভুলে যাই, আর মনে করি, কেন কোনো মানুষ সাধারণ বা কেউ ক্রোধী প্রতিপন্ন হয় l

এখন আমরাই যদি আমাদের মুখে সবসময় এই হাসি ধরে রাখতে শিখে যাই l আমাদের চেহারা যদি হাসিখুশী থাকে সবসময় l

এক সুন্দর, নির্মল হাসি কোথা থেকে শুরু হয় ? *হৃদয় থেকে l*

আমরা কি ইচ্ছানুসারে হৃদয় থেকে সবসময় হাসতে পারি ? কেন পারি না ?

আমাদের শীঘ্রই তা খুঁজে বের করার প্রয়োজন কেননা, আমরা হাসি ছাড়া এক নীরস জীবন কাটাবো যদি না আমরা জানতে পারি -- *আমাদের হৃদয়ের ছোঁয়া আমাদের মুখ পর্যন্ত পৌঁছাতে কি কি প্রতিবন্ধকতা আসছে l*

অন্য কেউই দায়ী নয়, কেবলমাত্র আমরা নিজেরাই দায়ী l এই কারণে আমরা অন্যকে দোষ দেবো না , যদি না আমরা নিজের মস্তিষ্ক আর হৃদয় থেকে তা প্রসারিত করতে পারি l

কে এর দ্বার অবরুদ্ধ করলো ? পর্যাপ্ত সময় নিয়ে দেখি l অবলোকন করতে থাকি l শুনতে থাকি বা দেখতে থাকি l আমরা আশ্চর্যান্বিত হয়ে যাবো l হয়তো বা হাসবো আর বলবো -- এ কি ধরনের মূর্খতা l

আমাদের প্রতিটা দিন সুন্দর হোক l 😊

ঈশ্বরের আশীর্বাদ আমাদের সকলের সঙ্গে থাকুক l 🙏

🌺🌺ওম শান্তি 🌺🌺

প্রতি মুহূর্তে দর্পণ দেখতে থাকো কি

প্রতি মুহূর্তে দর্পণ দেখতে থাকো কি* 

💥💥 কেউ কেউ এমনও হয় যাদের বার বার দর্পণ দেখার প্রয়োজন হয় না l তো তোমরা কি প্রতি মুহূর্তে দেখতে থাকো বা দেখার প্রয়োজনই পড়ে না ? যতক্ষণ না নিজের চেকিংয়ের স্বাভাবিক অভ্যাস না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত বার বার চেকিং করতে হয় l *ধীরে ধীরে এমন হয়ে যাবে যে বার বার দেখার আর প্রয়োজন পড়বে না l সর্বদাই সজ্জিত হয়ে থাকবে l যতক্ষণ সর্বদা সজ্জিত থাকার অভ্যাস না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত বার বার নিজেকে দেখা আর সেই অনুযায়ী তৈরী হতে হয় l* যখন দু চার বার দেখে নিলে যে মায়া কোনো প্রকারেই বা কোনো রীতিতেই আমার শৃঙ্গারকে খারাপ করতে পারবে না, তখন বার বার দেখার আবশ্যক হবে না l *তখন তো তোমার নিজের সাক্ষাৎকার অন্যের দ্বারাই হতে থাকবে l অন্যেই তোমার বর্ণনা করবে, গুণগান করবে l*

আচ্ছা !!!

সাত দিনের কোর্সের প্রথম দিন- আমি কে? আত্মা কি?

সাত দিনের কোর্স - প্রথম দিন *******                                                         সারাদিনের কথাবার্তার মধ্যে মানুষ না জানি কতবার 'আমি' শব্দের প্রয়োগ করে। কিন্তু এটা খুবই আশ্চর্যের কথা যে 'আমি' ও 'আমার' এই শব্দটি যে বস্তুটির সূচক, সেটা কি? আজ মানুষ  বিজ্ঞানের  দ্বারা  অনে বড় বড় শক্তিশালী  বস্তু  নির্মাণ  করেছে, সংসারের অনেক  রহস্যের  উত্তর  খুঁজে  পেয়েছে এবং  নানা প্রকারের জটিল সমস্যা  সমাধানের  জন্য  সদা সচেষ্ট  রয়েছে । কিন্তু  'আমি' নামক কর্তাটির বিষয়ে  সত্য  কি জানে না  অর্থাৎ  নিজেকে সে চেনে না । আজ যদি কোনো  ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা  করা যায়  --'আপনি কে' ? বা আপনার  পরিচয়  কি ?' তাহলে  সে এক মুহূর্তেই  নিজের শরীরের  যে নাম রাখা  হয়েছে তার অথবা  তার লৌকিক  কাজকর্ম  বা পদবীর কথা বলে দেবে।
তাহলে  আমি  কে ? --
প্রকৃতপক্ষে 'আমি' হল এই শরীর থেকে  ভিন্ন  একটি চেতন সত্তা 'আত্মা' সূচক। মানুষ( জীবাত্মা) এবং শরীর মিলিয়েই তৈরী  হয় । যেমন  শরীর  পাঁচটি  তত্ত্ব  (জল, বায়ু,  অগ্নি, আকাশ এবং  পৃথিবী) দ্বারা  তৈরী ।
তেমনই 'আত্মা'ও = 1.মন + 2.বুদ্ধি + 3.সংস্কার-- এর সমন্বয়ে গঠিত । 
আত্মার মধ্যেই নির্ণয়  ও বিচার করার শক্তি থাকে ।
তাহলে ♥মন কি? --   মন হল চেতন, যে সব সময় চিন্তন করে চলে।
            ♥  বুদ্ধি --       বুদ্ধি বা knowledge আমাদের সঠিক পথে চালিত করে।
            ♥ সংস্কার --   কোনো কাজ বারংবার করার ফলে তা সংস্কারে পরিণত হয় । অর্থাৎ সংস্কার হল Repeated action।

মনে করুন আপনাকে আপনার বন্ধুরা জোর করলো ধূমপান করতে। আপনার মন তাতে সায় দিল না। আপনার বুদ্ধি আপনাকে সতর্ক করে দিয়ে বললো ধূমপান করা ভালো নয়।-- আপনি মন ও বুদ্ধির কথা শুনলেন। ●দ্বিতীয় দিনও আপনার বন্ধুরা আপনাকে জোর করলো। আপনি ভাবলেন খেয়েই নিই না, একদিন খেলে কি হবে ? আপনার বুদ্ধি তখনও  আপনাকে সতর্ক করলো, কিন্তু  আপনি শুনলেন না।● পরের বারও একই জিনিস হল, বুদ্ধির কথা তখনও  আপনি শুনলেন না ।
● পরের বার কিন্তু আপনাকে আপনার বুদ্ধি আর নাড়া দেবে না। - কারণ তখন সেটা আপনার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে । অর্থাৎ Repeated action ই সংস্কারে পরিণত হয় ।   

আত্মার তিনটি faculty মন, বুদ্ধি ও সংস্কার চিন্তা করে [ বিচার  বিশ্লেষণ করে [ কার্যকরী করে ]
মনই সবকিছু 

আত্মা  ও মন -- [ 2 ]
আত্মা হল এক চেতন ও অবিনাশী সত্তা । তার রূপ হল দিব্য জ্যোতি স্বরূপ। আমাদের কপালের ঠিক মাঝখানে যেখানে মেয়েরা টিপ পড়ে, ছেলেরা তিলক পড়ে, দুই ভ্রুর ঠিক মাঝখানে ।মস্তিষ্কের ভিতরে হাইপোথ্যালামাস(Hypothalamus) এবং  পিনিয়াল (Pinial) গ্রন্থীর ঠিক মাঝখানে এর অবস্থান । রাতের আকাশে তারাকে যেমন ঝিকিমিকি করা বিন্দুর মতো দেখায়, ঠিক তেমনি একমাত্র দিব্য দৃষ্টির দ্বারাই আত্মাকে একটি তারার মত দেখা যায় । কবির ভাষায়  -- "ভ্রুকূটির মাঝে চমকায় এক আজব তারা (সিতারা, Twinkle star))। আত্মা ভ্রুকূটির মাঝে  অবস্থান করে বলেই মানুষ যখন খুব গভীর ভাবে চিন্তা করে তখন কপালে হাত রাখে  এবং যখন সে বলে 'আমার ভাগ্যই খারাপ ' তখনও সে কপালকে নির্দেশ করে। আত্মার বাস ভ্রুকূটির মধ্যে বলেই ভক্তদের মধ্যে কপালে টিপ পড়া বা তিলক লাগাবার প্রথা আছে । এর দ্বারা  আত্মার সম্বন্ধ মস্তিষ্কের সঙ্গে তা বোঝা যায়  এবং মস্তিষ্কের সম্বন্ধ সমগ্র শরীরে পরিব্যাপ্ত জ্ঞানেন্দ্রীয় (মন ও বুদ্ধি) ও কর্মেন্দ্রীয়ের সাথে ।
  আত্মার মধ্যেই প্রথমে সংকল্প উৎপন্ন হয়, পরে তা মস্তিষ্ক তথা স্নায়ুমন্ডলের মাধ্যমে ব্যক্ত হয় । আত্মাই সুখ দুঃখের অনুভব করে, নির্ণয় করে এবং  আত্মার মধ্যেই বুদ্ধি বা সংস্কার থাকে । সুতরাং মন ও বুদ্ধি আত্মা থেকে পৃথক নয় । কিন্তু আজ আত্মা নিজেকে ভুলে দেহ -- স্ত্রী, পুরুষ, বৃদ্ধ, যুবক ইত্যাদি মনে করে বসে  আছে।--- এই দেহ- অভিমানই হল যত দুঃখের কারণ।

আত্মা  ও মন [ 3 ] 
চিত্রটি লক্ষ্য করুন >>
বিষয়টিকে একটি মোটর চালকের উদাহরণের মাধ্যমে বোঝা যাক। শরীরশরীরটাকে যদি মোটরগাড়ি মনে করা হয় তাহলে  ' আত্মা তার 'চালক' (Driver)। অর্থাৎ 'চালক' যেমন মোটরগাড়ি নিয়ন্ত্রণ করে ' আত্মা 'ও তেমনি শরীর রূপী গাড়ি বা রথকে নিয়ন্ত্রণ করে । আত্মা বিনা শরীর মৃত, যেমন ড্রাইভার বিনা গাড়ি ।
পরমাত্মা অর্থাৎ ঈশ্বর বলেন, মানুষ নিজেকে চিনতে পারলেই এই শরীর রূপী মোটর চালিয়ে আপন লক্ষ্যে পোঁছাতে পারবে। আবার চালক যদি নিপুণ না হয় তাহলে দুর্ঘটনার(Accident) শিকার হয় এবং গাড়ি ও যাত্রী উভয়ের আঘাত লাগে। ঠিক তেমনি মানুষ যদি নিজের পরিচয় না জানে তাহলে সে দুঃখী ও অশান্ত হবে এবং একইভাবে তার সম্পর্কে আসা আত্মীয় বন্ধু পরিজনদেরও দুঃখী ও অশান্তি করে তুলবে। সুতরাং প্রকৃত সুখ এবার শান্তির জন্য নিজেকে জানা বিশেষ প্রয়োজন ।
- এই হল আমাদের 1st Lesson. প্রথম  lesson টাই সর্বাগ্রে বারংবার  Practice করতে হবে। নিজেকে আত্মা রূপে দেখার অভ্যাস । Brahmakumaris Bengali section সহজ রাজযোগ মেডিটেশনের সাপ্তাহিক কোর্সের প্রথম দিনে আত্মার সম্বন্ধে যে Lesson আপনাদের সামনে রাখল, তা আপনারা বারংবার অভ্যাস করবেন। 
কল্পনা করুন আপনি ঘুমোচ্ছেন আর আপনার হাতের ওপর দিয়ে টিকটিকি চলে গেলো , তো কি হবে ? কিছুই না , কারণ আপনি তো জানতেই পারলেন না | এবার ভাবুন আপনার সামনে টিকটিকি আপনার হাতের ওপর থেকে গেল, তখন আপনার Reaction কি হবে ? সঙ্গে সঙ্গে অশান্ত হয়ে পড়বেন আপনি। নোংরা অনুভব করবেন। কিন্তু টিকটিকি তো আপনাকে বিরক্ত করেনি, আপনার মন আপনাকে বিরক্ত করেছে | এবার কল্পনা করুন আপনার সামনে কোনো পছন্দের অ্যাক্টর বা অ্যাক্ট্রেস এসে গেলে আপনার কেমন লাগবে ? খুব খুশী হবেন আপনি, তাই তো ! কিন্তু সেখানেই একজন সাধারণ মানুষ এসে গেলে আপনার ভালো লাগবে না | যখন সেই অ্যাক্টরও মানুষ , এই সাধারণ লোকটাও মানুষ, তাহলে তফাৎ কোথায় ? তফাৎ হল শুধু মনের | যখন কোনো কমেডি সিরিয়াল দেখছেন তো খুব মজা পাচ্ছন , আবার যদি কেউ বকাঝকা করলো তো আপনার রাগ এসে গেলো | ভালো করে ভাবুন বা বুঝতে চেষ্টা করুন, আপনার তো নিজের মনের প্রতি কন্ট্রোল নেই | আমাদের কন্ট্রোল অন্যদের হাতে |
কেউ আমায় দুঃখী করতে পারে , কেউ আমায় Joke বানিয়ে হাসতে পারে, আমাদের মন আমাদের কথা শোনে না | বলতে গেলে অন্যদের কথায় বেশী চলে | এইজন্য আমরা বিরক্ত থাকি, যদি আমরা নিজের মনকে কাবু করতে পারি তো সারা খেলা শেষ হয়ে যাবে, সবকিছু পরিস্কার হয়ে যাবে | সবসময় সুখই অনুভব হবে | 

Meditation -- এটা এমন এক প্রক্রিয়া, যাকে ব্যবহার করে আমরা নিজের মনকে কন্ট্রোল করতে পারি | Meditation এর মানে এই নয় যে চোখ বন্ধ করে কিছু দেখার চেষ্টা আর না Meditation এর মানে সোজা ধ্যান | আপনি যে কাজ করছেন, খাচ্ছেন, ঘুমাচ্ছেন, পড়াশোনা করছেন, কাজ করছেন , x y z  যা কিছু , নিজের কাজকে পুরো ধ্যান দিয়ে করাই হচ্ছে  Meditation | নিজের মনকে কোনো একটা কাজে লাগাও আর পুরো ধ্যান বা মনোযোগ তাতে দাও , এটাই হল Meditation | নিজের মনের গতিবিধিকে দেখো , সবকিছু কিভাবে করে , তুমি নিজে কি ভাবে করো | আমাদের হাতে কিছু গরম জিনিষ লেগে গেলো তো আমাদের মন জানতে পারলো, আবার মন একটা  feeling দিল আর ঐ feeling এর কারণে আমরা হাত সরিয়ে নিলাম | দেখো নিজেকে আমরা যা কিছুই করি সবকিছু মনের থেকেই হয় | আবার চিন্তা থেকে feeling আসে, আর ঐ feeling থেকেই আবার শরীর কাজ করে | Meditation এক লম্বা প্রক্রিয়া যেটাকে বুঝতে আর করতে সময় লাগে | 
        
নিজেকে বলো -- আমি আত্মা, শরীর নই   
আমি আত্মা পরমপিতা শিববাবার সন্তান | পরমধাম নিবাসী | সৃষ্টি মঞ্চে শরীর ধারণ করে রোল প্লে করতে আসি | শরীর ধারণ করে ভ্রুকুটির মাঝে স্থিত হই | এবার পরমধাম ফেরৎ যাওয়ার সময় হয়েছে, এইজন্য বাবা আমাদের মুহূৰ্তে মুহূৰ্তে স্মরণ করাচ্ছেন | 

সহজ রাজযোগ মেডিটেশন শিক্ষার প্রাথমিক সাতদিনের কোর্স এর সময়সুচি- প্রতি ইংরেজি মাসের ২ এবং ১৬ তারিখ, সন্ধ্যাঃ ৭.৩০ থেকে রাত ৮.৩০ মিনিট পর্যন্ত। এছাড়া, দি একাডেমি ফর এ বেটার ওয়ার্ল্ড- এ প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা আধ্যাত্মিক জ্ঞান এবং রাজযোগ মেডিটেশনের ক্লাস হয়। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন।

এছাড়া, দি একাডেমি ফর বেটার ওয়ার্ল্ড- এ প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা আধ্যাত্মিক জ্ঞান এবং রাজযোগ মেডিটেশনের ক্লাস হয়। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন।

রাজযোগ মেডিটেশন - দি একাডেমি ফর এ বেটার ওয়ার্ল্ড

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

The Academy for a Better World, Dhaka, Bangladesh

ঢাকাঃ

১২ কে এম দাশ লেন, ঢাকা ,টিকাটুলি,বাংলাদেশ ।

সেন্ট্রাল মহিলা কলেজের বিপরীতে, ভোলাগিরি আশ্রমের সন্নিকটে।

ফোন নংঃ 0175-956163, 01721-812930,

E-mail : bkdhaka@yahoo.co.uk

চট্টগ্রামঃ

The Academy for a Better World, Chittagong, Bangladesh

এ.সি.আর্কেড ( ৪র্থ তলা) ৫৯/৬২, নবাব সিরাজউদ্দৌলা রোড, সাব-এরিয়া (দত্ত সুইটসের এর পাশে পুলের উপর দশ তলা বিল্ডিং)

দেওয়ান বাজার, চট্টগ্রাম।

মোবাইলঃ 01920- 983131, 01842- 690586


রাজযোগ মেডিটেশনের সাত দিনের কোর্স পরিচয়

☆☆☆☆☆☆☆☆☆7 DAY'S COURSE☆☆☆☆☆☆☆☆

            ¤¤ সাত দিনের কোর্স --- পরিচয় ¤¤
                                                               ◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆

    মানুষ  নিজের জীবনের অনেক প্রশ্নের  সমাধান  করে থাকে  এবং তার ফল স্বরূপ অনেক পুরস্কারও লাভ করে। কিন্তু  একটা ছোট্ট  প্রশ্নের জবাব সে জানে না -- "আমি কে"? সারা দিনে কত অসংখ্য বার মানুষ "আমি" শব্দটা ব্যবহার  করে থাকে । কিন্তু  যদি জিজ্ঞাসা  করা যায় " আমি " কে? তাহলে কেউ বলবে রাম মুখোপাধ্যায়, বা রমা সেন ইত্যাদি ইত্যাদি । কিন্তু  সঠিক ভাবে বিচার করলে বোঝা  যাবে  এই নাম গুলি হল শরীরের নাম। শরীর হলো আমার, কিন্তু  আমি তো  শরীর নই। তাহলে  আমি কে? এই ছোট্ট  একটি প্রশ্নের উত্তর  না জানা থাকার কারণে  মানুষ  আজ নিজের দেহকেই আমি মনে করছে এবং Body-concious অর্থাৎ দেহ- অভিমানী হয়ে গেছে । আমরা জানি  যে আমাদের  শরীর পাঁচ তত্ত্ব  ( অগ্নি,  বায়ু,  আকাশ,  জল ও পৃথিবী ) দ্বারা  গঠিত । কিন্তু  একজন  ধার্মিক  মানুষ  যখন কর্ম ব্যবহারে আসবেন তার মনে নিশ্চয়ই  আসবে একথাটি যে  আমাদের  শরীর হল একটি Composite machine  বা একটি Assembly of instrument. তার মানে আমি বলি,  শুনি, দেখি, বা যা ই করি, আমি  হলাম আলাদা। আর এই শরীরের ধর্ম  হল ছয়টি রিপু -- কাম, ক্রোধ,  লোভ ইত্যাদি ; পাঁচ বিকারের বশীভূত  হয়ে মানুষ  আজ দুঃখে জর্জরিত ।

   এখন পরমপিতা পরমাত্মা  'শিব' বলছেন, আজ মানুষের  এত অভিমান  যে বলে "আমি" মালিক, "আমি " অফিসার, "আমি" ব্যবসায়ী, "আমি " রাজনীতিবিদ........ নিজেকে না জানার অজ্ঞতাই এই অহংকারের জন্ম  দিয়েছে । এই সৃষ্টি -রূপী নাটকের আদি, মধ্য - অন্তের জ্ঞান, আমি  কোথা থেকে  এসেছি, কখন এসেছি,  কিভাবে  সুখ শান্তিময় রাজ্য  হারিয়েছি এবং  পরমপিতা  পরমাত্মা( এই সৃষ্টির রচয়িতা ) কে? --- এই সমস্ত  রহস্য  কেউই জানে না। এখন এই মনুষ্য  জীবনের  প্রকৃত রহস্য ( puzzle of life) বা পরিচয়কে জেনে পুনরায় দেহী- অভিমানী হয়ে  উঠতে পারে । এর ফল-ফল - স্বরূপ নর শ্রীনারায়ণ আর নারী শ্রীলক্ষ্মীর পদ প্রাপ্ত  করতে  পারে। আর তার ফলে মানুষের  আত্মা  মুক্তি,  জীবন মুক্তি লাভ করতে পারে। এইভাবেই সম্পূর্ণ পবিত্রতা, সুখ, শান্তি  প্রাপ্তি  হয় ।

      মানুষ যখন দুঃখ কষ্ট  বা অশান্তি গ্রস্ত হয় তখন সে ঈশ্বরকে ডাকে,  বলে --- " হে দুঃখহর্তা, সুখকর্তা, শান্তি  দাতা প্রভু, আমায় শান্তি দাও।" বিকার গ্রস্ত  মানুষ  পবিত্রতার জন্য  ঈশ্বর  তথা পরমাত্মার কাছেই আর্জি  জানিয়ে  বলে  -- " হে দেব, আমায় বিষয় বিকার থেকে মুক্ত করো" অথবা "হে প্রভু, আমাদের শুদ্ধতা দাও, সকল অমঙ্গল দূর করে মঙ্গল করো।" কিন্তু  পরমপিতা পরমাত্মা তথা সকল কলুষতা থেকে  মুক্ত করবার জন্য যে ঈশ্বরীয় জ্ঞান ও সহজ  রাজযোগের শিক্ষা দেন অধিকাংশ ব্যক্তি সে বিষয়ে অবগত নন এবং নিজের ব্যবহারিক জীবনে তা ধারণ বা প্রয়োগ করেন না । পরমপিতা পরমাত্মা আমাদের জীবনে পথ প্রদর্শন করান এবং সর্বদা আমাদের সহায় থাকেন। কিন্তু  তার জন্য পুরুষার্থ (পুরুষ= আত্মা, আত্মার  সর্ব শ্রেষ্ঠ  উন্নতি ) তো  আমাদের  নিজেকেই করতে হবে। তবেই তো আমরা প্রকৃত সুখ ও শান্তি লাভ করতে পারব এবং  শ্রেষ্ঠাচারী হতে পারব।

  এরপর পরমপিতা পরমাত্মা দ্বারা উদ্ঘাটিত জ্ঞান ও সহজ রাজযোগের বিষয়ে বিষদে আলোচনা করব। Brahmakumaris Bengali section সকলের সুবিধার্থে Facebook এ সর্বপ্রথম বাংলা ভাষায় রাজযোগ মেডিটেশন কোর্স করাচ্ছে। আপনাদের কেমন লাগছে অবশ্যই জানাবেন। 
এছাড়াও প্রজাপিতা ব্রহ্মকুমারীস ঈশ্বরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো সেবা কেন্দ্রে বিনামূল্য রাজযোগের অভ্যাস এবং লৌকিক জীবনকে অলৌকিক জীবনে পরিবর্তন করার সহজ শিক্ষা দেওয়া  হয় ।
Brahmakumaris Bengali section এর প্রস্তুতি।

সহজ রাজযোগ মেডিটেশন শিক্ষার প্রাথমিক সাতদিনের কোর্স এর সময়সুচি- প্রতি ইংরেজি মাসের ২ এবং ১৬ তারিখ, সন্ধ্যাঃ ৭.৩০ থেকে রাত ৮.৩০ মিনিট পর্যন্ত। এছাড়া, দি একাডেমি ফর এ বেটার ওয়ার্ল্ড- এ প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা আধ্যাত্মিক জ্ঞান এবং রাজযোগ মেডিটেশনের ক্লাস হয়। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন।

এছাড়া, দি একাডেমি ফর বেটার ওয়ার্ল্ড- এ প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা আধ্যাত্মিক জ্ঞান এবং রাজযোগ মেডিটেশনের ক্লাস হয়। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন।

রাজযোগ মেডিটেশন - দি একাডেমি ফর এ বেটার ওয়ার্ল্ড

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

The Academy for a Better World, Dhaka, Bangladesh

ঢাকাঃ

১২ কে এম দাশ লেন, ঢাকা ,টিকাটুলি,বাংলাদেশ ।

সেন্ট্রাল মহিলা কলেজের বিপরীতে, ভোলাগিরি আশ্রমের সন্নিকটে।

ফোন নংঃ 0175-956163, 01721-812930,

E-mail : bkdhaka@yahoo.co.uk

চট্টগ্রামঃ

The Academy for a Better World, Chittagong, Bangladesh

এ.সি.আর্কেড ( ৪র্থ তলা) ৫৯/৬২, নবাব সিরাজউদ্দৌলা রোড, সাব-এরিয়া (দত্ত সুইটসের এর পাশে পুলের উপর দশ তলা বিল্ডিং)

দেওয়ান বাজার, চট্টগ্রাম।

মোবাইলঃ 01920- 983131, 01842- 690586


ব্যর্থ ভাবনা আর সংকল্প থেকে নিজেকে দুরে রাখা

*ব্যর্থ ভাবনা আর সংকল্প থেকে নিজেকে দুরে রাখা* :------

১. বেশি ভাগ দেখা গিয়েছে যে আমরা খুব ভালো যোগ করি, মন দিয়ে মুরলীও পড়তে থাকি, দরকার পড়লে আরো দশ জনকে জ্ঞানের ভালো-ভালো পয়েন্টস শুনিয়ে দিই, কিন্তু বিপরীত পরিস্থিতি আসলে আমরা সেই গুলো নিজের জীবনে ধারণ করে রাখতে পারি না, তার কারণ কি ?
 কারণ হল নম্রতার কবচ-কুণ্ডল নেই আমাদের কাছে | বিন্দু মাত্রও সহ্য শক্তি নেই | ছোটো-ছোটো কথাতে মন খারাপ হয়ে যায়, তার দায় আমরা সব সময় অন্যদেরকে করি, তার মূল কারণ হল দেহ-অভিমান | যতক্ষণ না দেহ-অভিমান থেকে দেহী-অভিমানী (Soul conscious) হতে পারব, আমাদের জ্ঞান নিজের জন্য বা সামনের আত্মাদের প্রতি কোনো কাজ দেবে না | 

২.জ্ঞান-ধ্যান-ধারণা এই তিনটি বিষয়ে নিজেকে সব সময় যাঁচাই করতে হবে, একটাও কম হলে নিজের উন্নতি বা অন্য আত্মাদের উন্নতি হতে পারবে না | সর্বদা "মনমনাভব" -এর মন্ত্র মনে রাখতে হবে, উঠতে-বসতে সর্বদাই এইটাই চিন্তা করতে হবে যে আজকে যেন কোনো আত্মাকে আমি কষ্ট না দিই | একজন আত্মাও যদি আমাদের ব্যর্থ সংকল্পের জন্য দুঃখ পায়, আমাদের পোস্ট সত্যযুগে কমে যাবে। শুভ-সংকল্প, শুভ-ভাবনা দিয়ে প্রতিটি আত্মার উদ্ধার করতেই বাবা আমাদের নিজের কাছে ডেকেছেন | আমরা নিজেকে সর্বদা স্বমানের স্থিত উচ্চ স্থানে থাকি আর অন্য আত্মাদের দোষ না দেখে তাদেরকেও স্বমানে টিকিয়ে রাখতে তাদের সাহায্য করি।

কর্মযোগের অভ্যাসের পয়েন্টস

✏⚡✏⚡⚡✏⚡⚡✏
👉  কর্মযোগের  অভ্যাসের পয়েন্টস :-

💥১)   আমি হলাম এক মহান আত্মা।
💥 ২)   আমি এই দেহে প্রবেশ করে, এই শরীরেই অবতরিত হয়েছি।
💥 ৩)   আমি আত্মা হলাম স্বরাজ্য অধিকারী এবং সূর্যের মতো পবিত্র। 
💥 ৪)   আমিই হলাম মন-বুদ্ধির মালিক এবং মাস্টার সর্বশক্তিমান।
💥 ৫)   সর্বশক্তিমান ছত্রছায়ার মত সর্বদা আমার মাথার উপর আছেন। 
💥 ৬)   আমি পরমধাম থেকে সর্বশক্তিমান কে অনুভব করছি, তাঁর শক্তিশালী কিরণ আমি আত্মার উপর পরছে।
💥 ৭)   আমি হলাম পবিত্র  স্বরূপ ফরিস্তা।
💥 ৮)   আমি আত্মা এই শরীর থেকে বেরিয়ে বাবাকে স্পর্শ করে আবার এই শরীরে প্রবেশ করলাম।
💥 ৯   আমি আত্মা কিছু সময়ের জন্য স্থূল সবকিছুকে পিছনে ফেলে আমার নিজধামে গিয়ে সেখানে কিছু সময় বসে আছি l 
💥 ১০)  আমি আত্মা আমার পূর্বপুরুষ আত্মাদের উদ্দেশ্যে ভাইব্রেশন দিচ্ছি, তারাও যেন সুখ পায় এবং বাবার সন্তান রূপে গণ্য হয়।
💥 ১১)  আমি আত্মা, শান্তস্বরূপ, বাবার কিরণ আমার উপর পরছে।
💥 ১২)  আমি আত্মা হলাম লাইট-মাইট স্বরূপ এবং  *হালকা*।
💥 ১৩)  পরমধামের একদিক থেকে মায়ের কিরণ আমি আত্মার পরছে l 
💥 ১৪)  পরমধামের অপর দিক থেকে শিববাবার শক্তিশালী কিরণ আমি আত্মার উপর পরছে। 
💥 ১৫)  আমি আত্মা বাপদাদা কে আহ্বান করছি।
💥 ১৬)  আমি আত্মা সূক্ষ্মলোকে গিয়ে ব্রহ্মাবাবার থেকে দৃষ্টি নিচ্ছি, এবং আমার পরিবারকেও দৃষ্টি দিচ্ছি।
💥 ১৭)  আমি আত্মা অন্য সকল আত্মাকে চক্-মক্ করতে দেখছি এবং তাদের সকাশ (pure vibration) দিচ্ছি।
💥 ১৮)  আমি আত্মা পবিত্র  স্বরূপ ফরিস্তা হয়ে পবিত্রতার  কিরণ দিচ্ছি। 
💥 ১৯)  আমি আত্মা বাপদাদা কে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
💥 ২০)  বাবা হলেন আমার বন্ধু, তাই প্রতিদিনই তাঁকে যেকোনো সম্বন্ধে সম্বোধন করি।

                     ওম্ শান্তি ll 🌹🌹

✏⚡⚡✏⚡⚡✏⚡⚡✏

শিব বাবা সন্তানদের প্রধান কর্তব্য কি?

💠💠💠💠💠💠💠💠💠

🔷তোমাদের কর্তব্য হলো ঘরে-ঘরে বাবার সমাচার পৌঁছে দেওয়া, যেকোনো অবস্থাই হোক যুক্তিসহকারে প্রত্যেককে বাবার পরিচয় অবশ্যই দাও।

🔷ত্রিমূর্তি শিবের পরিচয় দাও। 

🔷নতুন নতুন যেসব পয়েন্টস্ বেরোয়, সেগুলিকে নিজেদের কাছে নোট করে রাখো।

🔷তোমরা হলে মালী। মালীদের কাজ হল কাঁটা থেকে ফুলে পরিণত করা।

🔷যখন তোমরা কাউকে বোঝাবে, তখন শেষে এটাও বোঝাবে যে, 'মন্মনাভব'। বাবাকে আর সৃষ্টি-চক্রকে স্মরণ কর। মুখ্য কথা হলো, মামেকম্ (একমাত্র আমাকেই) স্মরণ কর, একেই যোগাগ্নি বলা হয়।
💠💠💠💠💠💠💠💠💠

ব্যর্থ আর সমর্থ

🦚🦚🦚🦚🦚🦚🦚🦚🦚🦚🦚

🌞 *ব্যর্থ আর সমর্থ*🌞

*ব্যর্থ :-- আমরা দিনভর যতো ব্যর্থ চিন্তা করবো, ততই আমাদের আত্মা রূপী ব্যাটারির চার্জ কম হতে থাকবে ।*

*সমর্থ :-- আর সমর্থ চিন্তা করলে আত্মা রূপী ব্যাটারি চার্জ হতে থাকবে । আমাদের পুরুষার্থও তীব্র হতে থাকবে ।*

🐣🐣 *হোলি হংসের দুটি বিশেষত্ব :-- এক হলো জ্ঞান রত্ন চয়ন করা, আর দ্বিতীয় নির্ণয় শক্তির দ্বারা দুধ আর জলকে পৃথক করা । দুধ আর জলের অর্থ হলো ---সমর্থ আর ব্যর্থের নির্ণয় । ব্যর্থকে জলের মতো বলা হয় আর সমর্থকে দুধের তুল্য । তাই ব্যর্থকে সমাপ্ত করার অর্থ হোলি হংস হওয়া । প্রতিটি সময় বুদ্ধিতে যেন জ্ঞান রত্ন চলতে থাকে, মনন যদি চলতে থাকে তাহলে রত্নে ভরপুর হয়ে উঠবে ।*

*পদ্মগুণ ধন্যবাদ বাবা ।💥🙏*

আত্মার প্রতিবিম্ব- বি.কে. সিস্টার শিবানী

🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁

💥🧚‍♀  *আত্মার প্রতিবিম্ব*🧚‍♀💥

🌻🌻 *বি.কে. সিস্টার  শিবানী*🌻🌻

                 🌹🌹 *ওম শান্তি*🌹🌹

🍁 *আমাদের জীবনে সমস্যা বা কারোর প্রতি বিরূপ মনোভাব থাকলে, তার সমাধানের জন্য সারাদিনে আমরা যে জল পান করি, সকালে উঠে সেই জলে সমস্যার নিবারণের কথা বলে পাঁচ থেকে দশ মিনিট পিওর ভাইব্রেশন দেবো আর সেই জল সারাদিন পান করবো, তাহলে ধীরে ধীরে সেই সমস্যা কম হতে থাকবে l এমন আমরা রোজ করবো l*

🍁 *আমরা মনকে এই কথা বলতেই দেবো না যে, আমাদের কাছে সময় নেই, আমরা বরং মনকে এই কথা বলবো যে, আমরা তো কেবল দশ মিনিট সময় ইনভেস্ট করবো, এবং সারাদিনে খুব সুন্দর ফল প্রাপ্ত করবো l*

🍁 *যদি আমরা কোনো ওষুধও খাই, তাহলেও তাতে পরমাত্মার শুদ্ধ ভাইব্রেশন দিয়ে এই কথা মনে করে খাবো যে, এই ওষুধ খেয়ে আমি সুস্থ হয়ে গেছি l এমন পজেটিভ চিন্তায় আমরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবো l*

🍁 *এই সবকিছুর সাথে সাথে আমাদের অর্থের প্রতিও নজর রাখতে হবে, কেননা এই অর্থও এক ভাইব্রেশন এনার্জির সঙ্গে ঘরে আসে, আর এর সাথে সাথে আমরা অর্থ রোজগারের উপায়ের প্রতিও নজর দেবো কেননা এই রোজগারের উপায়ও সম্পূর্ণ স্বচ্ছ হওয়া চাই l কাউকে অসন্তুষ্ট করে অর্জিত অর্থ গৃহে অশান্তির ভাইব্রেশন ডেকে আনে l*

🍁 *তাই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, কাউকে দুঃখ দিয়ে নয়, কাউকে খুশী করেই ধন অর্জন করবো তাহলেই শুদ্ধ ভাইব্রেশনের সঙ্গে সেই অর্থ আমাদের গৃহে আসবে আর গৃহে খুশীর ভাইব্রেশন থাকবে l এমন ধনের থেকেই অন্ন, অন্নের থেকে মন, মন থেকে তন, সবকিছুই সন্তুষ্ট হবে আর খুশী আর সুখের পরশ আমাদের গৃহে বিরাজ করবে l*

🍁🍁ওম শান্তি 🍁🍁

🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁

ভগবানের সাথী মিত্রতা

🦚🦚🦚🦚🦚🦚🦚

🙏ওম শান্তি 🙏

*"ভগবানের সাথী মিত্রতা"*

*আমরা যদি আধ্যাত্মিক মার্গে মিত্রতার সম্পূন আনন্দ নিতে চাই, তারজন্য আমাদের সাবধান থাকতে হবে । লৌকিক সম্বন্ধে আমাদের এতটা লিপ্ত হওয়া কখনোই উচিত নয় যাতে আমাদের আধ্যাত্মিক প্রগতি রুদ্ধ হয়ে যায় । আমরা যদি আমাদের আধ্যাত্মিক প্রয়াসে শিথিল হয়ে যাই তাহলে নিজের সর্বশ্রেষ্ঠ স্থিতির সাকারাত্মক প্রভাবের প্রয়োগ কিভাবে করতে পারবো ?*

*আমাদের সর্বদা মিত্রকে সহায়তা করার লক্ষ্য রাখা উচিত কিন্তু এই সহায়তা শুদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন, অর্থাৎ প্রশংসা প্রাপ্তির ইচ্ছা থেকে রহিত হওয়া চাই । এই প্রকার সহায়তা করলে আমাদের অধিক আধ্যাত্মিক উন্নতি হবে । বাস্তবে মাধুর্যই আধ্যাত্মিক মৈত্রীর সম্বন্ধ স্থাপন করে, তথা অন্যের কথা শোনা বা একে অপরের থেকে শেখার ভাব উৎপন্ন করে, যাতে আমাদের আধ্যাত্মিক উন্নতি হওয়া সম্ভব ।*

🦚🦚🦚🦚🦚🦚🦚

ব্রাহ্মণ জীবনের ২১ সূক্ষ্ম মর্যাদা

.             ::  ব্রাহ্মণ জীবনের ২১ সূক্ষ্ম মর্যাদা  ::

*১)*  *সময়ের মর্যাদা* ...
অমৃতবেলা থেকে শুরু করে রাত্রি পর্যন্ত সময়কে ঈশ্বরীয় জ্ঞান এবং সেবার জন্য ব্যবহার করা।

*২)*  *ভাষার মর্যাদা*...
সেন্টারে বা মধুবনে হিন্দিতেই কথা বলবে। পুরানো লৌকিক ভাষাতে নয়। (ব্রহ্মা বাবা বা দাদীরা জ্ঞানে আসার পর থেকে সিন্ধ্রী নিজেদের মাতৃভাষা হওয়া সত্ত্বেও কখনো নিজেদের মধ্যে সিন্ধ্রীতেও কথা বলতেন না)

*৩)*  *সংকল্পের মর্যাদা* ...
যে কোনো বিষয়েই আমরা সংকল্প করতে বা ভাবনা বা চিন্তা করতে পারি না।

*৪)*  কাউকে না বলে তার জিনিস use করা ঈশ্বরীয় মর্যাদা বিরুদ্ধ। 

*৫)*  সম্পর্ক বজায় রাখার মর্যাদা*...
আমরা সবাই হলাম ভাই - বোন। এটাই হল আমাদের আসল সম্বন্ধ। লৌকিক সম্বন্ধ ত্যাগ করে অলৌকিক সম্বন্ধ জুড়লাম - সেটাও ঠিক নয়। Detached থাকো, মোহ মুক্ত থাকো।
বি. দ্র. :  যশোদা মাতা বাবার জ্ঞানে আসার পর কোনো দিন বাবাকে স্বামীর দৃষ্টিতে দেখেননি।

*৬)*  *ভোজন* ....
শুদ্ধ ভোজন এবং মৌন থেকে খাওয়া ছাড়াও খাওয়ার সময় সংকল্পের প্রতি খেয়াল রাখাও অত্যন্ত জরুরী। যে খাবারই খাও, তার প্রতি যেন Respect থাকে। আসক্তি যেন না থাকে। এই ভোজন শরীর ও মনকে শক্তি প্রদান করে। খাবার বানানোর সময় যেন ঈশ্বরের স্মরণ থাকে। 

*৭)*   *ব্রাহ্মণ জীবনে সন্তুষ্টতা বা অসন্তুষ্টতা*... 
জ্ঞানে চলতে চলতে উদাস হয়ে পড়া, আমার progress হচ্ছে না  ... আমি যেখানে ছিলাম সেখানেই রয়ে গেছি... *ব্রাহ্মণ মর্যাদায় যে চলে না সে অসন্তুষ্ট থাকে* .... নিজ Negative সংকল্পের দ্বারা নিজেকে উদাস বানাবে না। সর্বদা উৎসাহ উদ্দীপনা বজায় রাখো। *পুরুষার্থে নবীনতা আনলে কখনো অসন্তুষ্ট হবে না*। 

*৮)*  *নিয়মানুবর্তীতা* (Punctuality).... 
সময়ের আগেই পৌঁছে যাওয়া। কোর্সও ৪৫ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে। যোগের সময় যোগ, মুরলীর সময় মুরলী। 

*৯)*  *ইচ্ছা*.... 
*ইচ্ছা মাত্রম অবিদ্যা* .... *ইচ্ছা আচ্ছা (ভালো) হতে দেয় না* । ইচ্ছা মনকে অশান্ত করে। অন্যদের দেখে, অন্যদের জিনিস দেখে সেটার প্রতি ইচ্ছা রাখা উচিত নয়।.... সূক্ষ্ম রূপেও নাম, মান, প্রতিপত্তির ইচ্ছা progress - এ বাধা হয়ে দাঁড়ায়। 

*১০)*  *ভিতরে ও বাইরে এক* .... 
নিজেকে দেখাতে চাইছে যোগী, কিন্তু মনে অপবিত্র সংকল্প চলছে..... এটা ঈশ্বরীয় মর্যাদা বিরুদ্ধ। তুমি কারো সামনে বসে বা দাঁড়িয়ে রয়েছ, তোমার মনে অপবিত্র সংকল্প চলছে, সেই ব্যক্তির স্থিতি যদি দুর্বল হয়, তবে সে আরও পতিত হয়ে যাবে, সেই বোঝাও তোমারই চাপবে। 

*১১)*  *দৃষ্টি* .... 
"সংকল্পতেও পবিত্র ভাব এবং পবিত্র দৃষ্টি ..... আমরা অন্য কোনো কিছুই দেখতে পারি না..... বুদ্ধির নেত্র দ্বারাও অন্য কোনও কিছু দেখতে পারি না..... ব্যর্থ বা নেগেটিভ দেখেও দেখবে না। 

*১২)*  *সূক্ষ্ম চুরি* ..... 
অন্যের মোবাইলে কি আছে... চেক করা... Take করা.... অর্থাৎ ব্যর্থের দিকে যাওয়া.....  *যদি তুমি কোনো প্রকারের ব্যর্থের মধ্যে থাকো তবে তুমি যজ্ঞের ক্ষতি করছ* .....কারো কোনো দুর্বলতা বা খারাপ কিছু অন্য কাউকে বলবে না। 

*১৩)*  *বাণী*
কাউকে দুঃখ দেওয়া, পরচিন্তনের বোল মুখ থেকে বের হওয়া উচিত নয়। বোর হচ্ছি, উদাস লাগছে, কী জানি কী হবে - এই ধরনের বাক্য কদাপি উচ্চারণ করবে না ..... কেননা  ভগবান আমাদের শ্রেষ্ঠ ভবিষ্যৎ বানিয়ে রেখেছেন.....তাই ব্রাহ্মণ জীবনে এসব allowed নয় ।

*১৪)*  *পবিত্রতা*..... 
রুহ-কে না দেখে দেহ-কে যদি দেখো তাহলে জেনো তুমি শব-কে দেখছো। সত্যযুগে তবে তোমার কর্ম জীবন হবে শ্মশান ঘাটে। সূক্ষ্ম leble এ চেকিং... *Familiarity তেও যাবে না...What'saap ইত্যাদি Online এও না.... মনসা-তেও যেন কোনো অপবিত্রতা না আসে। 

*১৫)*  *কর্ম* ... 
আমাদের কর্মও যেন সাধারণ না হয়...  *আমাদের কর্ম স্বয়ংকে বা অন্যকেও যেন Disturb না করে* ।আমাদের কোনো কর্ম যেন কার্য ব্যবস্থার কোনো ক্ষতি করতে পারে। বাবার নাম যেন বদনাম না হয়... সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে। 

*১৬)*  *সাক্ষীদ্রষ্টা এবং নষ্টমোহ* ... 
এই দুনিয়া হল অন্যের দেশ.... লৌকিক পরিবারেও যেন মোহ না থাকে। 

*১৭)*  *ব্যবহার*.. 
Sweet হওয়া উচিত..... তুমি ভাবছো মজা করেছ, কিন্তু কেউ তাতে দুঃখ পেল, সেটাও যেন না হয়। আমাদের ব্যবহার হবে মধুর। 

*১৮)*  *সেন্টারে লৌকিক বা বিজনেসের আলোচনা করবে না*.... কোনো প্রকারের লেনদেন যেন না হয়। 

*১৯)*  *রাগ বা অভিমান করবে না* .... কারো বিষয়ে অনুমান করা.... এসব ব্রাহ্মণ জীবনের মর্যাদা নয়। 

*২০)*  *সেবা* ... 
সেবা নির্মাণতা থাকবে, ত্যাগ থাকবে.... বিন্দুমাত্র অহংকার যেন না আসে.... কোনো প্রকারের Groupism যেন না হয়। 

*২১)*  *হাসি-মস্করা* ... 
জোরে জোরে আওয়াজ করে হাসা.... ঈশ্বরীয় মর্যাদা নয়। দেবতাদের মুখে স্মিত হাসি থাকে.... চেহারায়, চালচলনে অলৌকিকতা এবং Royalty থাকবে।

জ্ঞানের প্রয়োগই আমাদের দুঃখ দূর করতে পারে

আমরা যোগ করি l জ্ঞানও প্রত্যহ শুনি l কিন্তু জ্ঞান ধারণ  করতে হবে আমাদের l  জ্ঞান ধারণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন l ধারণ করা আর তা জীবনে প্রয়োগ করা l এই হলো মূল কথা l তবেই আমরা হতে পারবো ঈশ্বরের আশীর্বাদের অধিকারী l জ্ঞানের প্রয়োগই করতে পারে আমাদের দুঃখ দূর l 

🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁

*আমরা কারোর দুর্বলতা বা কমজোরী দেখবো না l*

এ হলো বাবার *শ্রীমত* l 

বাবার গুনে সমৃদ্ধ বাচ্চাদের অন্যের দুর্বলতা বা কমতি কখনোই দেখা উচিত নয় l 

*দৃষ্টি পরিবর্তনের* খুবই প্রয়োজন l 

অন্যের মধ্যে যে ভালো গুণটি আছে তাকে জাগিয়ে তুলবো আমরা l তাকে চিনিয়ে দেবো তার নিজস্ব গুণ l 

তার দুর্বলতার কথা বারবার আলোচনা করলে তার শক্তির  হ্রাস হবে l দুর্বলতা তো কমবেই না বরঞ্চ বাড়তে থাকবে l সে আরো গুটিয়ে নেবে নিজেকে l তখন তার নিজস্ব গুণের বিকাশেও বাধাপ্রাপ্ত হবে l আর এরজন্য আমরাও দায়ী থেকে যাবো l 

আর যার যে দুর্বলতা, সে নিজেও চায় তা দূর করতে l আর তা দূর করার জন্য আমরা তার সহযোগী হতে পারি ---- আলোচক নয় l 

বাবা বলেছেন --- উৎসাহ উদ্দীপনা বাড়াতে ---- কখনোই কমাতে নয় l 

 বাবার অনেক শ্রীমতের একটি হলো --- *অন্যের গুণ দেখো, দোষ নয় l গুণের প্রশংসা করো l আনন্দের সঞ্চার করো তার মনে l দোষ ধীরে ধীরে দূর হয়ে যাবে l*

🙏ওম শান্তি 🙏

🧚‍♀🧚‍♂ *আজ থেকে আমরা বাবার সন্তানরা এইভাবেই চলবো l*

💥💥💥💥💥💥💥💥💥💥

আত্ম-অভিমানী কি?

"ওঁম্-এর অর্থ হল-"আমি আত্মা", এটা হল প্রথমে, তার পরে হল এই শরীর। আত্মা অবিনাশী আর এই শরীর হল বিনাশী। আমি আত্মা এই শরীরকে ধারণ করে ভূমিকা পালন করি। এই ভাবকেই বলা হয় আত্ম-অভিমানী।  মূল অর্থে আমি আত্মা এসব করি এবং এই আত্মাই নানারকম ভূমিকা পালন করে। এই আত্মাই আবার পরমাত্মার সন্তান" । - শিব ভগবানুবাচ